একজন বইপোকা।
( আমি খ্রিষ্টান পাদ্রিদের চরম সভ্যতা লংঘনের কিছু ইতিহাস এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনাদের সুবিধার্তে পর্ব করে প্রকাশের চিন্তা করলাম। জানিনা, কতটুকু সফলতা পাবো । বিচারের দায় আপনাদের।
)
ইনকুইজেশনের পাদ্রিরা মানুষের মনের খবর জানার দাবী করতো। আসামীদেরকে প্রকাশ্য কাজের চেয়ে চাপিয়ে দেয়া কাজের শাস্তি পেতে হতো। লোকদের গ্রেফতার করা হতো সম্পূর্ণ সন্দেহবশে। যে অপরাধ করেনি তার মুখ থেকে অপরাধের স্বীকৃতি আদায় করে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতো । তাদের সবচেয়ে কম শাস্তি ছিলো জীবন্তদগ্ধ করে ফেলা অথবা স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে ফেলা।
কারো বিরুদ্ধে গোপন একটা সাক্ষিই শাস্তির জন্য যথেষ্ট ছিলো। ঠান্ডা ও ক্ষুত পিপাসার কারণে যখন মানসিক শারিরিক শক্তি নিঃশেষ হয়ে যেত তখন বন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতো। এবং এভাবেই একজন নিরপরাধ মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দিতো। এবং তাকে জীবনভর "সেন বেনিটো" নামের একধরণের অপমানজনক কাপড় পরে থাকতে হতো। "সেন বেনিটো" কাপড়পরা লোকদের দেখলে মনে হতো এই লোকটা ইনকুইজেশনের অপরাধী।
কেউ নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে চাইলে তাকে আরো বেশী শাস্তি দেয়া হতো। সাজানো হতো নাটক । একজন সাক্ষি দাড় করানো হতো । মিথ্যা অভিযোগ করে ঐ লোককে মৃত্যুদন্ড দেয়া হতো। একজন লোককে শাস্তি দেয়ার জন্য একজন সাক্ষি ছিলো যথেষ্ট আর মৃত্যুদন্ডের জন্য দু'জন সাক্ষি।
অপরাধীকে শুনানো হতো দন্ডাদেশ। গোপন সাক্ষীর ব্যাপারে অপরাধী জানতই না। গীর্জ যেটা অপরাধ মনে করতো তার জন্য ছিল মৃত্যুদন্ড । সাক্ষি কিংবা কিছুর প্রয়োজন ছিলনা। এ নির্দেশকে জনগন খুবই ভয় পেত এজন্য আপন মেয়ে , পুত্র , স্ত্রী যে কেউ সাক্ষি দিতে বাধ্য থাকতো।
সাক্ষি না দিলে তার জন্য মৃত্যু অনিবার্য ছিলো। লোক দেখানোর জন্য আসামীর জন্য একজন উকিল দেয়া হতো কিন্তু উকিল আসামীর হয়ে একটা কথা বলতে পারতো না। এমনকি উকিল আসামীর সাথে কথাও বলতে পারতো না।
শাস্তি শুরু হতো মধ্যরাতে। কয়েদি নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক উলঙ্গ করে শুরু হতো।
উলঙ্গ অবস্থায় একটা কাঠের বেঞ্চিতে শোয়ানো হতো। এরপরই আরম্ভ হতো নির্যাতন । যার কল্পনা করাই অনেক কষ্টের আর বাস্তবে কী ছিল তা আমাদের কল্পনার অতীত। আপাদমস্তক কালো পোষাকের জল্লাদরা কখনো নাক , মুখ , হাত, পা পিষে ফেলতো। অশিতিপর একজন বৃদ্ধ শিক্ষক "জন ফ্যাকসী" লিখেছেনঃ "নিরপরাধ কয়েদিদের ব্যাপারে ও নরপশুরা একটু অনুকম্পা দেখাতো না।
আর এজন্য জবরদস্তি মোলক সাক্ষি নেয়া হতো।
( চলবে )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।