একজন বইপোকা।
( আমি খ্রিষ্টান পাদ্রিদের চরম সভ্যতা লংঘনের কিছু ইতিহাস এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনাদের সুবিধার্তে পর্ব করে প্রকাশের চিন্তা করলাম। জানিনা, কতটুকু সফলতা পাবো । বিচারের দায় আপনাদের।
)
ইনকুজেশনের ভয়াবহ রূপ দীর্ঘদিন পর্যন্ত ইতিহাস এবং সাহিত্যের দিক নির্দেশ করছিলো। কিন্তু কেন জানি হয়ে ওঠছিলো না। আস্তে আস্তে কথা সাহিত্যিক এবং শিল্পীরা শাস্তি সেলের বিবরণ তুলে ধরতে শুরু করলেন। ইনকুইজেশনের কামুক পাদ্রিরা নারীদেরকে পর্যন্ত উলঙ্গ করে শাস্তি দিতো। এ বিষয় বস্তুর উপর ১৮১৭ সালে স্পেনিস ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিলো "জন এন্টানিউ লরন্টের" বিখ্যাত একটি গ্রন্থ।
চার খন্ডে প্যারিস থেকে তা প্রকাশিত হয়েছিল। ১৭৫৬ সালে তার জন্ম হয়েছিলো লেগবানোতে তিনি ইনকুইজেশনের সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি আদালত গুলোতে সংস্কারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সংকীর্ণ এবং পশুর মানসিকতার পাদ্রিরা ১৭৯৮ সালে তাকে সেক্রেটারি পদ থেকে অপসারণ করে ফেলে।
"নেপোলিয়নে"র ভাই "যোসেফ" যখন স্পেন দখল করেন তখন তিনি লরেন্টের সাথে সাক্ষাত করেন।
এবং লরেন্ট আদালতের পুরনো রেকর্ডপত্র হস্তগত করেন। এবং এবিষয়ে একটা বই লেখা শুরু করেন "যোসেফে"র তত্বাবধানে। বই শেষ হওয়ার আগেই "যোসেফে"র পতন হয়। সেনা বাহিনীর সাথে তাকেও দেশ ছাড়তে হয়। তাই তিনি নতি-পত্র সহ প্যারিসে পাড়ি জমান।
এবং সেখানেই বইটি সমাপ্ত করেন। এখন লোরেন্টের ভাষায়ঃ "ইনকুইজেশনের মাধ্যমে ৩১,৬১৬ জনকে জীবিত দগ্ধ করা হয়েছিলো। পলাতে সক্ষম হয়েছিলেন ১৭,৬৫৯ জন। "
জন ম্যাটেলের বই "the rise of dutch republic" ১৮৫৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডন থেকে। লেখক ইনকুইজেশন সম্পর্কে লিখেনঃ "দেশের সকল দেওয়ানী, ফৌজদারী বিধান সমূহের উপর পাদ্রিদের কতৃত্ব ছিল।
সল্প সংখক লোক নিয়ে এই আদালত কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারতো না। তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ছিলো সর্বত্র। প্রত্যেকটি পরিবার সম্পর্কে তাদের জানাশুনা ছিলো। এবং তারা কারো কাছে জবাবদিহী করতে হতোনা।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।