নিজের কথা প্রকাশে ব্লগের চাইতে ভালো কিছু আর কিইবা হতে পারে।
২০০৭ সালের মার্চে জেনারেল মইন ইউ আহমেদ মুক্তিযোদ্ধাদের এক চা পানের অনুষ্ঠানে বললেন, জোট সরকারের সময় দূর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকরা বিদ্যুৎ খাত থেকে ২০,০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জেনারেলের এই বক্তব্যের জন্য ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।
পত্রিকা মারফত জানলাম অবসরে যাওয়া জেনারেল মইন তার পক্ষে মামলা চালানোর জন্য ব্যারিস্টার রফিক উল হক কে অনুরোধ করেছিলেন। সেই পত্রিকার মাধ্যমেই আবার জানতে পারলাম ব্যারিস্টার রফিক উল হক জেনারেলের অনরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এবং এ প্রত্যাখ্যানটা করেছেন নৈতিকতার প্রশ্নে।
২০০৯ এর অগাস্টে দুদক বহুল আলোচিত ব্যাবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি টাকার ট্যাক্স ফাকি দেয়ার জন্য মামলা দায়ের করে। ১৩ অক্টোবর মামুন ঢাকার এক কোর্টে জামিন আবেদন করে যা কোর্ট বাতিল করে দেয়।
তার সাতদিন পরেই হাইকোর্ট মামুনকে অস্থায়ী জামিন মন্জুর করে এবং সরকারকে কারন দর্শাতে বলে কেন মামুনকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না।
২০০৭ এর ৩০ জানুয়ারীতে গ্রেফতার হওয়া মামুনের আইনী লড়াইয়ের জন্যএই রায় ছিল এক বড় বিজয়।
অনেকে বলেন এই বিজয় সম্ভব হয়েছে যেহেতু ব্যারিস্টার রফিক উল হক মামুনের পক্ষে দাড়িয়েছেন।
দূর্নীতির বিপক্ষে কথা বলার মামলায় মইনের পক্ষে দাঁড়ালেন না ব্যারিস্টার রফিক উল হক অথচ দূর্নীতিতে অভিযুক্ত মামুনের পক্ষে থাকতে তাঁর জন্য নৈতীকতা বাধা হয়ে দাড়ালো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।