আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফোর্ট হুড হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
মার্কিন সৈন্যদের দু’দুটি যুদ্ধের ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে এতদিন সহযোগিতা করেছেন মেজর নিদাল মালিক হাসান। ৩৯ বছর বয়সি সেই সামরিক চিকিৎসক এখন ফোর্ট হুডের হাসপাতালে জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন। বেঁচে আছেন মেজর হাসান তবে নির্বাক শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের বিছানায়। চারিদিকে কড়া পাহারা। মাত্র একদিন আগেই তাঁর এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ মার্কিন সৈন্য।

আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। টেক্সাসের ফোর্ট হুডে সেনা ঘাঁটিতে রক্ত বন্যায় ভাসালেন যে হাসান, তাঁকে সবাই বই পড়ুয়া, বুদ্ধিমান এবং ভদ্র বলেই জানতো। অন্তত পরিবার, প্রাক্তন সহকর্মী এবং তাঁর শিক্ষাগুরুদের এরকমই মন্তব্য। হাসানের পিতা একজন ফিলিস্তিনি অভিবাসী। আরো কিছু অভিবাসীদের নিয়ে একটি ছোট্ট রেস্তোরাঁ চালান।

সমাজে সবার কাছেই বেশ শ্রদ্ধাভাজন হাসানের পরিবার এবং স্বজনরা। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়েই পিতার মতের বিরুদ্ধেই সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন হাসান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধে আহত সেনা সদস্যদের ক্ষত-বিক্ষত দেহ আর মনের চিকিৎসা করতে করতে হয়ত হাসানের নিজের মনের মধ্যেও বিকৃতির জন্ম নিয়েছে। তাঁর পেশাগত জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে ওয়াশিংটন ডিসি'র ওয়াল্টার রিড সেনা চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ফোর্ট হুডের ডার্নাল সেনা চিকিৎসা কেন্দ্রে। সহকর্মী ও আত্মীয় স্বজনের বক্তব্য হাসানের সাবেক সহকর্মী কর্নেল টেরি লি ফক্স নিউজ'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের রুখে দাঁড়ানো এবং যুদ্ধের প্রয়োজনীতার কথা' হাসানের মুখে শোনা যেত।

'' লি আরো জানিয়েছেন যে, ‘‘হাসানের প্রত্যাশা ছিল যে, প্রেসিডেন্ট ওবামা শীঘ্রই যুদ্ধের ময়দান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করবেন। '' পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর সহকর্মীরা যে বড় বড় দু'টি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, সবসময় তার বিরোধিতা করতেন হাসান। হাসানের খালা নোয়েল হাসানসহ আত্মীয়-স্বজনদের মন্তব্য, ‘‘হাসানকে আফগানিস্তানে পাঠানো হবে – এমন সম্ভাবনা তাঁকে ‘মর্মাহত' করে তুলেছিল। '' হাসানের চাচাতো ভাই নাদের হাসান নিউইয়র্ক টাইমস‘কে জানিয়েছেন, ‘‘কিছুদিন আগে হাসান তাঁর সামরিক বাহিনীর চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে চাকুরি থেকে অব্যাহতি নেওয়া যায় – সেজন্য আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন'' মুসলিম বিশ্বে যুদ্ধের ঘটনাসমূহের ক্ষোভ? তবে মুসলিম বিশ্বে যুদ্ধের ঘটনাসমূহ হাসানের এই গণহত্যার পেছনে অন্যতম কারণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। আত্মঘাতী হামলাকারীদের কাজের প্রশংসা করে ইন্টারনেটে দেওয়া একটি লেখার প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার।

সেই লেখাটিতে নিদাল হাসান নামের একজন ব্যক্তি আত্মঘাতী হামলাকারীদের জাপানের কামিকাজে পাইলটদের সাথে তুলনা করেছে। তবে এই ব্লগের লেখক এবং মেজর হাসান একই ব্যক্তি কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। অবশ্য, বৃহস্পতিবারের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে যে, গুলি চালানোর সময় হাসান ‘আল্লাহু আকবর' ধ্বনি দিয়েছিলেন। তবে হাসান যে মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তেন, সেখানকার ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন যে, তাঁর মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামির কোন লক্ষণ দেখা যায়নি কখনো। শান্তির জন্য কর্মরত গোষ্ঠী ‘কোডপিংক' এর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অ্যান রাইটের মন্তব্য, ‘‘ফোর্ট হুডে যা ঘটেছে, তা সম্ভবত যুদ্ধাঞ্চল থেকে আসা হাজার হাজার সৈন্যের পরিচর্যা করতে গিয়ে সৃষ্ট মানসিক যন্ত্রণার ফল।

'' তথ্যসূত্রঃ
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।