সারা পৃথিবীতে যত সোনা আছে তার ২.৫% সোনা আছে এখানে, ঠিকানা আমেরিকার ৭১১ ফোর্ট নক্স রোড, কেনটাকি, মার্কিন যুক্তরাস্ট্র। হ্যা এটা হল আমেরিকার ২য় বৃহত্তম সোনার মজুদের জায়গা। চলুন এটার সন্বন্ধে কিছু কথা শুনুন:
এটা বানাবার প্রথম বুদ্ধিটা আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট
এর মাথায়। ১৯৩৩ নালে তিনি এটা বানাবার হুকুম দেন। এবং দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগেই বানানো শেষ হয়।
ম্যাপে এটার অবস্হান দেখুন:
এটাকে আমেরিকার বুলিয়ন ডিপজিটরি বলা হয় যেখানে ৪৫৭৮ টনের মত সোনা আছে। তবে এর চাইতে বেশী সোনা আছে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউইয়র্ক, নিউইয়র্ক, ম্যানহাটানের মাটির নীচে, মজুদ প্রায় ৭০০০ টন এর মত।
এটার মূল সিন্দুকটা মাটির নীচে আর সেটা বানানো হয়েছে বোমা প্রুফ, কাটার প্রুফ, ওয়েল্ডিং প্রুফ দেয়াল দিয়ে আর দরজাটা ২১ ইন্চি পুরু ভাংগা প্রুফ এলয় দিয়ে। দরজাটারই ওজন ২২ টন।
এখানে রক্ষিত সোনা দুনিয়ার অন্যতম সেরা প্রহরার ভিতরে রাখা হয়।
পাহারা দেয়ার জন্য আছে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত পুলিশ দ্বারা। সাথে
অবশ্যই সাথে সেনাবাহিনী থাকে। হ্যা এটা পাহারা দেয়ার জন্য প্রায়
৩০০০০ চৌকশ সৈন্যের একটা সুসজ্জিত দল সবসময় প্রস্তুতি নিয়ে অবস্হান করে থাকে।
এটাতে বিভিণ্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবহার করা হয়্ নিরাপত্তার জন্য মাইনফিল্ড, কাটাতার, আর্মার্ড পারসোনেল কেরিয়ার, এটাক হেলিকপ্টার, আর্টিলারী ইত্যাদি। মোটামুটি এটাকে দুর্ভেদ্যই বলা যায়।
আবার বলি ৪৫৭৮ টন সোনা এখানে আছে। কত ভরি হয়, আজ্ঞে, আদার ব্যাপারি তো জাহাজের খবর বলতে পারছিনা।
সুত্র: ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।