আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কতদিন চলবে এই গরীবকে নিয়ে, ইঁদুর বিড়াল খেলা?

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

পৃথিবীর কোথাও হয়ত এমন উদাহরণ নাই যে, মাসিক মাত্র ২৩-২৫ ডলারে মাসভর শ্রমিক পাওয়া যায়। আর তাও যদি হয় ৮ ঘন্টার শ্রমঘন্টা!! বেশীভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ১২/১৩ ঘন্টাও খাটতে হচ্ছে তাদের। হ্যাঁ, আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের কথা বলছি। টিভিতে দামী স্যুট পড়ে, দামী গাড়ি হাকিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে মাইক্রোফোনের সামনে যাদের কথা বলতে দেখা যায়, ওরাই এই অবহেলিত শ্রমিকের মজুরীর ভাগ থেকে পয়সা মেরে দেয়।

আর ঐ বাড়তি মেরে দেয়া টাকাতেই ঐসব গার্মেন্টস মালিক আর উচ্চ পদস্থ কমকর্তাদের চেহারাটা একটু বেশীই গ্লেস মারে। একটা গার্মেন্টেসের শুধু এই লেবার লেভেলটাই প্রতারিত হয় বারে বার। তারা তাদের পাওনা টাকাটা পায় না। অথচ, তাদের উপরের লেভেল গুলোতে কোন সমস্যা নাই। আপনি চিন্তা করেন, একজন মার্চেন্ডাইজার কত বেতন পায়? গার্মেন্টস ভেদে, যোগ্যতা ভেদে হয়ত ৫০ হাজার থেকে ৩/৪ লক্ষ টাকাও আছে।

একটা মার্চেন্ডাইজার যেমন একটা গার্মেন্টস শিল্পর জন্য প্রয়োজন ঠিক তেমনি একজন গার্মেন্টস মেশিন অপারেটরও তেমন প্রয়োজন। তাহলে যোগ্যতা ও কর্ম ভেদে কেন তাদের উপর অবিচার করা হচ্ছে? একজন গার্মেন্টস কর্মীকে শিক্ষিত হতে হয় না, কিন্তু তার কর্মঘন্টার মূল্য এবং জীবন ধারনের জন্য নূন্যতম মজুরীটা তো তাকে দিতে হবে। সে তো জীবন ধারনের জন্য কাজ করছে। একজন মার্চেন্ডাইজার বা উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এক কোম্পানী থেকে অন্য কোম্পানীতে সুইচ করলে তার বেতন বাড়ে, চাহিদা বাড়ে কিন্তু একজন কর্মীর বেলায় কিন্তু তেমন না। সে যেখানেই যাক, তার মজুরী একই।

এর অর্থ হচ্ছে এই গার্মেন্টসগুলো একটি সিন্ডিকেট করে ফেলেছে। একটি জালের মাঝে বেঁধে ফেলেছে এই সব নীরিহ কর্মীদের। তাদের সরলতা আর অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে জীবন নিয়ে খেলছে। এরা মানবেতর জীবন যাপন করছে, সেদিকে কারো খেয়াল নেই। দেশের অর্থনীতি চাকা তারা ঘোরালেও তাদের কোন মূল্য নেই।

আর কালেক্টিভ বার্গেনিং এসোসিয়েশন গুলো কোন কাজের না। তারা যদি নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করতো তবে এতদিন বাংলাদেশে এই সমস্যার সমাধান হতো। মালিক পক্ষ, সরকার, প্রশাসন বার বার টেবিলে বসছে কিন্তু অন্যসব সমস্যা সমাধান হলেও শ্রমিকের সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। এটা নিতান্তাই, গরীবকে নিয়ে খেলা। এই গরীবকে নিয়ে ইঁদুর বিড়াল খেলা আর কত দিন চলবে?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।