A Hero will Rise Up Just In Time
১৯৮৬ সাল। আমি তখন এই এইটুকু। অক্টোবর মাসের ১ কি ২ তারিখ। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আব্বুর হাত প্লাস্টার করা। আম্মু বলল রাতে খাট থেকে পড়ে যেয়ে আব্বুর হাত ভেঙ্গে গেছে।
অক্টোবরের ৯ তারিখ। ঐ হাত ভাঙ্গা অবস্থাতেই বিপুল উদ্দীপনার সাথে আব্বু আমার জন্মদিন পালন করলো। আত্মীয়দের সবাইকেই প্রতি বছরের মতো দাওয়াত করা হলো। প্রচন্ড আনন্দে কেটে গেল দিনটা।
ঐ মাসেরই ১৭ কিংবা ১৮ তারিখ।
আম্মু আমার আব্বুকে ঢাকায় নিয়ে গেল। সাথে গেল আমার এক চাচা, খালু আর এক মামা। আমাকে বলা হলো আব্বুর কোন একটা অসুখ হয়েছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েই ফিরে আসবে।
অসুখতো আমারও হয়।
চিন্তার কি আছে? ছোটবেলার ছোট মনটা যেন এই কথাটাই আমাকে বোঝালো।
অক্টোবরের ২২ তারিখ। আজকে আব্বু আম্মুর ঢাকা থেকে ফেরার কথা। চাচা, চাচী, মামা, মামীতে ঘর ভরে গেছে। আব্বু আসবে, এতে এতো লোক আসার কি আছে বুঝলামনা।
আমিতো আনন্দে কাজিনদের সাথে খেলা করছি। এমন সময় দেখলাম, আম্মু গেট দিয়ে বাসায় ঢুকছে। আমি খুশীতে আম্মুর দিকে ছুটে যাচ্ছিলাম। কিন্তু দেখলাম আম্মু কাদতে কাদতে ঢুকছে। তখন বুঝিনি, কি হয়েছে।
কিন্তু কিছুক্ষন পরেই জানতে পারলাম, যে আব্বু আমাকে কোলে আগলায়ে রাখতো, নিউমার্কেটে যেয়ে কিছু বলার আগেই খেলনা কিনে দিত, সেই আব্বু আর বেঁচে নাই, ছেড়ে চলে গেছে আমাদের সবাইকে
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে আসে আমার জন্মদিন আর ২২ তারিখে আসে আব্বুর মৃত্যুবার্ষিকী। আসলে আব্বু মারা যাওয়ার পরেও আম্মু আমাকে আর আমার আপুকে আব্বুর কষ্ট বুঝতে দেয়নি। সব চাওয়াই পূরন করার চেষ্টা করেছে আমাদের। ভালোভাবে মানুষ করেছে আমাদের ২ ভাইবোনকে।
এতকিছুর পরও যেন মনের কোনখান থেকে কিছু একটা বলে ওঠে...............বাবা কতদিন, কতদিন দেখিনা তোমায়........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।