ইতপউস .....
পিচ্চিকালের প্রিয় প্রিয় খাবার গুলো
[আমার পিচ্চিকালের সময় গুলোই ভাল লাগে। সেই দিন গুলো মনে করে সব কষ্ট, হতাশা গুলো ভুলে যাই। সেই ছোট্ট ছোট্ট কাজ গুলো এখন করতে কখনই ভাল লাগবে না কিন্তু সেই সময়ের আনন্দ টুকু মনে করে অনেক ভাল লাগে। আমি তাই ভেবে রেখেছি আমার সব পিচ্চি বেলার কথা, স্মৃতি গুলো ব্লগে লিখে রাখবো। কখনো যদি এমন দিন আসে আমি সব ভুলে গেছি, এই লেখা গুলো থেকে ফিরে যাব সেই দিন গুলোতে।
]
বাচ্চা দের খাওয়া নিয়ে কোন মা নেই চিন্তায় পরে না! বাসায় কিছু খেতে চায়না, এটা খায় না, ওটা খায় না! আমার ভাই কে নিয়ে ও আমার আম্মুর চিন্তার শেষ নেই! ১ টাকার বার্মিজ আচার গুলো পেলে সে আর সব কিছু ছেড়ে দিতে রাজি। এক দিনে ৫০ টা আচার খাবার রেকর্ডও আছে ওর!! আমি খুব অবাক হলাম কিভাবে পারে! কিন্তু তার পরেই মনে হয় আরে আমিওতো এমনি করতাম যখন ছোট ছিলাম। কত কত মজার সব খাবার যে খেতাম সারাদিন! বাসায় আর কিছু খেতে পারতাম না! আমি মনে করে করে বের করেছি কি কি খেতাম তখন। বের করতে গিয়ে দেখি লিস্ট আর শেষ হয়না! আমার আবার মনে পরে যাচ্ছে সেই সব দিন গুলো । কি যে আনন্দের ছিল! সারাদিন ঘুরে বেড়ানো আর নানা রকম জিনিস খাওয়া।
সারাদিন। কিছু না কিছু মুখে থাকবেই। আর সব থেকে আজব হলো কত কম দামে যে সেই মজার মজার খাবার গুলো পাওয়া যেত!!! এখন সেটা কখনই সম্ভব না!
টিকটিকিঃ
সত্যি কারের টিকটিকি না কিন্তু। বাসার কাছেই একটা পিচ্চি কাঠের ছোট্ট দোকান[অনেকে টং দোকান বলে] নিয়ে বসে থাকত একজন লোক। তার কাছে পাওয়া যেত এটা।
দেখতে একদম টিকটিকির ডিমের মত ছোট ছোট, মিষ্টি মিষ্টি, লাল নীল সবুজ হলুদ রঙের, আমি বলতাম টিকটিকি। ছোট্ট একটা ম্যাচের বাক্সের মত সাইজের কাগজের বাক্সে করে পাওয়া যেত। মাত্র ১টাকা করে। দাদা যখনি বের হতেন বাইরে আমার জন্য কিনে আনতেন। আর আমি সারাদিন সেই বাক্স থেকে ১টা ১টা করে বের করে খেতাম।
মাঝে মাঝে আমি নিজে ও কিনে খেতাম। এই জিনিসটা আমি এত বার খেয়েছি যে আমার ১টা মায়া পরে গিয়েছে। এখনো মনে পরে টিকটিকি দেখলেই! এখন আর পাওয়া যায় না। আমি কোথাও দেখিনি আর।
টক ঝাল মিষ্টি আচারঃ
এই আচার টা কি দিয়ে বানানো আমি জানি না।
স্বাদ টা ছিল টক ঝাল মিষ্টি। কখনো বড়ই মনে হতো, কখনো তেঁতুল। প্লাস্টিকের ছোট চারকোনা কাগজের মাঝে আচার রেখে মুড়ে দেওয়া হতো। দেখতে চারকোনা ছোট্ট বক্সের মত। .৫০ পয়সা করে দাম ছিল।
প্রতিদিনই আমার এই আচার খাওয়া চাই। ২টা কিনে শুরু হয়ে যেত আমার খাওয়া! এটাও এখন আর পাওয়া যায়না।
আমসত্ত্বঃ
আমসত্ত্ব ঝুড়িতে করে বিক্রি করত ফেরিওয়ালা। এটাও ছিল আমার অনেক প্রিয়। ১টাকা দিয়েই অনেক গুলো আমসত্ত্ব পাওয়া যেত।
ছোট ছোট কাগজের টুকরা তে লবণ মরিচ দিয়ে একটু একটু করে!!
বড়ই আচারঃ
এই আচারটা ছিল শুধুই বড়ইয়ের। মিষ্টি আচার। ঝুড়িতে করে ফেরি করত। কাগজের টুকরায় ১টাকার আচার দিয়েই অনেক সময় কাটত! এই আচারটা প্রতি দিন পাওয়া যেত না। যদি লোকটা আসত তা হলে।
আর বিকেলে খেলার ফাকেই বেশি খেতাম। আর বড়ই বারো মাসি তাই বারো মাসই পাওয়া যেত।
চালতার আচারঃ
সব আচারের মধ্যে এই চালতার আচার আমার এখনো অনেক অনেক পছন্দের। আমি এখন আচার খাইনা। শুধু এই চালতার আচার ছাড়া।
বড়ই বিক্রি করত যেই লোক তার কাছেই চালতার আচার পাওয়া যেত। চালতার আচার বছরের ১টা নির্দিষ্ট সময় পাওয়া যেত। ১টাকা বা ২টাকার আচার নিয়ে! ভাবতেই আমার স্বাদ মনে পরে যাচ্ছে। যেন এখনো খাচ্ছি!
চুইংগামঃ
চুয়িংগাম মুখে দিয়ে সারাদিন ধরে চিবানোতো খুবই কমন ছিল। পেন-ড্রাইভের সমান চারকোনা কাগজে মোড়ানো প্যাকেটে পাওয়া যেত চুইংগাম।
আমি তখন ১টা ১টাকা দিয়ে কিনে খেতাম। আমার ঐ ১ টাতেই সারাদিন চলে যেত।
ডাল ভাজাঃ
ঝাল ঝাল করে হলুদ আর লবণ মাখানো ডাল ভাজা পাওয়া যেত বাসার পাশের দোকানে। খোলা। কাগজের ঠোঙ্গা তে করে ১টাকা করে কিনে খেতাম।
যেটা এখন প্রাণ ডাল ভাজা নামে পাওয়া যায়। আমার কি যে ভাল লাগত!
চিড়া ভাজাঃ
ডাল ভাজার মতই চিঁড়া ভাজা পাওয়া যেত। লবণ আর হলুদ মাখানো। এটাও খেতাম যদি ডাল ভাজা না পেতাম!
বুট ভাজাঃ
বাদামওয়ালা ঝুড়িতে করে বাদাম আর বুট ভাজা বিক্রি করত। এই বুট ভাজাও কট কট করে চিবিয়ে খেতে ভালই লাগত! চাবাতে চাবাতে গাল ব্যাথা হয়ে যেত তাও ভাল লাগত!
বাদাম ভাজাঃ
বাদামও অনেক খেতাম।
সন পাপড়িঃ
মিষ্টি মিষ্টি সাদা সন পাপড়ি আমার এখনো ভাল লাগে। দারুণ মজা! কাচের বক্সে করে কাধে ঝুলিয়ে এক লোক বিক্রি করতেন। ১টাকা করে কাগজে করে হাত মুখ ভড়িয়ে খেতাম!
হজমিঃ
প্রায় প্রতিদিন ১ লোক সাইকেলে করে আসত। সাইকেলের পেছনে কাঠের বাক্স ছোট। সেই বাক্সে ৪/৫টা প্লাস্তিকের বয়াম।
সেই বয়ামের একটাতে থাকত সাদা মিষ্টি চিনির গুড়ো, আরেকটায় থাকত কালো একটা টক টক কিছুর গুড়া নাম জানিনা, আরেকটায় খয়েরি রংযের গুড়া। এমন ৪/৫ রকম গুড়া একসাথে মিক্সড করে বানিয়ে দিত হজমি! ১টাকা করে কিনতে হতো। ছেড়া কাগজে করে দেওয়া হতো। আর আমরা আঙুলে করে একটু একটু করে খেতে ঘণ্টা খানেক লেগে যেত। ওই লোকটা মাঝে মাঝে চালতার আচার বিক্রি করতেন।
আর আমার আনন্দ শেষ হতো না!
টানা মিঠাইঃ
এটা কে কি বলা যায় আমি জানিনা। তাই নিজেই নাম দিয়েছি টানা মিঠাই। লম্বা কাঠের মোটা লাঠির মত একটা জিনিস নিয়ে এক লোক অনেক দিন পরপর আসতেন। লাঠির মাঠায় প্লাস্টিকের কাগজে মোড়া থাকত। কেউ চাইলেই সেখান থেকে টেনে টেনে বের করে আংটি গলার মালা, হাতের চুড়ি, পাখি, ফুল, পাতা আরো অনেক কিছু বানিয়ে দিতেন।
সাদা আর গোলাপি রংয়ের , মুখে দিলেই গলে যায়! আমরা পিচ্চিরা খুব পছন্দ করতাম। এখন পাওয়া যায় কিনা জানিনা!
আইসক্রিমঃ
আইসক্রিমের কথা বলে শেষ হবেনা! কত রকম , কত রঙের আইসক্রিম যে পাওয়া যেত! ১টাকা করে সাদা আইসক্রিম, ২টাকা দিয়ে সবুজ আর কমলা আইসক্রিম! গরমে আইসক্রিম ছাড়া আর কোন কথা নেই!
ক্রিম রুটি/ বন রুটিঃ
এই রুটি গুলোর কথা বলে বোঝানো যাবেনা,রুটি গুলো লম্বা চ্যাপ্টা, মাঝখানে লম্বা করে কেটে ২ ভাগ করা, আর তার মাঝে মিষ্টি ক্রিম দেওয়া। এই রুটিটাও আমার অনেক পছন্দের ছিল। আমি এটা বেশিরভাগ সময় স্কুলে নিয়ে যেতাম। আর মাঝে মাঝে বাসায় কিছু খেতে ইচ্ছে না করলে আম্মুকে বলতাম ভাত খাবোনা, ক্রিম রুটি খাবো।
আর ১টা তেই আমার পেট ভরে যেত। [অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছে আমাকে যে এই রুটির নাম হবে বন রুটি ছিল। ]
কাঁচা আমঃ
কাচা আম গাছ থেকে পেরে লবণ দিয়ে খেতে কে না পছন্দ করে! আবার কুচি করে কেটে লবণ মরিচ দিয়ে মাখানো! আম ভর্তা! সরষে দিয়ে আম মাখা! আর কি চাই! আমার এখানে আরো মজা হতো। বড় ভাইয়ারা আসে পাশে যত আম গাছ ছিল, সব গাছ থেকে অনেক আম পারত কাচা। বড় আপুরা সেই আম ভর্তা করে সবাইকে ভাগ করে দিত।
ওই রকম সবাই মিলে খেতে যে কি ভাল লাগত!
জামঃ
জাম গাছও আছে ২টা। জামের সময় জাম পেড়ে লবণ মরিচ দিয়ে জাম ভর্তা খাওয়া হতো। অনেক সময় স্কুলে কিনে খেতাম। ঝুড়িতে করে বিক্রি করত। ওরা খুব অদ্ভুত করে ভর্তা করে।
আমার দেখতে দারুণ লাগে!
বড়ইঃ
কাচা বড়ই গাছ থেকে পেড়ে ভর্তা করে খেতাম। এটাও দল বেধে। বড়রা বানাতো বেশি করে। মাঝে মাঝে আন্টিরা বানাতো! আমি এমন আর দেখিনা কোথাও আর। সেই চেনা পরিচিত মানুষ গুলো আর নেই।
সেই আনন্দ ও আর নেই। কিন্তু ভেবে এখনো মনে করি সেই দিন গুলো!
চানাচুর মাখাঃ
চানাচুর মাখা কারো ভাল লাগে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না মনে হয়। এখনো বাসায় বানাই। পিচ্চি বেলায় সবার বাসা থেকে একটু করে চানাচুর এনে, পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ , তেল , টম্যাটো দিয়ে মাখানো হতো। তার পর! এই চানাচুর মাখা কিনে ও খেয়েছি।
১টাকা , ২টাকা করে, স্কুলে বেশী খেতাম। এখনো বাইরে ঝাল মুড়ি কিনে খাওয়া হয় যদি চোখে পরে। বাসায়ও বানানো হতো।
ঝাল মুড়িঃ
চানাচুর এর সাথে মুড়ি দিয়ে , তেল পেঁয়াজ, বেশী করে মরিচ, সরিষা তেল, লবণ, নানা রকম মসলা দিয়ে বানানো হয়। ঝাল মুড়ি ওয়ালারাই চানাচুর মাখা বানায়।
কখনো চানাচুর মাখা, কখনো ঝাল মুড়ি খেতাম!
আমড়াঃ
কাচা আমড়া যখন পাওয়া যেত, কাঠের গাড়িতে করে ফেরি করত। কেটে, পাঁচ টুকরা করে, লবণ মরিচ দিয়ে কাঠি তে গেঁথে! এখনো পাওয়া যায়। এখনো খাই! এর সাথে পেয়ারা ও পাওয়া যেত,
কামরাঙ্গাঃ
কেটে কেটে লবণ দিয়ে টক টক খেতে দারুন!
তেঁতুলঃ
তেঁতুল তো এমনি এমনি লবণ মরিচ দিয়েই খেতাম!
তেঁতুল পাতাঃ
খিক খিক! আমার স্কুলের পেছনে ছোট তেতুল গাছ ছিল, একটা মেয়ে আমাকে শিখিয়েছিল, তেঁতুল পাতা খেতে টক টক! আমিও মাঝে মাঝেই সেই তেঁতুল পাতা খেতাম! খিক খিক!
আখঃ
আমার দাদা আমার জন্য মাঝে মাঝেই আখ কিনে নিয়ে আসতেন। নিজ হাতে দা দিয়ে আখ গুলো ছুলে পিচ্চি পিচ্চি করে কেটে দিতেন। আর আমি খেতাম! দাদা বাইরে গেলেই আমার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন।
এখন আখ খাওয়াই হয়না। বাসায় আনা হলে ও খেতে ইচ্ছা করেনা। খুব মিস করি তখন দাদা কে।
কতবেলঃ
আমড়া ফেরি করার লোকটাই কতবেল বিক্রি করতেন। কতবেল ফুটা করে তার মাঝে লবণ মরিচ দিয়ে ঘুঁটে দেওয়া হয়।
আর তার মাঝে একতা কাঠি দিয়ে দেয়। সেই কাঠি দিয়ে একটু একটু করে নিয়ে নিয়ে সেই পুরো কতবেল শেষ করতে আমার আধা বেলা চলে যেত! এই কতবেল এখনো রাস্তায় দেখি।
টক ঝাল মিষ্টি চকলেটঃ
এই চকলেট টা একটু অদ্ভুত ছিল! টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের। ১টাকাতে ৪টা পাওয়া যেত। স্বাদ টা অনেকটা হজমির মত কিন্তু হজমি না।
এখন পাওয়া যায় না। আমি ৪টা নিয়ে ১টা ১টা করে শেষ করতাম !
তিলের খাজাঃ
তিলের খাজা এখনো পাওয়া যায়। কি দিয়ে বানানো হয় জানি না। কড়া মিষ্টি স্বাদ! চার কোনা প্যাকেটে করে পাওয়া যেত। পুরা প্যাকেট ৫টাকা।
প্যাকেটের ভিতর খাজা ৫ ভাগ করা, ৫ টা টুকড়া করে থাকে। আমরা ১টাকা দিয়ে ১টা টুকরা কিনে খেতাম!
হাওয়াই মিঠাইঃ
কাছের বাক্স কাধে ঝুলিয়ে ফেরি করে বিক্রি করত এক লোক। বাক্সে থাকত গোলাপী রঙের মিষ্টির সাইজের হাওয়াই মিঠাই! মুখে দিলেই গলে যায়! আমরা জিভ লাল করে এই হাওয়াই মিঠাই খেতাম। এখন বড় বড় পলিথিনে করে পাওয়া যায়। আমাদের গুলো অনেক ছোট হতো।
১টাকায় ৪/৫টা করে পাওয়া যেত।
[এই হাওয়াই মিঠাইয়ের ছবিটা দিয়েছেন, বৃত্তবন্দী]
কটকটিঃ
এই কটকটি কে কিভাবে ভুলে যাই! বাদাম আর মিঠাই দিয়ে বানানো!
[কটকটি কিনতে পয়সা লাগতোনা। পুরানা লোহা লক্কর ছেড়া স্যান্ডেল, ফিউজ ব্লাব, বোতল আরো বিভিন্ন ফেলনা দিলে একটুকরা কটকটি পাওয়া যেত। ] - দূরের মানুষ
আরো কিছু নাম মনে পরেছে আর সবার থেকে জানা গেছে সেগুলো পোষ্টে দেয়া হলো নিচে সবার নাম সহ।
***আমলকি, পানি ফল!
চিপসঃ
বম্বে রিং চিপস/ এই রকমি নাম ছিল মনে হয়! চিপস গুলো হলুদ রিং এর মত ছিল।
আমরা রিং গুলো ২ হাতের ১০ আঙ্গুলে পরতাম। আর আঙ্গুল থেকে মুখে নিয়ে খেতাম!!!!!!!! এই চিপসের নাম বম্বে রিং চিপ্স। [নাম মনে করিয়ে দিয়েছেন, স্পেলবাইন্ডার]
ক্রীমরোলঃ
গোল আর একদম গাজরের মত ছিল। ভিতরে ক্রিম দেয়া। আমার তেমন ভালো লাগতো না।
[এই নামটা মনে করিয়ে দিয়েছে অনন্ত দিগন্ত ভাইয়া]
পেটিসঃ
এটা ভালো লাগতো কিন্তু একটু দাম বেশি ছিল তাই খুব একটা খাওয়া হতো না। আমি যেগুলোর কথা বলেছি সব গুলোই আমার অনেক অনেক প্রিয়। [এই নামটা মনে করিয়ে দিয়েছে অনন্ত দিগন্ত ভাইয়া]
!!!!!!
একটা কাঠের তৈরী গাড়ীতে গোল ডালার মধ্য সাদা হালুয়ার মত কিছু থাকতো, তা কোনের মধ্যে চামুচ দিয়ে দিত। কোন গুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে ঝুলত। দাম ৫০ পয়সা আর এক টাকা (বড়টা)।
- আরেফিন জিটি
ললিপপঃ
ললিপপের কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম! আয় হায়! এত প্রিয় একটা খাবার ছিল এটা! লম্বা কাঠির মাথায় লাল সবুজ হলুদ গোল বলের মত, কোনটা চ্যাপ্টা, চকলেট ছিল। অনেক অনেক ভালো লাগতো আমার।
মিমিঃ
এই মিমিটা ৫ টাকা করে ছিল। যেদিন কাকা মাঝে মাঝে দোকান নিয়ে বলত কি খাবা? সেদিন ঐ মিমিটা কিনে দিতে বলতাম কাগজের প্যাকেটে বাদামের ছবি থাকত। তাই না ভাইয়া? এখন পাওয়া যায় না।
টফিঃ
একটু তিতা তিতা মিষ্টি চকলেট। কফি দিয়ে বানানো হতো। এটাও খেয়েছি অনেক।
ভুট্টা ভাজাঃ
এখন পর্যন্ত একবার খেয়েছি। ভালো লাগে না।
]
- এই নাম গুলো মনে করিয়ে দিয়েছেন অ্যামাটার ভাইয়া। ]
পাপড়ঃ
হলুদ আর গোলাপি। পাতলা কাগজের মত দেখতে। মুখে দিলেই নাই হয়ে যেত। একটা লোক আসতে আমাদের পাড়ায়।
"পাপড় ভাজা খাইতে মজা জলদি আয় জলদি আয়" বলে হাঁক দিত সে। - রিমি (স. ম.)
আরো অনেক অনেককিছু! যার অনেক গুলোই এখন পাওয়া যায় না। এত এত কিছু খেতাম ছোট বেলায়! কি দারুন ছিল সেই সময় গুলো! এখন বুঝি কেন বাসায় কিছু খেতে চাইতাম না ! যে সারাদিন এত এত মজার জিনিস গুলো খায় তার কাছে কি বাসায় কিছু খেতে ভাল লাগার কথা!!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।