আমি খুব সাধারণ
যখন ছুডু আছিলাম (কেলাস টু-থ্রীতে পড়ার সময়) তখন আমার প্রায়ই বেশ অ্যলার্জি হইতো। খুব সম্ভবত বাছ-বিচারহীনভাবে বেশি খাইতাম বইলা । আ্যালোপ্যাথিক ওষুধে তেমন কাজ হইতো না। শেষে আব্বার এক কলিগ বুদ্ধি দিলো যে নওমহল মসজিদের সামনে নির্মলবাবু নামে একজন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার আছেন তার কাছে যাইতে। যতদুর মনে পড়ে, ওষুধে বেশ কাজ হইছিলো।
তয় প্রবলেম হইলো কিছু দিন পরে পরে ওষুধ আনতে যাওয়া লাগতো। নির্মলবাবু আবার অল্প অল্প কইরা ওষুধ দিতেন (সম্ভবত ১০-১২ দিনেরটা একবারে)। মিষ্টি মিষ্টি সাদা পিচ্চি বড়ির মধ্যে দুই-তিন ফোঁটা কেমিক্যাল দেওয়া জিনিসগুলা খাইতে আমার বেশ ভালোই লাগতো ।
শুরু থাইকাই আম্মা আর আমি ডাক্তারের কাছে যাইতাম। সবসময়ই রিক্সা ছিলো একমাত্র বাহন।
তো এমনই একদিন নির্মলবাবুর কাছে আমরা গেছি। ফেরার পথে বাসার খুব কাছাকাছি আইসা যখন আমাদের রিক্সাওয়ালা ডানদিকে সিগনাল দিলো যে ডানের চিপা গলিতে ঢুকবো (যেদিকে আমাদের বাসা), তখনই পেছন থাইকা এক মটরসাইকেল খুব দ্রুত আমাদের সমান্তরালে চইলা আসে আর ঐটার পেছনের আরোহী চলন্ত অবস্হাতেই আম্মার ব্যাগ ধইরা হ্যাঁচকা টান দেয় এবং স্পীড বাড়ায়া চইলা যায়।
আম্মা খুবই ভয় পাইছিলো। আম্মার ভয় দেইখা আমিও ভয়ে কাহিল হইছিলাম ।
পরে বাসায় আইসা আম্মা কইলো নির্মলবাবুর বাসা থাইকাই ঐ মটরসাইকেলটা আমাদেরকে ফলো করতাছিলো আর একটু পর পর আমাদের রিক্সার সামনে-পিছনে আসতাছিলো (সম্ভবত টার্গেট প্র্যাকটিস )।
পরে যখন দেখলো যে আমাদের রিক্সা ছোট গলিতে ঢুইকা পড়তে যাইতাছে, তখনই তারা এটেম্পট নেয়।
ভাগ্য ভালো ব্যাগটা নিয়া গেলেও তাতে তেমন দামী কিছু ছিলো না। একেবারে অল্পের উপর দিয়া গেছে।
ছবিঃ ভাসমান রিক্সা (বিহার, ভারত)
সূত্রঃ ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।