আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দি ডিরেক্টর-বাস্তবে ভরপুর কল্পনায় ঠাসা এক সিনেমায় আদিমতার হাতছানি।

কতো কী করার আছে বাকি..................

ফেইসবুকের কল্যানে মোটামুটিভাবে দি ডিরেক্টরের আনাগোনার সাথে আমি নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে আছি। কিন্তু এইটা নিয়া আগ্রহ টাগ্রহ তেমন ছিল না। কোন কোন দিন দেখা যাইত দ্যা ডিরেক্টর গ্রুপ থাইকা মেসেজ পাঠাইছে, কি মেসেজ আর পইড়া দেহি না। কই কই জানি দেখলাম এই সিনেমার গান নিয়া কারা কারা খুব প্রশংসা করতেছে। আমি সেই গানও শুনি নাই।

আগ্রহ পাই না দেইখা। তারপরও দি ডিরেক্টর আমার আশপাশের বাংলা সিনেমার মতো একটা পোস্টার হয়া ঝুইলা থাকে, আমি খালি তাকাই, দেখি না। সেদিন একটা ছবি দেইখা চোখ আটকাইলো। তহনি মনে হইলো কি আছে এই সিনেমায়। এতো প্রচার দিয়া-আয়োজন নিয়া কি কইতে চায় দি ডিরেক্টর।

পোস্টারটা দেহেন-এই পোস্টার ক্যান আমার দৃষ্টি আটকাইলো তা নিয়া আরা কথা না কই। বরঞ্চ বুঝবার চেষ্টা করেন, এই পোস্টার কি কইতে চায়। এই সিনেমার কাহীনি আর আরো কিছু স্থির চিত্র দেখলেই আপনাদেরও মনে হইতে পারে কি কইতে চায় এই সিনেমা, আর মনে না হইলে মাইনাস দিয়া যায়েন, নো আপত্তি। ছবি আর কাহিনীর সাথে ফাও হিসাবে পাইবেন ওই দি ডিরেক্টর গ্রুপের ওয়ালে লেখা কিছু কমেন্ট। আর সেই গ্রুপের কিছু ছবির পোস্ট ট্যাগগুলো উল্লেখ করবার মতো নির্লজ্জ হইতে পারলাম না।

এবার দেখুন এই ছবির কাহীনি কি- ‌''দাম্পত্য সংকট নিয়ে ছবি নির্মাণ করছে ডিরেক্টর রতন। তার বউ হেনা চাকরি করে রংপুরে। ৬ বছরের ছোট্ট মেয়ে আদ্রিতাকে নিয়ে সে রংপুরেই থাকে। ছুটিছাটায় মা-মেয়ে বেড়াতে আসে ঢাকায়। এবারেও তারা এসেছে।

ছবি আঁকা, কার্টুন দেখা, আর ঘর-বারান্দা-ছাদে খেলে বেড়ানো, ঢাকায় থাকার দিনগুলো এভাবেই কেটে যায় ফোকলা দাঁতের মিষ্টি মেয়ে আদ্রিতার। শুটিং শেষে গভীর রাতে ঘরে ফেরে রতন। ক্লান্ত আর অবসন্ন দেহ মুহূর্তেই হারিয়ে যায় ঘুমের অতলে। স্বামীকে কাছে পেয়েও পুরোপুরি পাওয়া হয় না হেনার। অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয়, আরো এক বিপন্ন বিস্ময় খেলা করে তার অন্তর্গত রক্তের ভেতর।

রতনের সময় নেই। যতক্ষণ বাসায় থাকে, মেয়েকে নিয়ে মশগুল। আর যতক্ষণ শুটিং-এ, যতক্ষণ আড়ালে, ততক্ষণ-ই নায়িকা ফারিয়া। সেই আদিমের হাতছানি। সেই ছলনার মায়াজাল।

যে দাম্পত্য সংকট নিয়ে ছবি বানাচ্ছিল রতন, সেই দাম্পত্য সংকটই তছনছ করে দিল আদ্রিতা ও তার মায়ের জীবন। তারপর? তার পরই এক নতুন চমক। পত্রিকায় খবর এলো, ছবির কাজ অসমাপ্ত, নায়িকাসহ ডিরেক্টর উধাও। খবর পড়ে চান্দি গরম প্রোডিউসার কচি খন্দকারের। গল্প বাঁক নিয়ে দৌড় দেয় অন্য দিকে।

বিপদে পড়ে কচি ফোন দেয় কামরুজ্জামান কামুকে। নারী-বেষ্টিত কে এই কামু ? আগে একবার তাকে দেখা গিয়েছিল ফারিয়া-রতনের অভিসারের সাক্ষী হিসাবে! এবার দেখা গেল তার আরেক রূপ। রহস্যময় কামুর মধ্যস্থতায় অসমাপ্ত ছবির কাজ শেষ করার দায়িত্ব পায় ডিরেক্টর মারজুক রাসেল। সে কাস্ট করে নায়িকা পপিকে। শুরু হয় মারজুক-পপির ফ্যান্টাসি।

কিন্তু কামুর বান্ধবী চৈতি কেন ফোন করে হুমকি দেয় মারজুককে? সংকট গভীর হয়। হাওয়া খেয়ে ফেরার পথে মারজুকের গাড়ি থেকে পপিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় ভিলেনের মত কে এই কালো লোকটা ? এখন নায়িকা ছাড়া কিভাবে শেষ হবে ছবির কাজ ? তাহলে কি কচি খন্দকার ঈদের আগে মুক্তি দিতে পারবে না তার জীবনের প্রথম ছবি? এইসব প্রশ্নের উত্তর দিবে বাস্তবে ভরা কল্পনায় ঠাসা নাচেগানে ভরপুর পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা দি ডিরেক্টর। '' সিনেমাটা দেখমু কি না জানি না। কিন্তু আমি যে কিছু জায়গায় একদমই বুঝি নাই। আপনেরা পারলে এট্টু বাঝায় দিয়েন।

এই যেমন ধরেন-অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয়, আরো এক বিপন্ন বিস্ময় খেলা করে তার অন্তর্গত রক্তের ভেতর। এখানে বিপন্ন বিস্ময়টা জিনিসটা কি। বাকি কাহীনি পইড়া মনে হয় নাই বিপন্ন বিস্ময় জাতিয় কিছু সেখানে আছে। অন্তত ছবি আর প্রচারণা দেইখা যা আছে বইলা মনে হইলো তা হইতাছে- সেই আদিমের হাতছানি। সেই ছলনার মায়াজাল।

এইটাও দেখেন- আরেকটা- আর যে কইলো সিনেমাটা হইতাছে পারিবারিক দ্বন্দ নিয়া। সেই দ্বন্দের কারণ কি। নারী। এবং এখানে নারীর প্রেজেন্টেশানটা দেখেন- ১.স্বামীকে কাছে পেয়েও পুরোপুরি পাওয়া হয় না হেনার-এইডার মানে কি। ২. তারপর? তার পরই এক নতুন চমক।

পত্রিকায় খবর এলো, ছবির কাজ অসমাপ্ত, নায়িকাসহ ডিরেক্টর উধাও। -কাহীনি জমাইতে চাও, তাইলেও লাগবে নারী। ৩. নারী-বেষ্টিত কে এই কামু ?-সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে। ৪. কিন্তু কামুর বান্ধবী চৈতি কেন ফোন করে হুমকি দেয় মারজুককে? সংকট গভীর হয়। হাওয়া খেয়ে ফেরার পথে মারজুকের গাড়ি থেকে পপিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় ভিলেনের মত কে এই কালো লোকটা ?-নারী এবং তাকে আসহায়ত্বে না ফেললে ক্লাইমেক্স জমে না।

৫. এখন নায়িকা ছাড়া কিভাবে শেষ হবে ছবির কাজ ? তাহলে কি কচি খন্দকার ঈদের আগে মুক্তি দিতে পারবে না তার জীবনের প্রথম ছবি? - জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ৬. এইসব প্রশ্নের উত্তর দিবে বাস্তবে ভরা কল্পনায় ঠাসা নাচেগানে ভরপুর পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা দি ডিরেক্টর। - আমি কিছুতেই না হাইসা পারলাম না। বাস্তবে ভরপুর কল্পনায় ঠাসা- হুদাই একটা লাইন, কোন মানে নাই এই লাইনের। আবার মজা লাগতাছে-সিনেমার প্রচারও করতাছি এই ফাঁকে, যারা হয়তো জানতেন না এই সিনেমার নাম তারা জাইনা নিলেন, ছবি না দেহেন নামডাতো জানলেন।

এখন থাইকাই ভাবতে শুরু করেন-বাস্তবে ভরপুর কল্পনায় ঠাসা বিষয়টা কি? ভাইবাই কুল পাই না। এবার দুইটা ফাও কমেন্ট পইড়া নেন। * hot silly..........................Wed at 9:59pm * shorir kamon jani kore... Wed at 2:45pm (যাগো ছবি আর কমেন্ট ইউজ করছি তারা আপত্তি থাকলে জানায়েন। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।