পাখি পর্ব চলছে
কেন? অরিত্রি শান্ত হতে চায় এবং বোঝার চেষ্টা করে বিষয়টা কী দাঁড়ালো। চোখ আর উছলে তুলছে না জল। তবে ফুপিয়ে উঠছে সে মাঝে মাঝে। প্রচণ্ড বৃষ্টির পর প্রকৃতির
যেমন একটা ক্লান্ত কিন্তু পবিত্রভাব আসে এই মুহূর্তে অরিত্রির অবস্থায় তাই। যাইহোক না কেন কাঁদলে শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয় বটে।
অনন্ত কেন এমন করল? ভাবতে থাকে সে। সকালে কথা হয়েছে, সন্ধ্যায় কথা হয়েছে। কিছুইতো বলেনি। আজ যে তার জন্ম দিন সেটাও তার অজানা নয়। যথাসময়ে উইশ করেছে উষ্ণ একটা এসএমএস পঠিয়ে।
তাহলে এমন করার মানে কী? অরিত্রির মাথায় কিছুই ঢোকে না। হঠাৎ করে এমনটা ঘটায়নি সে। এর জন্য নিশ্চয়ই প্রাথমিক প্রস্তুতি ছিল তার অনেক দিনের। অথচ কিছুই বুঝতে পারেনি অরিত্রি। বুঝতে চায়নি সে।
অনন্ত ছাড়া আর বোঝার কী আছে। অথচ সেই কিনা...আরমোরা ভাঙ্গার মতো শরীরটা ভেঙ্গেচুরে নরে ওঠে। ওড়না দিয়ে চোখ মোছে। সবই যখন শেষ চোখের জলেল চিহ্ন রেখে লাভ কী। অরিত্রি ভাবে, কত অল্প সময়ে এতদিনের গড়ে ওঠা সম্পর্কটা ভেঙ্গে গেল।
এই সম্পর্কটা গড়তে তাদের বেশ সময় লেগে গেছে। কত কী! অথচ একটা ফোনই সব শেষ।
ধীরে ধীরে শোবার ঘরের দিকে পা বাড়ায় অরিত্রি। ঘুম আসবে না জানে সে। তারপরও চেষ্টা করা যাক।
কেঁদে কেঁদ চোখ ফুলিয়ে ফেলা কোন কাজের কথা নয়।
শোবার ঘরের লাইট নিভে যায়। রাস্তার লাইটা একলা আলো ছড়াতে থাকে মধ্যরাতের নিস্তব্ধতাকে সাথি করে। ভোরের আলো ফুটলেই সেও নিভে যাবে। প্রহর গুনতে থাকবে রাতের পৌণপুণিক রুটিন মাফিক।
পূর্বসূত্র : এখানে দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।