আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিটফোর্ডে ছাত্রলীগের দুইগ্র"পে সংঘর্ষ, আহত ২০

দেশের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদেরই...আসুন দেশটাকে সুন্দর করি।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে (মিটফোর্ড) শনিবার ছাত্রলীগের দুই গ্র"পের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সাইদ-শুভ-আরবি এবং জাভেদ-পল গ্র"পের মধ্যে রাত সোয়া ৯টার দিকে কলেজের আলাউদ্দিন হোস্টেলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ কলেজের 'প্রধান ছাত্রাবাসে' ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রাবাসের ১৫-১৬টি কক্ষে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পর সাধারণ ছাত্রদের অনেকেই ছাত্রাবাস ছাড়তে শুরু করেন। আহতদের মধ্যে আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেÑ চতুর্থ বর্ষের নাইম, মিরাজ ও ইউসুফ এবং প্রথম বর্ষের সুবর্ণ, তৃতীয় বর্ষের লিমন ও আতিক এবং দ্বিতীয় বর্ষের ফাহাদ ও মশিউর। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজও বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। কোতয়ালী থানার ওসি সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দুই গ্র"পের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা মিটফোর্ড হাসপাতালে এসেছি।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। "দুই গ্র"পে কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। " কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. শামিউল আলম সাদি সাংবাদিকদের বলেন, "প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি শুরু হয়েছে। এদের দলে ভেড়াতে ছাত্রলীগের দুই গ্র"পের আধিপত্য বিস্তার নিয়েই সংঘর্ষ হয়েছে।

" বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মিটফোর্ড প্রতিনিধি কামাল হোসেন তালুকদার ঘটনাস্থল থেকে জানান, পুলিশ ৮-১০জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। তবে পুলিশের কোনও কর্মকর্তা আটকদের সংখ্যা বা নাম জানাতে রাজি হননি। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দাঙ্গা পুলিশ কলেজের ছাত্রাবাসগুলোয় তল্লাশি করে। পরে অধ্যক্ষ এম এ আজহার ও লালবাগ অঞ্চলের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালের 'প্রধান ছাত্রাবাস' পরিদর্শন করেন। সেখানে ১৫-১৬টি কক্ষে ভাঙচুর হয়েছে।

অধ্যক্ষ আজহার সাংবাদিকদের বলেন, "কক্ষ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। " কলেজের ভেতরে ও বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে হয়েছে। শনিবারই ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।