আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিটফোর্ডে রান্না হয়নি, সকালের নাস্তা দুপুরে

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হাসপাতালে না থাকায় নার্সদের সহযোগিতায় দুপুরে রোগীদের সরাবরাহ করা হয়েছে সকালের নাস্তা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগীরা সকাল থেকে কোনো চিকিৎসকেরও দেখা পাননি।
হাসপাতালের খাদ্য ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, মঙ্গলবার সকালে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের বাবুর্চিখানা ও রান্নাঘরে ভাংচুর চালায়। এ সময় ছাত্রদের হামলায় প্রধান বাবুর্চি ফজলুল হক আহত হন। পরে অন্য বাবুর্চিরা চলে যায়।


হাসপাতালে মোট ২৬ জন বাবুর্চি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি বেলায় ১৩ জন করে বাবুর্চি দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তারা চলে যাওয়ায় রান্নার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। তাই নার্সদের সহযোগিতায় সকালের নাস্তা রোগীদের দেয়া হয়েছে। ”
হাসপাতালে ৬৮৪ জন রোগীর জন্য খাবার রান্নার কথা ছিল বলেও জানান তিনি।
এদিকে ছাত্রদের হামলায় আহত বাবুর্চি ফজলুল হক ছাড়াও টিকিম্যান টিটো ও বাদল দাশকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ রাখায় বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন হরতাল-অবরোধের মধ্যে হাসপাতালে আসা রোগীরা।   
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীদের জরুরি বিভাগের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও ভেতরে কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।   
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবদুর রশিদ বলেন, তিনি নিজে সকাল থেকে কোনো রোগী দেখেননি।
হাসপাতালে ভর্তি ১১ বছরের দৃশ্যের বাবা দিলীপ শেখ জানান, ছেলের পেটেব্যথা নিয়ে ১১ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে গাইবান্ধা থেকে সোমবার হাসপাতালে আসেন।

“কিন্তু হাসপাতালে গণ্ডগোল হওয়ায় সকাল থেকে কোনো চিকিৎসক নেই।

ছেলের কয়েকটি টেস্ট করার কথা ছিল সেগুলোও হচ্ছে না। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না,” বলেন তিনি।
সালমা নামে এক প্রসূতিকে তার স্বজনরা মিটফোর্ডে নিয়ে এলেও হাসপাতাল থেকে তাকে পাশের কোনো বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়।
সোমবার গভীর রাতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে রক্ত পরীক্ষাগারে নিয়োজিত এক কর্মচারীর বিবাদের সূত্র ধরে সকালে কলেজের ছাত্র ও চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এক পর্যায়ে ছাত্ররা লাঠিসোটা হাতে পুরো হাসপাতাল চত্বরের দখল নেয় এবং কর্মচারীরা প্রায় সবাই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।


এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয় সাংসদ মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে প্রশাসন, চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
এরই এক ফাঁকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার ধর সাংবাদিকদের বলেন, “একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্র ধরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। ”   


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।