আমার আগের হেডিং টা সরাই দিছি
ট্রাফিক জ্যামে বসে আছেন?ট্রাকের ধোয়ায় কাশি আসছে?টাইমে ট্রাভেল করুন?২০০ বছর আগে চলে যান?গরুর গাড়িতে ভ্রমন করুন। আম জাম বেল ফুলের বাতাসে মৌ মৌ করা গন্ধে শ্বাস নিন।
কিভাবে?
কিভাবে আবার স্বপ্নে
স্বপ্ন বা কল্পনায়। যখন সত্যিকারের দুনিয়ায় কিছু ঘটে, তখন আমাদের নানান ইন্দ্রিয় সেটা নানান কায়দায় জানান দেয়। আমরা তাতে কখোনো বিরক্ত হই, কখোনো মুগ্ধো হই।
যাইহোক, আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য হলো - কিভাবে আপনার ইন্দ্রিয় থেকে পাঠানো অনুভুতি গুলোকে ইচ্ছা মতো দমন করবেন বা উল্টে প্রশ্রয় দেবেন।
ভেবেন না আবার কেমিক্যাল নেবার কথা বলছি। যেমন ধরেন সিগারেট বা কোনো ধরনের ড্রাগ খেলে এই কাজটা খুব সহজে করা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো, সেটাতে কোনো কন্ট্রোল থাকে না। সব অনুভুতি হয় দমে যায় নাহলে সব অনুভুতি বেশি লাফায় ওঠে।
কারন, এইটা কেমিকেলের স্বভাব। কেমিকেল তো আর চেনেনা আপনার অনুভুতির রং
আপনার অনুভুতির রং চেনেন আপনি নিজে। আপনি নিজে যদি চেষ্টা করেন, তাহলে চরম ব্যাথার অনুভুতিটাকেও সম্পুর্ন ভুলে যেতে পারবেন নিজের কল্পনা দ্বারা।
আমার মতে, সাধারনত যেটা হয়, যখন কোনো ব্যাথা বা বিরক্তিকর অনুভুতি ঘটে আমাদের মস্তিষ্কে তখন সেটাকে আমরা পাত্তা দিয়ে বসি। সেটা দখল করে নেয় আমাদের মষ্তিষ্কের পুরো অংশটা।
আপনি যদি চেষ্টা করেন, তাহলে সহজেই নিজের কল্পনা, বা পুরুোনো কোন মধুর স্মৃতি মনে করতে পারেন ঠিক সেই সময়, এবং তাতে করে ঐ বিরক্তির অনুভুতি অনেকটা চাপা পড়ে যাবে। অবশ্য এটা ঠিক চরম ব্যাথার অনুভুতি গুলোকে দমন করা সহজ নয়, কিন্তু আমার মতে, সম্ভব। শুধু লাগবে চর্চা। শুরু করুন, নিজের অনুভুতি গুলোকে একেকটা করে রং এর নাম দিয়ে। যেমন - রাগের অনুভুতি গুলো লাল, বিরক্তির অনুভুতি গুলো কমলা, মধুর অনুভুতি গুলো নিল বা সবুজ এরকম আর কি।
অথবা বেছে নিন সংগিতের সুর।
এভাবে করে, নেক্সট টাইম আপনে যদি ট্রাফিক জ্যামে পড়েন, ধোয়ায় কাশছেন, কল্পনা করবেন আপনের একটা টাইম মেশিন আছে। যেটা টাইম মেশিন আপনের বাপে বা মামায় কিনা দিছে। সেইটাতে কইরা ড্যাং ড্যাং করে এখন আপনে ২০০ বছর আগের গ্রাম বাংলায় গরুর গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অবশ্য এটাও কল্পনা কইরেন যে -- আশে পাশে কোনো ইংরাজ বা তাদের দালাল রা নেই।
ব্যাস কেল্লা ফতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।