যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এই সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত দেখে বোঝা যায় এগুলো কোন একজন বিশেষ পরামর্শকের মস্তিস্কজাত, যিনি সর্বক্ষণ শেখ হাসিনার সহচর্যে থেকে এই বিষয়গুলো খাওয়াতে পেরেছেন। বিষয়গুলো এমনই যা ঢাকা শহরের নেড়ি কুত্তা থেকে শুরু করে প্রতিটা হিরোইনচি পর্যন্ত বুঝতে পারবে - সিদ্ধান্তগুলো পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ঠ গাধার বাচ্চা নিয়েছে।
তার মধ্যে একটা তো ডে লাইট সেভিং ওরফে বাল সেভিং। সূর্যের আলো না ফুটতে ফুটতে স্কুলের দিকে ছুটতে থাকা ছোট ছোট বাচ্চাদের ঘুমন্ত চেহারা দেখলে সরকারী সিদ্ধান্তের উপরে সিসু করতে ইচ্ছে করে।
আর এখন ট্রাফিকজ্যাম দূর করার জন্য পার্শ্ববর্তী শহরগুলোর সাথে কমিউটার ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত-ও এমন এক আবালীও সুখপাত।
ঢাকার পাশে কোন কোন শহরের সাথে এই ট্রেন চালু হবে সেটা দেখার আগে বিবেচ্য হচ্ছে কোন লাইনে এই ট্রেন চলবে। সবেধন নীলমনি কমলাপুর থেকে টংগী এই একটা মাত্র ট্রেন লাইন যেটা ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম এক প্রধান কারণ সেটাকে অবলম্বন করে কমিউটার ট্রেন চালুর চিন্তা। এখন যে পরিমান ট্রেন চলে এই লাইনের উপর থেকে তার চেয়ে যদি ডাবল ট্রেন চলে - ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম কমবে? এই সিসু মার্কা পরিকল্পনার কথা শুনিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী মদন আবুল হোসেন ঢাকা শহর ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেন। হোহোহোহোহোহ!
এই সরকার যখন ক্ষমতায় আসলো তখন ডিজিটাল নিয়ে মোটামুটি সুবিধাবাদীদের লম্ফঝম্ফ শুরু হয়ে গেলো। যে কেউ কোন ব্যবসায়িক চিঠি লিখলে শেষে বলে আপনি যদি কাজটা আমাদেরকে দেন তবে ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
এমন এক হুজুগে সময়ে ফার্মগেটের ভলবো কাউন্টার ডিজিটাল হয়ে গেলো। গাড়ী নাই, গাড়ীতে ওঠার জো নাই, কিন্তু পাবলিক ডিজিটাল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে দাড়িয়ে থাকতে শুরু করলো। সেই ডিজিটাল কাউন্টার আবার ঘটা করে উদ্বোধনও করেছিলো। কিছুদিনের মধ্যে সেটার কম্পিউটার গেলো চুরি হয়ে - এমনকি ভেতরের ওয়ারিং পর্যন্ত হিরোইনচিরা খুলে নিয়ে গেছিলো। ফার্মগেট বলে কথা, ডিজটাল এর সাথে টালদের সম্পর্ক হতে বেশী দেরী হয় নাই।
এই সকল সিদ্ধান্তের মধ্যে কেমন যেন একটা আবালীও যোগসূত্র আছে। সবগুলো মনে হয় একই ব্যক্তির হবে - যার উপরে শেখ হাসিনার প্রবল আস্থা। এই পরামর্শক নিঃসন্দেহে একটা কুকুরের বাচ্চা - একে অনতিবিলম্বে খেদানো হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।