আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Roxy's Note ............মাল্টিকালচার দেশ-কানাডা- ২

মানুষ যা কল্পনা করতে পারে, তা সে অর্জন করেত পারে।

নির্মলেন্দুগুণের একটি কবিতার ভাব মনে আসছে, (কবিতার নাম, 'তোমার চোখ এত লাল কেন') দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে ক্লান্ত, কবে কেউ একজন ভেতর থেকে দরজা খুলে দিবে তার জন্য আকুতি। আমাদের দেশে চিন্তা-চেতনা সামাজিকতায় আমরা এ রকম ভাবতেই অভ্যস্ত। কেউ দরজা খুলে দিবে, কেউ অপেক্ষায় থাকবে, পরনে ঢাকাই শাড়ির বদলে ম্যাক্সি থাকুক, না থাকুক কপালে টিপ, কিন্তু এখনো আমাদের ইচ্ছা, কেউ অপেক্ষায় থাকুক। এখানে পরিবারের সব সদস্যের কাছে একটা করে ঘরের চাবি থাকে।

নিজের প্রয়োজনে নিজের সময় মতো সবাই আসা যাওয়া করে। একজন হয়তো সারারাত কাজ করে ঘুমাচ্ছে তার ঘুমের ব্যাঘাত না করে অন্য সদস্য আস্তে করে চলে যাচ্ছে। এতে সংসারের আন্তরিকতার ঘাটতি হয়না। কেউ কারো থেকে দূরেও সরে যায় না। তবে বাঙালি অনেকে আছেন যারা বিশ-পঁচিশ বছর এদেশে থেকেও এই সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি এবং একই সঙ্গে অন্যের প্রতি মর্যাদা দেখানোর বিষয়টি শিখতে পারেন নি বা শিখেন না ইচ্ছা করেই।

অনেকেই গভীর রাতে কাজ থেকে ফিরে স্ত্রীকে ডেকে তোলেন খাবার দেয়ার জন্য। তারপর কাজে যাওয়ার জন্য স্ত্রী বেচারা ভোর পাঁচটায় উঠে পরিবারের সবার খাওয়া-দাওয়া ঠিক করে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটেন সাবওয়ে বা বাস ধরতে। বিকেল চারটায় কাজ শেষে দুই হাতে বাজারের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ঘরদোর পরিষ্কার, রান্না দুরন্তবেগে সেরে, সারাদিনের হাড়-ভাঙা পরিশ্রমে কাহিল নেতিয়ে পড়েন বিছানায় কিন্তু স্বামী ব্যক্তিটি ঘরে ফিরলে সেই ঘুম চোখে উঠতে হয় ক্লান্তি নিয়ে। বাড়ির মর্টগেজ দিতে স্ত্রীর টাকা নিতে হয়।

বিভিন্ন বিল শোধ করতেও স্ত্রীর টাকা প্রয়োজন হয়। স্ত্রীকে অনেক অধিকার দেয়া হয় টাকা পয়সার সমান শেয়ার করে কিন্তু স্ত্রীর মানবিক প্রয়োজনে তাকে এক গ্লাস পানি দেয়া বা তার জন্য একদিন রান্না করা বা ঘর গোছানোর কাজে স্বামীদের পাত্তা পাওয়া যায় না। আমাদের বাঙালি পুরুষের এসব মানবিক দিকগুলো কবে আসবে কে জানে। অনেক মহিলাকেই কান্না করে বলতে শুনেছি, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার সব গুছিয়ে দিয়ে কাজে গিয়েছি ফিরে এসে দেখেছি সিঙ্ক ভর্তি থালা বাটি, এলোমেলো ঘর দোর। আমি খাবো বলে কেউতো খাবার সাজিয়ে রাখেনা”।

ঘরে ঘরে এমন অভিযোগ, ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। স্বামীর সাথে বসবাস করেন এমন মহিলারা অনেক বেশী সমস্যার সম্মুখিন হন । বাঙলীসহ এশিয়ান মহিলাদের অনেক বেশী কাজ করতে হয়। দেশে থাকতে যে মহিলা শুধুই সংসার দেখাশোন করতেন, বাচ্চা পালন করতেন এবং তার জন্য দুটো একটা কাজের লোকের সহযোগিতা পেতেন। তাকে এদেশে এসে বাইরে কাজ করতে ছুটতে হয় আর সে কাজ হয় ফাস্টফুড বা দোকানে বা কারখানাতে দুপায়ে দঁড়িয়ে।

যাতে তিনি একেবার্ইে অভ্যস্ত ছিলেন না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে স্ত্রীর আয়ের উপর সংসার চলতে দিয়ে স্বামী নিজের শিক্ষা আপগ্রেট করতে যান। স্ত্রী স্বামী,সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আয় করেন। স্বামী পুরানো রান্না খেতে পারেন না, তাই প্রতিদিন রান্না করেন। গাড়ী চালানো শিখতে চান কিন্তু স্বামী উৎসাহ দেন না বা নিজে যেটুকু সাহস সঞ্চয় করেন স্বামীর নিরুৎসাহী কথা বার্তায় নিজের সাহসটুকুও হারিয়ে ফেলেন, অভিমানও কাজ করে।

তাই আর আপগ্রেড করা হয় না নিজেকে। সে তুলনায় এককভাবে যে মেয়েরা জীবন যাপন করেন তারা অনেক স্বাধীন নিজের পছন্দে-অপছন্দে চলতে পারেন। বাইরে কাজ করেন। নিজের মতন একদিন বা দুদিন ঘরের কাজ করেন। নিজেকে আপগ্রেট নিজের সাধ্য মতন করতে পারেন।

স্বামীর পছন্দ মতন হেজাব পড়ে চলতে হয় না নিজের অনিচ্ছায়। কানাডায় বেশ ক’বছর জীবনযাপন করে এ দেশীয় মানুষের জীবনযাপন দেখে এবং নিজেরাও অভ্যস্ত হয়ে দেখছি অতি আবেগের বাড়াবাড়ি নেই, কিন্তু আছে সব কিছুই। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের এবং স্বাধীনতার উপর অসম্ভবরকম শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি। ঠিক জাতি বলা যায় না, বলা যায় বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতির সমন্বয়ে কানাডায় বসবাসকারী মানবতা সৃষ্ট ক্যানেডিয়ান জাতি। যার যেমন ইচ্ছা থাকুক না।

তাতে তো অন্যদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। মানুষের একটাই জীবন সে তার নিজের মতোন উপভোগ করুক। কানাডার একটাই বড় বৈশিষ্ট্য মানবিক অধিকারের দেশ। পৃথিবীর কোথাও কোনো বিপর্যয়ে এখানের মানুষের মন কেঁদে উঠে আপন জনের দুঃখে, হিন্দু, মুসলিম, ক্যাথলিক কিংবা শিখ, কি বৌদ্ধ কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়গত বিভেদ নেই। সবার বিপর্যয়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নিজের সাধ্যমত।

অবাক হয়ে দেখি, সারা জীবন কাজ করার পরে রিটায়ার্ড করার পরও এখানকার মানুষ বসে থাকে না। তারা ভলান্টিয়ারি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। নিজেকে ব্যস্ত রাখে, সাথে সাথে সহযোগী হয়ে যায় অনেক কাজের। বাংলাদেশে এমন বয়সের একজন মানুষের জীবনযাপন অনেকটা অপাংক্তেয় হয়ে যায়। কিছু করার নেই, সংসারে অপ্রয়োজনীয় বোঝা হয়ে যাওয়া অথবা কারো ছেলে-মেয়ে যোগাযোগ রাখে না বলে, তাঁকে শেষমেষ জীবন যাপনের কঠিন সংগ্রামই করে যেতে হয়।

এখানে মনে করার কোনো কারণ নেই এদেশে ছেলে-মেয়েরা আঠারো বছর হয়ে গেলে বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে যায়। এখানেও মা-বাবা আমাদের দেশের মতোই ছেলে-মেয়েদের দায়িত্বপালন করেন সারা জীবন। সাবলম্বী হয়ে তারা নিজেদের মতো আলাদা থাকে কাজের প্রয়োজনে। তাই বলে ভাব, ভালোবাসা, আবেগ অনুভূতি কমে যায় না এতোটুকু। মানুষ মাত্রই হাসি, কান্না, আনন্দ বেদনা, ভালোবাসা পৃথিবীর সব জায়গাতেই একই রকম।

মা-বাবা নিজেদের মতোন ছেলে-মেয়েদের থেকে আলাদা থাকতে পছন্দ করেন, নিজেদের সন্তানের বার্ডেন করতে চান না। সন্তানরাও নিজের সন্তানের পাশাপাশি মা-বাবার খবরা-খবর রাখেন। অনেক বেশী বয়স হলে মানুষ আবার শিশুর মতন হয়ে যায়। এখানের ব্যাস্ত জীবনে অসুস্থ শিশুর মতন মা-বাবার সার্বক্ষণিক দেখাশোনা সঠিকভাবে করতে পারেন না বলে তাদের কে বয়স্ক আবাসনে স্থানান্তরিত করেন সঠিক দেখাশোনা এবং সার্বক্ষণিক তত্তাবধানের জন্য। প্রথম বয়স্ক কেন্দ্রে আসার পর, মন বসে না তাদের কিছুতেই, পথ পানে চেয়ে থাকেন কখন ছেলেমেয়ে আসবে সে জন্য।

কেউ কেউ আবার ব্যাগ সাজিয়ে বাড়ি যাবার জন্য রওনা হন। এ যেন আবাসিক স্কুল থেকে ছোট বাচ্চাদের বাড়ি যেতে চাওয়ার দৃশ্য। ছেলে বা মেয়ে বা তাদের স্বামী, স্ত্রী, নাতি, নাতনি পালা করে আসেন তাদের দেখতে, গল্প করতে, সময় কাটাতে। নিয়ে যান বেড়াতে, খাওয়াতে, সপিং করতে। যেটুকু সময় দেন অত্যন্ত মনোযাগের সাথে দেন, যতেœর সাথে দেন।

আমাদের দেশে যেমন মা, বাবা কে বাড়িতে রেখে মাসের মধ্যে একবার কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করার সময় হয়না অনেকের, সেরকম অবহেলার জীবন নয়। আঠারো বছরে কেউ কেউ একক জীবন শুরু করে। এরা বেশিরভাগ ব্রোকেন ফ্যামেলির সদস্য। মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার জন্য যে ছেলে-মেয়েরা তাদের আঠারো বছর হওয়া পর্যন্ত একক মা অথবা বাবা অথবা বিমাতা বা বাবার কাছ থেকে পায়নি ভালোবাসা। আবার কখনো সঠিক ভালোবাসা পেলেও মা-বাবা একসাথে না থাকার দুঃখদৈন্যতায় যাদের মানসিক বিকাশ সুস্থভাবে হয় না।

সব সময় হয় তারা নিজেদের গুটিয়ে রাখে বা অন্যভাবে ক্রোধের মাঝে নিজেকে প্রকাশ করে। আঠারো বছর বয়সে পারিবারিক সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে একক জীবন শুরু করে তারা। এছাড়া অল্প বয়সে প্রেমে পড়ে অনেকে, তারা হয়তো নিজেদের জীবন শুরু করে আলাদা ভাবে তবে মা, বাবার সাথে যোগাযোগ থাকে এদের । টরেন্টোতে সবচেয়ে বেশি ইমিগ্রেন্ট লোকের বসবাস। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হয় নানান স্বভাবের লোক।

কিছু লোক তোয়াক্কা করে না নিয়মের, চেষ্টা করে নিয়ম ভঙ্গের, পরিচ্ছন্ন শহরকে নোংরা করে ছুঁড়ে দেয় ব্যবহৃত ওয়েস্ট যেখানে সেখানে। মাথা নত হয় দেখে প্রবীণ কোনো লোক যখন তা কুড়িয়ে ফেলেন গার্বেজ বীনে। এটা তাদের নিয়ম তারা সারা জীবন পরিচ্ছন্ন থেকেছেন। তারা রাস্তায় মানুষ দেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দরজার পাল্লা ধরে রাখেন পরের মানুষটি পার হওয়ার জন্য।

ধন্যবাদ দেন বাসের ড্রাইভারকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য। যখন কারো কাছ থেকে উইস পাওয়া যায়, হেভ এ নাইন ডে’’ বা আগে যাওয়ার জন্য পথ ছেড়ে দেয় তখন অকারণ মন ভালোলাগে। এ বিষয়গলো রপ্ত করা খুব কঠিন না কিন্তু নতুন ইমিগ্রেন্টরা জীবনের ধান্দায় এত বেশী ব্যস্ত হয়ে পরেন যে সহজ-সুন্দর এ আচরণগুলোর প্রতি থাকেন উদাসীন। থাকেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। ভালো আচরণের পরিসংখ্যানে টরন্টো এখন প্রথম থেকে নেমে এসেছে বারো নাম্বারে।

এর কারণ নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে পুরানো টরন্টোবাসীরা এখন টরন্টো থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন বসবাস করতে। আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম যারা এদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে উঠছে, তারাও পছন্দ করে না, প্রথম প্রজন্মের এমন আচরণ খুব গুরুতর নয় কিন্তু ছোট ছোট নিয়ম ভঙ্গ। আসলে কোনো নিয়মই ভঙ্গ করা ঠিক নয়। একটু একটু করে নিয়ম ভাঙতে ভাঙতে একদিন তাহলে ভেঙে পড়বে পুরো নিয়মের কাঠামো। প্রথম প্রজন্ম যারা এদেশে আসেন তারা নিজেদের অনেক নিয়মকানুন শৃঙ্খলা, সামাজিক চিন্তা চেতনার একক ধারা বহন করে।

অভ্যস্ত জীবন থেকে বেরিয়ে এসে সর্বজনিন সবার সব কিছু গ্রহণ করা কষ্টকর হয়। প্রত্যেক জাতির নিজস্ব নিয়ম-নীতির স্বকীয়তা মেনে চলার একটা প্রবণতা আছে। দ্বিতীয় প্রজন্মকে সেই গ-ির মধ্যে আবদ্ধ করার প্রবণতা প্রথম প্রজন্মের। দ্বিতীয় প্রজন্ম, কানাডার নিয়ম-শৃঙ্খলার সাথে মানিয়ে যায় চমৎকারভাবে। স্কুল, খেলার মাঠ, প্রতিবেশী বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির সমন্বয়ে এক বৃহৎত্তর উদার মনভাবাপন্ন হয় এদেশের বাচ্চারা।

প্রথম প্রজন্মের দ্বিধা দ্বন্দ্ব বা নিজস্ব ক্ষুদ্র স্বকীয়তা থেকে একটি শব্দও যদি অন্য জাতি সম্পর্কে বলে ফেলেন। তাহলে তুমি রেসিস তাই অন্যদের সম্পর্কে এমন কথা বলছো এমন প্রতিবাদ করতে ওদের একটুও বাধে না। সাদা, কালো, চীনা, আফগানি, ইরানি সবাই সমান বাচ্চাদের কাছে। বাঙালি এক মাকে বলতে শুনেছিলাম। আমার বাচ্চাদের আমি এদেশে নিয়ে এসেছি সততা শিক্ষা দেয়ার জন্য এবং সৎ রাখার জন্য।

তাঁর বক্তব্য ছিল, দেশে আমার ছেলে সৎ থাকতে চাইলেও সৎ থাকতে পারতো না। কথাটা কতটা খাঁটি এ আমরা সকলেই জানি এবং এদেশে বাচ্চারা সত্যিকার অর্থেই সৎ থাকে। আর সৎ থাকতে চাইলে তার জন্য আলাদা করে কোনো কাঠখড় পোহাতে হয় না। সেই মহিলার স্বামী দেশে থাকেন এদেশের ইমিগ্রেন্ট হওয়ার পরেও কারণ দেশের প্রতি তাঁর মায়া মততা বেশি এবং বিদেশে থাকা পছন্দ নয় বলে। পরিবারের সাথে কাটাতে প্রতিবছর দু’একবার আসেন এখানে এবং কিছুদিন থেকে যান তিনিও এখন স্বীকার করেন এদেশের ভালোগুলো আসলেই ভালো।

খুব বেশিদিন আগের কথা না তিরিশ-চল্লিশ বছর আগে এদেশেও আমাদের দেশের মতোন নানান রক্ষণশীলতা ছিল। মহিলাদের অন্তঃপুরে থাকতে হতো, স্বামী-সন্তানের দেখাশোনাই ছিল জীবন। রক্ষণশীলতার বাধা ভাঙতে ভাঙতে সমাজের অবকাঠামো অনেক বদলে যায়। মুক্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠে নতুন প্রজন্ম। ভালো এবং মন্দ দুটো প্রভাবই পরতে থাকে সমাজে তার থেকে নিয়ম-শৃঙ্খলা আইন করে ভালো বিষয়গুলোর প্রচলন করানোর দ্বায়িত্ব রাষ্ট্র পালন করছে কঠোর হাতে।

অনেক ভাঙ্গচুর হয়ে যাচ্ছে তারপরও কানাডার কিছু নিয়ম নীতি এখনো সবার উপরে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।