দূর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার, লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রিরা হুশিয়ার।
সৌদি আরবকে যারা মুসলিম বিশ্বের একমাত্র ধারক- বাহক, রক্ষক হিসেবে জেনে, শুনে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে আসছেন এবং ভাবছেন বিশ্ব মুসলমানদের কিছু হলে এই সৌদি আরবই তাদের রক্ষা করবে তাহলে, এক কথায় বলতে হয় আপনারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা মুসলমান।
আমার জন্ম সৌদি আরবে। ১৯ বছর বয়সে দেশে আসি। এই ১৯ বছর সপরিবারে সেখানে থাকার পরও আজ আমার জন্মভূমির জন্য বিন্দুমাত্র টান অনুভব হয়না।
আমি চইনা একমুহূর্তের জন্যও সৌদি আরবে ফিরে যেতে। কিন্তু কেন? কেন এত ঘৃণা সৌদি আরবের প্রতি? কেন এত অশ্রদ্ধা? আসলে সৌদি আরবের প্রতি আমার কোন ঘৃণা বা অশ্রদ্ধা থাকতে পারেনা। যত সব ঘৃণা, যত সব ধিক্কার ঐ দেশের মানুষগুলার প্রতি। এরা মানুষ না, এরা মানুষ ছদ্ধবেশি মাংশস্তুপ মাত্র। এরা মুসলমান না, মুসলমান ছদ্ধবেশি জানোয়ার।
এদের শিক্ষা. মনুষত্ব, বিবেক বলতে কিছু নেই। এরা সর্বদা যৌন উত্তেজনায় মেতে থাকে আর ডজনে ডজনে বিয়ে করে।
সপরিবারে জেদ্দায় থাকতাম। জেদ্দাসহ পুরো সৌদি আরবে বাঙালিদের একটা বড় আতঙ্কের কারণ ছিল "কালা জাত" যাদের স্থানিয় ভাষায় তুকরনি বলা হত। এই তুকরনিরা মুলত সুদান, আফ্রিকা থেকে আগত, এদের বাপ দাদা ১৪ গোষ্ঠি জন্ম থেকে সৌদি আরবে।
তাই এরা এখানে অনেকটা স্থায়ী হয়ে গেছে এবং সৌদি সরকারও তাদের তেমন কিছু করেনা। এদের কাজ হল গাড়ি চুরি, মোবাইল চুরি, ছিনতাই, ডাকিতি ধর্ষন ইত্যাদি, কি নাকরে এরা। আমাদের বাংলা মিড়িয়াম স্কুলটা আমার বাসার পাশেই ছিল। ঘর থেকে কমই বের হতাম। বের হলে ৪/৫ জন বন্ধু মিলে বের হতাম।
তবুও সবসময় আতঙ্কে থাকতায় কখন কালা জাত গুলা আসে আর....... । ভয়ে কখনও মোবাইল বের করতামনা। সৌদি ছোট পোলাপাইন গুলাও মারাত্নক বেয়াদব। বাঙালিদের দেখলেই কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে, পাথর ছুড়ে মারে, চেইন খুলে......। একদিন আমরা স্কুলের পাশে ১০/১২ জন বন্ধু আড্ডা দিচ্চিলাম।
২/৩ টা সৌদি পিচ্চি এসে হঠাৎ আমাদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করল। আমরা অতটা কেয়ার করিনাই। অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে ছিলাম। সাইজে পিচ্চিগুলা আমার হাটুর সমান হবে। সাহস করে গিয়ে যদি সজোরে একটা চড় মারতাম সেখানেই মারা যেত।
কিন্তু এই সাহস কারও নেই। একসময় পিচ্চিগুলা বৃষ্টির মত পাথর ছোড়া শুরু করল। আমার এক বন্ধু দৌড়ে গিয়ে পিচ্চটাকে মারতে গেলে আমরা সবাই তাকে থামিয়ে দেই। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি এরা সৌদি আমরা আজনবি, এখানে এরা মানুষ আমরা না, আমরা খালি দেখতে মানুষ। এখানে এদের রাজতন্ত্র।
কারণ এই পিচ্চির গায়ে হাত তুললে, পিচ্চির মা-বাপ আমাদের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করবে। দেখবেনা তার ছেলে কি অপরাধ করেছিল। এই পিচ্চগুলাকে কখনও শাসন করা হয়না। এদের কখনও আদব কায়দা শেখানো হয়না। এরা বেড়ে ওঠে বনের জন্তু, জানোয়ারের মত।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।