২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯
শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভাভুনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে গত মঙ্গলবার শ্রীলংকান সেনাবাহিনী (এসএলএ)-র মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে আটক এক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে জখম হন এবং পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিনা বিচারে আটক ক্লিনোচ্চির কানাহাপুরামের বাসিন্দা শ্রী চন্দ্রমরগান সম্পর্কে প্রথমে খবর বের হয়েছিলো যে, অঘোষিত বন্দীশিবির পুনথুথাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় থেকে পালানোর চেষ্টাকালে সে সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়লে বন্দীশিবির অশান্ত হয়ে উঠে এবং তখন কর্তৃপক্ষ ওই কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক স্যাম জারিফি বলেন, ‘বিনা বিচারে আটক ব্যক্তিদের যখন অঘোষিত স্থানসমূহে রাখা হয় এবং আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়না ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় না তখন নির্যাতন, বলপূর্বক অন্তর্ধান ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে।’
পুনথুথাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের মতো বন্দীশিবিরগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ২০০৯ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই কিংবা তামিল টাইগার্স) এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার ব্যক্তিকে শ্রীলংকান নিরাপত্তা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট আধাসামরিক গ্রুপগুলো পরিচালিত অস্থায়ী বন্দীশিবিরগুলোতে আটকে রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শ্রীলংকার সেনাবাহিনী বিনাবিচারে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে
শ্রীলংকান সরকার বন্দীশিবিরের তালা খুঁলে দিতে শুরু করায় শ্রীলংকার বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি
শ্রীলংকার সংঘাতের মানবিক মূল্য
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।