আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়নালের সুখ-দুঃখ

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,

নতুন বছরটা ভালোই অইব, কী কও, বউ? —কী এমন হইল, আপনার কাছে মনে হইতাছে যে বছরটা ভালো যাইব? তুমি কি কিছুই বুঝলা না? এই জন্য কয়, মাইয়া লোকের বুদ্ধি থাকে...। —হু, সব বুদ্ধি যে বেটা পোলাপানের মাথায় গিজগিজ করে...। বউ, রাগ করলা? রাগ কইর না, মজা কইরা কইলাম। হে...হে...হে...। কাইলকা গঞ্জের থাইকা ফিরতাছি।

হাতে বাজারের ব্যাগ, চেয়ারম্যান সাব ডাক দিয়া কয়, জয়নাল, আগামী পরশু আমার মাইয়ার বিয়া, বউ-পোলাপান নিয়া আসবা। এই পরথম হইলেও একটা কথা আছিল। তারপর কী হইল, চেয়ারম্যান লগে থাকা বাদলারে কইল, ‘এই বাদলা, আমাগো জয়নালরে একটি বিয়ার কার্ড দে। ’ চিন্তা কইরা দেহো, এই পরথম কেউ জয়নালরে বিয়ার কার্ড দিল। আচ্ছা বউ, কী দেওন যায়।

—আমরা গরিব মানুষ, কী দিবা, তুমি কও। দুই শত টাকা দিমু, নিয়ত করছি। একটা খামও আনছি। খামের ওপর লেখা থাকব—উপহার, জয়নাল মিয়া। দুই. যাওয়ার পরপরই চেয়ারম্যান সাবে বলল, ‘জয়নাল, আইছ? বসো বসো।

উপহার খামে দেওয়া মাত্র তিনি বললেন, ‘এগুলো কী। জয়নাল, তোমারে বলছি, পরিবার নিয়ে আসবা, চাইরটা খাইবা, আমার মাইয়ারে দোয়া কইরা যাইবা। দেখো দেখো কী অবস্থা, আসো, বসো। বর কখন আসে না আসে খাইতে বইসা যাইবা, বিদায়ের পর তারপর যাইবা। ’ সখিনা মনে মনে এ কথাগুলো ভাবছে।

যদি এ রকম ঘটত, তাহলে আজকে সারা রাত হয়তো জয়নালের মুখে এ কথা শুনতে হইত তাকে। না, ওই রকম কিছু ঘটেনি। জয়নাল যাওয়ার পর তাকে কাজে লাগিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান সাব। সঙ্গে সখিনাকে। বর আসার আগে তো নয়ই, কনে বিদায় নেওয়ার পর, পলিথিনে করে খাবার দিয়ে দেওয়া হয় সবার জন্য, বাড়িতে গিয়ে খাওয়ার জন্য।

তিন. মানুষটা এখন হাঁটছে একরাশ দুঃখ-অভিমান নিয়ে। নতুন ইস্তিরি করা শার্টটা হয়তো চোখের পানিতে ভিজছে। জয়নালের শার্ট এভাবে ভিজতে ভিজতে শুকিয়ে যায়, এদের দুঃখের মতো, অভিমানের মতো। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।