অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী’র ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৪ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের কিংবদন্তী এই মহাপুরুষ।
এমএজি ওসমানী বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কালজয়ী নাম। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস মরণপণ যুদ্ধ করে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাঁর অসামান্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ক্ষণজন্মা এই বীর সেনানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ওসমানীনগর থানার দয়ামীরের কৃতি সন্তান খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও জোবেদা খাতুন তাঁর গর্বিত পিতা-মাতা।
মোঃ আতাউল গণি ওসমানী ১৯৩৯ সালে বৃটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষা জীবনে তুখোড় ছাত্র হিসেবে সর্বমহলে তাঁর সুনাম ছিল। ১৯৪২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে বৃটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর হিসেবে ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি নতুন নজির সৃষ্টি করেন। ১৯৬৭ সালে ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্ণেল পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জেনারেল ওসমানী সেনাবাহিনীর সাবেক ও তৎকালীন সদস্যদের সংগঠিত করেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস অসীম সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে এমএজি ওসমানী পরিণত হন স্বাধীন সার্বভৌম মমর নায়কে। স্বাধীনতার পর তাঁকে জেনারেল পদে ভূষিত করা হয়।
১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬৬ বছর বয়সে জেনারেল ওসমানী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিরবে নিভৃতে পার হয়েছে তাঁর ২৭টি মৃত্যুবার্ষিকী। ওসমানীর জন্মস্থান সিলেটে বেশ কিছু সংগঠন গুরুত্বের সাথে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেও জাতীয়ভাবে তাঁর মৃত্যু ও জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ নেই আজ। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জন্য বার বার বিভিন্ন মহল থেকে দাবী উঠলেও বিষয়টি আজো রয়েছে উপেক্ষিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।