নায়িকা হিসেবে শাবনূরের ক্যারিয়ারের অবসান ঘটেছে। বর্তমানে এই চরিত্রে তার দর্শক গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় নির্মাতারা তাকে এখন চরিত্র অভিনেত্রী হিসেবে নিতে চাইছেন। এ কথা নির্মাতাদের। কিন্তু এতে নারাজ শাবনূর। তার কথায়, যতদিন চলচ্চিত্রে আছি নায়িকা হিসেবেই কাজ করে যাবো।
সম্প্রতি তরুণ নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক তার 'ইটিস পিটিস প্রেম' চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে প্রিয়াংকাকে নিয়েছেন। অথচ এ নির্মাতার আগের প্রতিটি চলচ্চিত্রেরই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। মানিকের 'দুই নয়নের আলো', 'মন ছুঁয়েছে মন', 'মা আমার চোখের মনি', 'এমনোতো প্রেম হয়' এবং 'কিছু আশা কিছু ভালোবাসা'র নায়িকা তিনি। এর মধ্যে 'দুই নয়নের আলো'-তে অভিনয় করে একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এ নায়িকা।
ফলে মানিকের চলচ্চিত্র মানেই শাবনূর। মানিক বলেন, ৪/৫ বছর আগে এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করার কথা ছিলো। কিন্তু নানা কারণে বিলম্ব হওয়ায় এখন এসময়ের দর্শক চাহিদা অনুযায়ী নায়ক-নায়িকা নিতে হচ্ছে। বর্তমানে এ চলচ্চিত্রের নায়ক হচ্ছেন সায়মন। নির্মাতার কথায়, তার বিপরীতে তো শাবনূরকে নেওয়া যাবে না।
তাছাড়া এটি টিন এজ প্রেমের গল্প। মানিক জানান, ২০ সেপ্টেম্বর মুক্তি প্রতিক্ষিত তার 'কিছু আশা কিছু ভালোবাসা' চলচ্চিত্রেও অভিনয় করতে চাননি শাবনূর। কারণ এতে শাবনূরের চরিত্রটি হচ্ছে নায়িকার বড় বোনের। কিন্তু তার চরিত্রটি চলচ্চিত্রের মুখ্য চরিত্র বলেই শেষ পর্যন্ত এতে কাজ করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্র গবেষক ও প্রখ্যাত নির্মাতা মতিন রহমান বলেন, শাবানা এবং কবরীর পর শাবনূরই একমাত্র নায়িকা যিনি শহর এবং গ্রামের প্রতিটি নারী চরিত্র সফলতার সঙ্গে নিজের মধ্যে ধারণ করে সর্বত্র সমান জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
অথচ দৈহিক সৌন্দর্য সম্পর্কে অসচেতনতার কারণে স্বল্প সময়ে নায়িকা চরিত্রে তার চাহিদা ফুরিয়ে গেছে।
এদিকে, শাবনূর ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ছয় মাস অভিনয়ে বিরত থেকে দৈহিক সেৌন্দর্য পুনরুদ্ধারে কাজ করবেন। এরপর পুরোদমে আবারও নায়িকা চরিত্রে প্রত্যাবর্তন করবেন তিনি। ৭/৮ বছর আগে কাজ শুরু করা 'অবঝ প্রেম', 'স্বপ্নের বিদেশ', 'পাগল মানুষ' ও 'এমনতো প্রেম হয়' ছাড়া শাবনূরের হাতে এখন আর কোনো চলচ্চিত্র নেই। এগুলোর কাজ শেষ করতে হলে তাকে আবার আগের সৌন্দর্যে ফিরে আসতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট নির্মাতারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।