সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষনায় দারুন খুশী হয়েছিল জামাত-বিএনপি! শেষ রাতে (রাত সাড়ে ৩ টায়) তাদের আজকের খবরের কাগজ হেডলাইন নিয়ে করা এক অনূষ্ঠান দিগন্ত টেলিভিশন তা জানাতে কসুর করেন নি! তারা আলোচোনার জন্যে ধরে এনেছিলেন আমার দেশ পত্রিকার বেতন ভূক এক হিন্দু "দাদা রাজাকার" কে, যিনি আলোচোনায় মতামত প্রকাশ করে বোঝাতে চাইছিলেন যে এই ১০ টা ৩ টা আন্দোলনের ঘোষনার পরেই মিরপুরে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যা করে প্রজম্ন চত্বর ওয়ালারা, ফের সারা দিন রাতের আন্দোলনের সূযোগ করে নিল! এই আলোচনাতে আরও স্পস্ট হয়ে উঠলো যে বিষয়টি তা হল যে জামাত, শিবির ও তাদের দোসররা প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন কে সাঙ্ঘাতিকভাবে ভয় পাচ্ছে! এখানে আর ও একটা জিনিস স্পষ্ট যে জামাত, শিবির ও তাদের দোসররা প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের চাইতে আওয়ামী লীগের কর্ত্বত্বকে অনেক বেশী নিরাপদ মনে করছে ও করে আসছে! এখন প্রশ্ন হল, এত কিছুর পরেও, সরকারী ও জনগণের সম্পত্তি ও জানমালের চরম ক্ষতির আশঙ্কার পরেও কেনো সরকার শুধু সরকারের জামাত-শিবিরের ওপর কিছু হাতে গোনা এ্যাকশন ছাড়া আর কিছুতে যাচ্ছে না? কেনো দিগন্ত টেলিভিশন, নয়া দিগন্ত ও আমার দেশের মতো খবরের কাগজ বন্ধ করে দিচ্ছে না, এর ভেতরকার মোজেজা কি? স্বশস্ত্র জামাতী ও শিবিরের বিরুদ্ধে কেনো "কম্বিং" অপারেশনে যাচ্ছে না? প্রমানিত ত্যাগী দেশপ্রেমিক বামপন্থী রাজনীতিবিদদের চোখে লেটেস্ট মরিচ পিচকারী ছুড়তে পারলেও জামাতীদের সাথে ক্যামন যেন ভাসুর আর ভাদ্রবধু টাইপ অভিমান অনূরাগের আচরন করছে কোন উদ্দেশ্য তা ভেবে দেখার বিষয়! রাজপথে এখন কেনো ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে জামাতীদের ধংসযজ্ঞের স্পট বিচার করছে না যা আগে বি এন পির বেলায় করে ছিলো তা কিন্তু বেশ চিন্তার বিষয়! জামাতের রাজনীতি বন্ধ করতে কেনো "ব্রুট" মেজরিটি সংসদে আওয়ামী লীগ প্রস্তাব পাশ না করে তা নিধিরাম নির্বাচন কমিশনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? আওয়ামী লীগ যেন জামাত শিবির নিয়ে খেদার ভেতর যেমন করে বন্য হাতী ধরে পোষ মানানো হতো ঠিক সেই কায়দায় কাজ করে চলেছে! কিন্তু কেন? জামাতকে কি পোষ মানিয়ে কিছু করাতে চায় আওয়ামী লীগ? কি করাতে চায়? তা হলে সবই কি আগামীর নির্বাচনী বৈতরনী পার হবার খেল? আর গিণিপিগ প্রজন্ম চত্বরের সাধারন মানুষ?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।