আমি আমার আমিত্ব ছেড়ে বের হতে পারবোনা কখনো। ।
(রামায়ণ রচনা করছেন বাল্মীকি)
মূল কাহিনীঃ
বাল্মীকি ছিলেন দস্যু রত্নাকর। দস্যু অর্থে ক্রিমিনাল, খারাপ লোক। একদিন তমস্যা নদীর ধার দিয়ে যাচ্ছিলেন নারদ মনি।
নারদমনির সঙ্গে ছিলেন ব্রহ্মা। তাদের দেখে রত্নাকর আক্রমন করে এবং তাদের বেঁধে ফেলে।
তখন নারদমনি রত্নাকরকে বললেন, “তুমি একবার তোমার বাড়ির আত্মীয়-স্বজনকে জিজ্ঞাসা কর তো, আমাদের মেরে যে পাপ তুমি করবে, সেই পাপের ভাগী কেউ হবে কি না?”
রত্নাকর বাড়িতে এসে সবাইকে জিজ্ঞেস করল। কিন্তু একজনও তার পাপের ভাগী হতে রাজি হল না।
নারদ বললেন, তাকে ৬০ হাজার বার ‘রাম’ নাম জপ করতে হবে।
তবেই সে মুক্তি পাবে। রত্নাকর যত বার চেষ্টা করল রাম বলার, তার মুখ দিয়ে শুধু মরা বেরুলো, মরা; কারণ এতো খুন সে করেছে, এতো পাপ সে করেছে। তাই নিবিষ্ট মনে রাম, রাম, রাম বলতে বলতে তার সারা শরীর উঁইয়ের ঢিবিতে ভরে গেল! উঁইকে আমরা ভাল কথায় বলি ‘বল্মী’। সেই জন্যই তার নাম হয় "বাল্মীকি"।
একদিন বাল্মীকি তমস্যা নদীর ধার দিয়ে যাচ্ছিলেন।
আর আকাশে উড়ছিল দুটো বক। হটাৎ উনি দেখেন, একটা ব্যাধ ঐ বক দুটিকে বান মারার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। উনি বক দুটিকে বাচাতে যাওয়ার আগেই ব্যাধ বান মেরে দেয়! বক দুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আর ঠিক তখনই বাল্মীকির মুখ দিয়ে প্রথম বেরিয়ে আসে_____
"মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতী সমঃ।
যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনদেকমবধী কামমোহিতম।
। "
অর্থঃ হে ব্যাধ, তুমি যে কামমোহিত ক্রৌঞ্চমিথুনকে (বকযুগলকে) বধ করলে, তার ফলস্বরূপ জীবনে কখনও শান্তি পাবে না।
এই শ্লোক দুটোই রামায়নের প্রথম শ্লোক।
বাল্মীকি-প্রতিভাঃ
বাল্মীকি-প্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি গীতিনাট্য। ১৮৮১ সালে প্রকাশিত এই নাটকটি রবীন্দ্রনাথ রচিত প্রথম নাট্যসাহিত্য।
বাল্মীকি-প্রতিভা –র আখ্যানবস্তু কৃত্তিবাসি রামায়ণ থেকে গৃহীত।
মন্তব্যঃ 'বাল্মীকি' শব্দটি আমার কাছে অপরিচিত ছিল। আর অপরিচিত কিছু পেলেই সেইটা জানার তীব্র ইচ্ছা জাগে মনের মধ্যে। সেই ইচ্ছা থেকেই এই লেখাটির অবতারন।
তথ্যসূত্রঃ
●ভারতীয় বাংলা সিনেমা “মুক্তধারা”
●উইকিপিডিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।