নতুন ব্লগার, কি লিখবো ভাবছি!
আজকের জগতে অল্প কিছু লোকই আছে যারা অপরের জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেন। তবে, আবার অনেকে আলাদা কিছূ কোনো না কোনো ভাবে অন্যদের উপকার করার ইচেছ পোষন করে থাকেন। প্রতি বছর অগনিত মানুষ, তারা যেটাকে উত্তম মনে করে, তার পিছনে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেন। ২০০২ সালে বৃটেনে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের দান ১,৩০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং দশজন উদার জনহিতৈষী ব্যক্তি, অভাবি মানুষের সাহায্য করার জন্য ৩,৮০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়েছেন। দাতব্য কর্মীদের দ্বারা সম্পদিত ভালো কাজের অন্তর্ভুক্ত, স্বল্প আয়ের পরিবারের চিকিৎসা খরচ, সন্তানদের শিক্ষা ও বই বিতরন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিষেধক কার্যক্রেমের জন্য তহবিল গঠন,দরিদ্র কৃষকদের পশুপাখি বিতরন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার বাক্তিদের ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ।
এ থেকে অনুমেয় যে, অন্যদের প্রতি মঙ্গল করার সামর্থ্য মানুষের রয়েছে,কিন্তু দু্ঃখের বিষয় যে, এমন মানুষ আছে যারা যারা অবর্ণনীয় মন্দ কাজগুলো করে থাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে, সম্প্রদায়ের বিলোপসাধনের এবং রাজনৈতিকভাবে উসকে দেওয়া গনহত্যার প্রায় ৫০টি ঘটনা নথিভুক্ত আছে। এই ঘটনাগুলো কমপক্ষে এ কোটি ২০ লক্ষ সৈনিক ও প্রায় ২কোটি ২০ লক্ষ সাধারন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে (অ্যামেরিকান পলিটিক্যাল সায়েন্স রিভিউ সংবাদ পত্রিকা) যে সংখ্যা ১৯৪৫ সাল থেকে সংগঠিত গৃহযুদ্ধ ও আর্ন্ত্জাতিক যুদ্ধের শিকার সমস্ত সংখ্যার চেয়ে বেশী।
বিংশ শতাব্দীর শেষ ৫০বছরে কম্বোডিয়ায় প্রায় ২২লক্ষ লোক রাজনৈতিক কারনে নিহত হয়েছেন। রুয়ান্ডায় উপজাতিগত ঘৃণা ৮,০০,০০০র ও বেশী নারী-পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু ঘটিয়েছে।
বসনিয়ায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারনে ২,০০,০০০রও বেশি মানুষ মারা গেছে।
অতি সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মন্দ কাজের উদাহরন দিয়ে, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছিলেন, '' আমরা দেখেছি যে, ইরাকে বেসামরিক লোকেদের একাধারে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে আর সেই সঙ্গে ত্রাণকর্মী, সাংবাদিক ও অন্যান্য সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং খুবই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে আমরা দেখেছি ইরাকি বন্দীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। ডারফুরে, সমস্ত অধিবাসীদের বাড়ীঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ী নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে ধর্ষনকে জেনেশুনেই এক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আমরা দেখেছি উত্তর রুয়ান্ডায় শিশুদের অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে এবং অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর কাজগুলোতে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। বেসলানে শিশুদের জিম্মি করা এবং নির্মম ভাবে হত্যা করা
হয়েছে। ''
এমনকি তথাকথিত উন্নত দেশগুলিতেও ঘৃণার কারনে সংঘটিত অপরাধগুলো ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ২০০৪ইনডিপেনডেন্ট নিউজের এক রিপোর্টে বলা হয় যে, ''বৃটেনে বিগত দশকের তুলনায় এই বছর জাতিগত ঘৃণার কারনে আক্রমন এবং খারাপ ব্যবহারের শিকার ব্যক্তিদের
সংখ্যা এগারো গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ''
কেন মানুষেরা যাদের কিনা এত ভালো কিছু করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা এই ধরনের দুষ্ট কাজ গুলো করে চলেছে? আমরা কি কখনো মন্দতা থেকে মুক্ত হবো???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।