ফেরার পথে দেখা, আর রব না একা মার্কসীয় তাত্ত্বিকের কাছে নিজের বাপ-দাদাকে আফিমখোর বলে মনে হতে থাকে। কারণ তাদের মতে ধর্ম হলো আফিমস্বরূপ।
‘আফিমখোর’ বাপদাদার পালিত কোনো আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বা তার স্বার্থে দুয়েকটি কথা বলাকে এই গোাষ্ঠীটি পশ্চাৎপদতা বলে গণ্য করেন। কিন্তু অন্য আফিমখোরদের (অন্য ধর্মের) কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বা তার স্বার্থে কথা বলতে পারলে প্রগতিশীল বলে পূলক অনুভব করেন। আগাছা তোলার নামে এরা প্রায়ই আমাদের বোধ-বিশ্বাসের মূল শেকড়টিই উপড়ে ফেলতে চায়।
শত শত বছর যুদ্ধবিগ্রহে কাটিয়ে ইউরোপের দেশগুলো এখন মিত্র সেজে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। এক কালের চরম শত্রু জাপান ও আমেরিকা সব ভুলে গিয়ে উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট পরস্পরিক ঘৃণা ও বিদ্বেষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এরা বহন করছে না। এদের রাজনীতি আবর্তিত হয় জনগণের কোয়ালিটি অব লাইফ বা জীবন-মানের উন্নয়নের জন্য। ওদের সংস্কৃতি, ওদের সাহিত্য নিবেদিত সেই একই উদ্দেশ্যে।
ওদের সামাজিক ঘৃণার কামানটিও তাক করা আছে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও আইনের শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া গণশত্রুদের বিরুদ্ধে।
মিনার রশীদ
http://www.sonarbangladesh.com/article/10413 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।