আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারদলীয় দু'গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা । চলনবিল ব্রিজের নিচে জাল পেতে মাছ ধরার প্রস্তুতি

আমি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে ভালবাসি ।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়কের চলনবিলের ওপর নির্মিত ৯নং ও ১০নং ব্রীজ এর নিচে সুতি জাল পেতে সরকার দলীয় এক প্রভাবশালী নেতা কোটি টাকার মাছ ধরার জন্য তার বাহিনীসহ প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিকে এলাকায় আরেকটি গ্রুপ সূতি জাল প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়ায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। সরেজমিনে জানা যায়, চলনবিলের তাড়াশ গুরুদাসপুর সিংড়া, আত্রাই এলাকার বর্ষা মওসুমে পানি প্রবাহের একমাত্র বৃহৎ মুখ ৯নং ও ১০ নং ব্রিজ। ওই ব্রিজে সুতি জাল পেতে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার মাছ ধরার স্থানটি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের কাছে ঠিক আলাদীনের চেরাগের মতো।

অন্যদিকে ৩ উপজেলার প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমির রবি শস্য উৎপাদনের জন্য ৯নং ও ১০নং ব্রিজের মুখে পানি প্রবাহ বন্ধ রাখা মানে কয়েক হাজার কোটি টাকার রবিশস্য থেকে বঞ্চিত হওয়া। বিগত আমলে এলাকার প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান হবিবুর রহমান দলীয় প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ৫ বছর ৯নং ও ১০নং ব্রিজের তলায় সূতি জাল পেতে কোটি টাকার মাছের ব্যবসা করেছে। ফলে ওই ৫ বছর চলনবিলের হাজার হাজার হেক্টর জমি পানি প্রতিবন্ধকতার কারণে নামতে দেরি হওয়ায় রবিশস্য উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৯নং ব্রিজ খোলা থাকায় দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ২ বছর চলনবিলে বাম্পার সরিষার আবাদ হয়েছে। কিন্তু এ বছর ৯নং ও ১০ নং ব্রিজের তলায় সুতিজাল পেতে মাছ ধরতে উপজেলার আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ফের তৎপরতা শুরু করেছে।

গত মে মাসে সরকারিভাবে ব্রিজের তলায় মাছ ধরতে উপজেলা ভাইস চেযারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে অনুমতিপত্র তৈরি করায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান উক্ত ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মন্ত্রী উক্ত ভাইস চেয়ারম্যানকে ভৎর্সনা ও তিরস্কার করায় ভাইস চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মাছ ধরতে না পেরে সুতি জাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে ভাইস চেয়ারম্যানের গ্রুপ দুর্বল হওয়ায় আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা সরকারের মন্ত্রীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বর্তমান শ্রাবণের শেষ হতে চলনবিলের পানি কমতে শুরু করলে এলাকার প্রভাবশালী গ্রুপ মাছ ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে পরীক্ষামূলকভাবে একটি জাল পাতলে ভাইস চেয়াম্যানের লোকজন উক্ত জাল কেটে দেয়।

ফলে এখন ওই ব্রিজের তলায় মাছ ধরা নিয়ে প্রভাবশালীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সুতি জাল পাতা নিয়ে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সুতি জাল পাতা নিয়ে ইচ্ছুক প্রভাবশালীরা শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.