কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি ।
নিজের ক্যাম্পাসে আমি এই অবস্থায় পড়ব কখনও চিন্তাও করিনি। আমি অবাক হয়ে গেলাম। আরে আজব। আমি আরো একবার ছেলেটার দিকে তাকালাম, পরে তার চোখের দিকে, এরপর তার পেছনে মেয়েটার দিকে, তারপর আমার চারপাশে।
আমার মনে হচ্ছে, ছেলেটা নিজেও বোঝেনি সে এমন কিছু করে ফেলবে। আমি মোটামুটি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, বুঝতেছি না ঠিক কতক্ষণ এভাবে কাটালাম। দুই মিনিট নাকি বিশ !
-----
যখনই ক্যাম্পাস২ তে আসি, তখনই এর দুই তলায় সারাদিন খুটুর খাটুর আওয়াজ। প্রথমে পুরা ২তলা ক্যান্টিন হিসেবে চালানো হত। কিন্তু, স্বাভাবিক ভাবেই ক্যান্টিন চলে না।
আমাদের ভার্সিটির পোলাপান খায় না, এর চেয়ে বরং মোবাইলে টাকা ভরে। তাছাড়া আশে পাশে এত হোটেল আর রেস্টুরেন্ট, সেখানে ছিমছাম পরিবেশে না বসে, এত ভিড়ে অনেকেই বসতে চায় না। ক্যান্টিন চালাত মফিজ মামা। “আর বইলেন না,দিনে ৩০ টা বার্গার আনি। তাও চলে না”, মফিজ মামা বলত আমাকে।
“ কন কি মামা? পোলাপাইনরে ত সারাদিনই দেখি বার্গার খাইতে ”, সিঙ্গারা চিবাতে চিবাতে মুখের ফাঁক দিয়ে কোন রকমে উত্তর দিলাম। “ওগুলি ক্যান্টিনের না। নিচে যে ব্যাচে ওইখানকার। সস্তা বেশি ত। আর টাকা বেশি থাকলে পাশের কেএফসি যায়।
ক্যান্টিনে আসে, সারাদিন চা আর সিঙ্গারা ছাড়া আর কিছু কিনে না ”,মফিজ মামার বিরস গলা শুনেই বুঝলাম এই ক্যান্টিন আসলেই চলে না। পোলাপাইনের হাতে টাকা থাকলে কেএফসি থেকে কিনবে, কিন্তু এখান থেকে কিনবে না, আজব। আবার সারাদিন বসে থাকে এখানেই।
এডমিনিস্ট্রেশনের সুমতি হল। তারা বুঝল যে এই এলাকায় থেকে আমাদের আসলে ক্যান্টিনের দরকার নাই।
তারা এইটাকে সেমিনার-২ বানানোর সিধান্ত নিল। আপাতত এটাই প্ল্যান। নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে এই ফ্লোরটা। এখানে এখন ঢুকা নিষেধ।
ঘটনা হল, এতদিন এখানে বসে গ্যাঁজাইছি, কালকেও সুমনের ব্যাগ এনে লুকিয়ে রাখছি, মুক্তার মোবাইল নিয়ে টানাটানি করছি।
এখন আজকে যদি হঠাৎ দুইতলার গেট বন্ধ করে সেটার সামনে ইট সুরকির স্তুপ করে রাজমিস্ত্রীরা কাজ শুরু করে আর বলে যে স্টুডেন্টদের ঢুকতে দেয়া হবে না, তাহলে পোলাপান মানবে কেন ! কিন্তু পোলাপান অনেক জটলা করেও ঢুকতে পারল না, বাইরে থেকে আসা রাজমিস্ত্রীদের সাথে আসলে ঠিক খারাপ আচরণ করতে চাচ্ছিল না কেউ । গড়িমসি করেও পোলাপান একসময় জটলা কমিয়ে ফেলল। তাছাড়া এখন এমনিতেও ভীড় একটু বেশি। জুনিয়র ব্যাচ অলরেডি ক্লাস শুরু করে দিয়েছে। ফল সেশনের ব্যাচ হওয়ায় এখানে আমার বয়েসী পোলাপানও কিছু আছে দেখা গেল।
একটা ক্লাস ১১টায় শেষ হল, আরেকটা ক্লাস বাকি। সেটা শুরু হবে দুপুর ২টায়। এতক্ষণ কী করব! সুমন রাকিবরা ওয়ারিদের কাস্টমার সেন্টারে যাবে কী কাজে যেন। আমার আর যেতে মন চাইল না। মাহবুবের সেলফোনে কল দিলাম।
সে এখন কাকরাইল মসজিদে। এক হুজুরের ওয়াজ শুনতে এসেছে। আপাতত উনার খেদমতে ব্যস্ত সে। সন্ধ্যায় ওয়াজ শুনে রাতে জিকির করে আগামীকাল ভোরে বাসায় আসবে সে। আমি ত পুরা অবাক।
কি ছেলে কী হয়ে গেছে। আমি বললাম যে, ভার্সিটির ক্লাস মিস দিয়ে এগুলি করিস? ও অল্প কথায় ইহকালে যে ওর আগ্রহ নাই তা বুঝিয়ে সেলফোন রেখে দিল। অবশেষে সময় কাটানোর জন্য কিছু করার না পেয়ে মামাদের হালকা ম্যানেজ করে দুইতলার ভিতরে ঢুকে বসে রইলাম। আগে খেয়াল করি নি, জায়গাটা বেশ বড়, ভিতরের চেয়ারগুলো সব সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইতস্তত কিছু টেবিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
ক্যান্টিনের টেবিল না, দেয়ালের উপরের দিকের কাজ করার জন্য কাঠের তক্তা দিয়ে বানানো চুন ভরা টেবিল। আগে থেকেই এনে রেখেছে মিস্ত্রীরা। তবে এখনও বাইরেই শুধু ইট সুড়কি, ভিতরে কিছু নেই। এক কোণাতে দেখি কীভাবে যেন কিছু চেয়ার জোগাড় করে কয়েকটা পোলাপান আড্ডা মারতেছে। বুঝা গেল, মামাকে তারাও চিনে ভাল মতই।
ভিতরে আর কেউ না থাকাতে জায়গাটা কেমন খালি খালি লাগছে। পুরো প্লাটফর্ম জুড়ে থাকা বড় বড় সাউন্ডপ্রুফ থাইগ্লাসগুলো বন্ধ করে তেরপল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। তাই মনে হচ্ছে, ভিতরে ফুটবল খেললেও দরজা বন্ধ থাকায় বাইরের কেউ টের পাবে না।
কোণায় ৩ টা ছেলে আর ২ টা মেয়ে। পোলাপান গুলো কেমন যেন, মানে ওদের মাঝ থেকে কী যেন একটা অহংবোধ ছিঁটকে পড়ছে।
মানে ঠিক হয়ত অহংবোধ না, কেমন একটা ড্যাম কেয়ার ভাব। কোন ব্যাচের এরা ! এদের মাঝে একটা মেয়ের ড্রেস পড়ার ধরণ খুব উগ্র লাগল। আর তা এতদূর থেকেও বুঝা যাচ্ছে। উপরের দুটো বোতাম খোলা। বুকের মাঝে কালো সানগ্লাস ঝোলানো।
মেয়েটাও আমার দিকে তাকাল। মেয়েটার সাথে আমার কেমন যেন একটা মিল আছে। আমরা কেউ কারও আগে চোখের পাতা ফেলব না। আমি তাকিয়েই রইলাম। অবশেষে মেয়েটা আমার আগেই চোখের পাতা ফেলল।
ও নিচের দিকে তাকায় আর আমি চোখ ঘুরিয়ে নেই। মেয়েটাকে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে না! নাহ। ৫ টা চেয়ার ওদের ওখানে, একটা ক্যান্টিনের টেবিল। চার জন বসে আছে চেয়ারে। একটা ছেলে, তারপর এই মেয়েটা, তারপর আরেকটা মেয়ে বসে আছে খুব কাছাকাছি।
তারপর কোণায় আরও একটা ছেলে। এই গরমেও দেখি এদের সবার ফুল হাতা শার্ট। একটা ছেলে টেবিলে উঠে বসে আছে,আর একটা চেয়ার খালি। আমি ভাবলাম চেয়ারটা বরং নিয়ে এসে জানালার পাশে বসি।
আমি ওদের দিকে এগিয়ে যেতেই টেবিল থেকে নেমে চট করে ছেলেটা চেয়ারে বসে পড়ল।
আশ্চর্য্য ত! মেজাজটা গরম হয়ে গেল পুরা। অন্য টেবিল গুলাতে আমি উঠে বসতে পারব না, অনেক ধূলাবালি আর চুন ওখানে। শুধু ক্যান্টিনের একটা পরিষ্কার টেবিলে ছেলেটা বসে ছিল, এখন নেমে এই চেয়ারটায় বসল। ছেলেটার পড়নে কালো গ্যাভাডিন আর নীল রঙের ফুল হাতা সাদা শার্ট। গলার উপরের দু্টো আর শার্টের হাতার বোতাম খোলা।
কলার উঁচু করে উঠানো। কিন্তু, শার্টটা যে খুব দামী সেটা দেখেই বুঝা যায়। আমি বললাম, “টেবিলটাতেই ত বসে ছিলেন। ওখানেই বসেন, সমস্যা কী? আপনারা ত সবাই মিলে ভালই গল্প করছিলেন, আমাকে চেয়ারটা দেন, আমি জানালার পাশে বসব। ” ছেলেটা বেয়াড়াভাবে উত্তর দিল, “ পারব না।
আমরা আনছি আমরা বসব। ” মেজাজটা পুরা গরম হয়ে গেল। আমি বললাম, “ কোথা থেকে আনছেন? ” ছেলেটা বলল, “ জানিনা। ”
এবার আমার সত্যিকারের রাগ উঠে গেছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ কোন ব্যাচ আপনি? ” উত্তর দিল, “ জিরো সেভেন ফোর।
” মনে মনে “ধূর বাল, সিনিয়র” বলে, মনে মনেই গালি দিয়ে মেজাজ খারাপ করে উলটা দিকে ফিরলাম। তখনই খেয়াল হল, এক বছরে তিনটা সেশন। তাহলে জিরো সেভেন সালে এককের ঘর তিন পর্যন্ত যাবে। মানে, জিরো সেভেন ফোর বলে কিছু নেই, এই সালে সর্বোচ্চ জিরো সেভেন থ্রি পর্যন্ত থাকবে। আরে, এই শালা চাপা মারল কেন! ধুম করে বুঝে গেলাম, এরা নিউ কামার্স, আন্দাজে যা ইচ্ছা বলে দিছে।
সাঁই করে উল্টো ফিরলাম আবার ওদের দিকে। ছেলেটা এখন আবার টেবিলে উঠে বসেছে, চেয়ারে পা দিয়ে রেখেছে। চেয়ারের উপর পা দেখে কোন কিছু না ভেবেই সোজা একটা ধাক্কা দিয়ে বসি ছেলেটার গায়ে। ছেলেটা টেবিল থেকে উলটে পিছনে পড়ে যায়।
এর একটু পড়ে আমি নিজেকে এইরকম একটা অদ্ভূত অবস্থায় আবিষ্কার করি।
আমি কখনও ভাবি নি ব্যাপারটা এরকম দাঁড়াবে। ছেলেটা মেঝেতে পড়ে গিয়েছিল। মেঝে থেকে চট করে উঠেই সে আর কিছু চিন্তা না করে আমার বুকে পিস্তল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি চরম ভাবে শকড। বুক পর্যন্ত সোজা করে হাত উঠানোয় শার্টের হাতা কিছুটা উপরে উঠে গেছে।
হাতের কবজি থেকে কুনুইএর দিক পর্যন্ত যতটুকু হাতা উঠল দেখলাম শুধু ইঞ্জেকশনের দাগে ভর্তি। নিজেকেই মনে মনে গালি দিলাম, ছেলেটার চোখের ঘোলাটে ভাব দেখে আমার আরও আগেই বুঝা উচিত ছিল। আস্তে করে চোখ ফিরিয়ে ওর গ্রুপের বাকি সবার দিকে তাকালাম। সবাই মোতামুটি অবাক। ওরাও বুঝে নি যে, ওদের মাঝে থেকে ছেলেটা হঠাৎ নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবে।
হাতে অস্ত্র বোধহয় নতুন পেয়েছে এ। কাল চকচকে একটা কোল্ট। বাকিদের পকেটে কী আছে কে জানে! এদের মাঝে সেই বুকে সানগ্লাস ঝুলানো মেয়েটা দেখলাম চেয়ারে বসেই আমার দিকে বিদ্রুপের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আরেকটা মেয়ে আস্তে করে উঠে দরজার ফাঁকে চোখ রাখতে চলে গেল। এই কাজটা একই সাথে লাভের আবার রিস্কিও।
কেউ দেখলে সবার আগে ওকেই দেখবে। আবার, সমস্যা হলে সবার আগে ওই পালাতে পারবে। খুব জানতে ইচ্ছা করল যে ওর কপালে আসলে কোনটা আছে আজ! গ্রুপের বাকি ছেলে গুলা চারপাশে ঘিরে দাঁড়াল আমার। এদের মাঝে কোন কথা হয় নি। সব যেন আগে থেকেই এদের রিহার্সাল দেয়া।
বুঝলাম এদের আগেও অভিজ্ঞতা আছে এমন।
আমি এবার মাথা ঘুড়িয়ে সবার দিকে তাকালাম। নাহ, ছেলেটাকে ধাক্কা দেয়ার পর সব মিলিয়ে হয়ত দুই মিনিটই হয়েছে। এর বেশি না। “ কীরে, মেয়েদের সামনে হিরো সাজতে চাইছিলি? হারামজাদা ধাক্কা দিলি কেন?” ছেলেটার এই প্রশ্নের উত্তরে আমি চুপ করে থাকলাম।
আমি জানি না আমার কী বলা উচিৎ। ওদের কোন সুযোগ দিতে চাই না। “ওই, উত্তর দেস না কেন? ভাব বাড়ছে?” পাশে থেকে খেকিয়ে উঠল একজন।
ছেলেটার পিস্তলের দিকে তাকালাম আমি। কাল চকচকে একটা কোল্ট।
গুলি করলে বুকের ভেতরে গর্তটা বেশ বড়ই হবে। যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি এসব পরিস্থিতিতে ল্যুগার বেশি উপযোগী, কারণ ফায়ারিং রেট খুব হাই এর। আমি আবারও সামনের মেয়েটার দিকে তাকালাম। মেয়েটা যেন উপভোগ করছে ব্যাপারটা। চোখ বুলিয়ে আমাকে যেন চেক আউট করছে সে।
চোখ থেকে মনে হচ্ছে যেন কোন মুভি দেখার অপেক্ষা করছে সে। মনে মনে নিজের অজান্তেই লোভ হল কেমন যেন। ইস, যদি এটা অন্য কোন সময় হত। আমার মনে ইচ্ছা বুঝে মেয়েটা কেমন হালকা একটা হাসি দিল যেন। বিদ্রুপের নাকি প্রশ্রয়ের ! অন্য মেয়েটা এখনো দরজার সামনে চোখ রাখছে।
কাউকে আসতে দেখলে বাকি ছেলেগুলোকে সাবধান করবে ও। সামনের ছেলেটা আবার খেকিয়ে উঠল, “ ওই তুই খালি মাইয়াগো দিকে তাকাস ক্যা?” ধৈর্য্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে ও। আশেপাশের ছেলেদের হাত উঠবে এখনই। আমি নিশ্চিত বুঝতে পারছি। অন্ধ একটা বুনো রাগ যেন আমার উপর ভর করল।
নিজের ভিতরে একটা রাগ যেন যেন দলা পাকিয়ে গলা বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করল। চোখের কোণা দিয়ে দেখলাম, বাম পাশের ছেলেটা পকেট থেকে দুই দিকে ধারঅলা একটা ছুরি বের করল। ডান পাশের ছেলেটার পকেটেও ছুরিই বোধহয়। ও হাসতেছে। এরা কী খেলা খেলতে চায় আমার সাথে!
তবে তাই হোক।
-------
পরের দিন খবরের কাগজের প্রথম পাতার একটা কলাম অনেকেরই চোখে পরে হয়ত। “ ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকা বনানীর একটি হাসপাতাল থেকে বেলা ২ টায় একটি একটি কোল্ট পিস্তল এবং দুটি ছুরি সহ তিন যুবককে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মাঝে দুইজন আশংকাজনকভাবে আহত, তাদের শরীর থেকে ল্যুগারের ৩ টি করে গুলি বের করা হয়েছে। এই তিনজন অতিরিক্ত ড্রাগস এডিক্টেড বলেও হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, বনানীর একটা ভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে এদের এখানে আনা হয়।
এ ব্যাপারে সেই ভার্সিটির সাথে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ কোন কথা বলতে রাজি হয় নি। পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে বনানী থানায় অস্ত্রবহন আর সামাজিক শৃংখলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে মামলা করেছে। ওদের জ্ঞান ফিরলেই এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করা হবে বলে পুলিশ এসপি কামরুল আহমেদ আমাদের জানিয়েছেন। ”
ঐ কাগজেই দ্বিতীয় পাতাতেও একটা খবর থাকে। ওই দিনই সন্ধ্যা ৭ টায় আশুলিয়া থেকে একটু মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মেয়েটি ড্রাগস এডিক্টেড ছিল এবং শেষ মুহূর্তেও মাতাল ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। তাকে সম্ভবত দুর্বৃত্তকারী চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তার পাশের একটি খাদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। মেয়েটির পড়নে ছিল ফুল হাতা শার্ট আর বুকে একটা সানগ্লাস ঝুলানো ছিল।
© আকাশ_পাগলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।