আমি সাধারনত প্রতিবছর তারাবি খতম পরি। এবারও এই পর্যন্ত সবগুলো তারাবি পরেছি। কিন্তু এইবার নামাযে দাড়ালে কোথা থেকে যেনো রাজ্যের চিন্তা এসে মাথায় ভর করে। আগে ২০ রাকাত নামায পড়তে আমি ১০ বার ঘরির দিকে তাকাতাম, সময় যায় না কেন এই জন্য। কেননা সময় গেলেই নামায শেষ হবে।
কিন্তু এইবার নানরকম চিন্তায় আমি এতই বিভোর থাকি যে কখন তারাবি শেস হয়ে বেতর পড়া শুরু হয়ে যায় বুঝতে পারি না।
গতকাল আমার মাথায় যেইসব চিন্তা ভর করেছিল তার কয়েকটি উদাহরন দিচ্ছি।
১। বোনাসের টাকা দিয়া কি কি শপিং করা যায়। কোন কোন শপিং সেন্টারে যাওয়া যায়।
আব্বা-আম্মার জন্য শপিং কি একা করবো না বোনকে নিয়ে করবো।
২। কিছু কিছু চিন্তা হয় খুব অদ্ভুত। যেমন অনেক নামাযি আছেন, যারা কিছু রাকাত পড়ে, উঠে চলে যায়। তখন তার ফাকা জায়গা পুরন নিয়ে শুরু হয় ডাকাডাকি।
যার সামনে থেকে লোক উঠে চলে যায়, তারই উচিত সেই জায়গা পুরন করা, কিন্তু উনি তা না করে পিছনে তাকিয়ে অন্যদের ডাকা শুরু করে। আবার কেউ না আসতে চাইলে চোখ গরম করে। এদের মতো মানুষ যদি আমাকে ডাকে তো আমি কি করবো, এই নিয়ে এক চিন্তায় আমার ৭ থেকে ১৬ রাকাত তারাবি পরা হয়ে গেল।
আমার চিন্তার কথপকথন ছিলো--
নামাযি---"সামনে আসেন, সামনে আসেন"।
আমি--- "আপনি না যেয়ে আমাকে ডাকছেন কেন"?
নামাযি--- "আমার জায়নামায আছে, তুলতে হবে।
"
আমি---"আমি তুলে দিচ্ছি"।
নামাযি---"তুমি মুখে মুখে তর্ক করছো কেন"?
আমি----"কোথায় তর্ক করছি। আপনাকে সাহায্য করতে চাইছি। "
নামাযি---"কতবড় বেয়াদব। "
আমি--"সরি, আংকেল, বেয়াদব বলবেন না।
অনেক সহ্য করেছি আর না। আপনি আমাকে বলেন, আপনি সামনে না যেয়ে অন্যকে কেন ডাকলেন। আপনি যদি পর্যাপ্ত কারন দেখাতে না পরেন, তাহলে আমি আপনার বিরুদ্ধে কেস করবো। পেয়েছেন কি আপনারা?"
এরপরই আমরা ১৬ রাকাতের রুকুতে যাই।
মনে মনে ভালো লাগলো, একচোট নিতে পারায়।
আবার খারাপও লাগলো, কারন হয়ত আমার এই কষ্ট করে দারিয়ে নামায পরার কোন মুল্যই নেই।
আল্লাহ আমাকে মাপ করো। আমার মাথা থেকে এইসব চিন্তা দুর করে দাও।
সবাই বলি, আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।