আজ তারাবির নামাজের সময় আমার পাশে দুজন হাফেজ সাহেবের খুব সমালোচনা করছিল।
বলছিল." কি ব্যাপার? হাফেজ সাহেব দেহি লোকমা খাইল। " হুযুরে এত আস্তে পড়ায় ক্যা? "
এধরনের আরো নানান মন্তব্য করছিল প্রতি সালামের পর। যেন প্রতি সালামের পর হুযুর সম্পর্কে মন্তব্য করা একটা ফযিলত পূর্ণ অযিফা। ১১ তম রাকাতে যখন দ্বিতীয় হাফেজ সাহেব আসল এবং ২ রাকাত পড়াল তখন বলল এই হুযুর দেখি আরো slow .আর সহ্য হলো না।
তাকে বললাম তারাতারি করে তেলাওয়াত করলে কি কোরআনের হক আদায় হবে? তারাতারি করে যদি পড়ায় তাহলে বেশি থেকে ১০ মিনিট অতিরিক্ত লাগতে পারে। এই ১০ মিনিট কি অপেক্ষা করা যায়না? তখন আরেকজন বলল, অনেক জায়গায় তো খুব তারাতারি পড়ায়। আমি তাকে বললাম, কোনটা উচিৎ? এরপর তারা আর কোন কথা বলল না। আর নামাজও অন্যান্য দিনের ন্যায় একই সময় শেষ হল।
কোরআন শরীফ পড়ার নিয়ম হলো তার্তিল বা ধিরে সুস্থে পড়া।
কিন্তু এই মুসল্লীদের কারণে হাফেজ সাহেবরা তারাতারি নামাজ পড়াতে বাধ্য হয়।
সাধারণ মুসল্লীরা কোরআনের একটা পৃষ্ঠাও মনে হয় শুদ্ধ করে পড়তে পারবেনা। এখন যদি হাফেজ সাহেবের পিছে দাড়িয়ে কোরআনের হক আদায় করে তার্তিলের মদ গুন্নাহ আদায় করে পড়া হতো তাহলে তারাবির মাধ্যমে সহীহ্ শুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতে সোয়াব পেয়ে যেত। কিন্তু নিজেরাই সোয়াবের এই রাস্তা বন্ধের কারণ হয়েছে। আমাদের যতো তারা মসজিদে আসার পরই শুরু হয়।
কিন্তু যখন আমরা বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকি বা বিদ্যুৎ বিলের লাইনে দাড়াই, তখন কারও কোন তারা নেই! এসব ক্ষেত্রে আমাদের খুব ধৈর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে! কিন্তু এবাদতের ক্ষেত্রে যতো তাড়াহুড়া।
রমজান হচ্ছে এবাদতের মাস। এই মাসে যতটা সম্ভব এবাদতে ব্যস্ত থাকা উচিৎ। এজন্য আমরা হাফেজ সাহেবদের কাছে নিবেদন করতে পারি যে, নামাজের তেলাওয়াতটা যেন ধীরে সুস্থে তার্তিলের করা হয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে যেন তাঁর মহা গ্রন্থ সঠিক ভাবে পড়া ও সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করেন।
(আমিন) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।