বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর খবর
--পরীক্ষায় পাস করানোর বিনিময়ে এক ছাত্রীকে অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বিনাবেতনে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে সিন্ডিকেট।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. শাহ আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক।
অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপাচার্য আবু ইউসুফ শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে একই বিভাগের শিক্ষক মো. শাহ আলমকে বিনাবেতনে বাধ্যতামূলক ছুটির শাস্তি দেওয়া হয়েছে। "
তিনি জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে প্রাথমিকভাবে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে।
উপাচার্যের কাছে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগে জানান, মঙ্গলবার বিভাগীয় কার্যালয়ে শাহ আলমের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তার পরীক্ষার খোঁজখবর নেন।
পরীক্ষা ভাল না হওয়ার কথা জানালে তিনি তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় শহরের একটি হোটেলে যেতে বলেন।
এতে সাড়া না দিয়ে বাসায় চলে গেলে শাহ আলম তাকে দুবার ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
ওই ছাত্রী তার অভিযোগে আরও বলেন, এতে তিনি ভয় পেয়ে তার স্বামীকে বিষয়টি জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলম শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। হয়তো সে কারণে কখনও কিছু বলে থাকতে পারি।
তবে তাতে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।
"আমাকে বিভাগীয় দলাদলির যড়যন্ত্রে ফাঁসানো হয়েছে। এর পেছনে এক আমার বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপক রয়েছেন।
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময় থেকেই তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা। এখন তিনি তার শোধ নিয়েছেন।
"
সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে 'যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র' খোলারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।