নীলফামারী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীকে পতিতা বানিয়ে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ দণ্ডাদেশ দেন। এই অবিচারের প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা আত্দহননের হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় সদরের লক্ষ্মীচাপবাসী ফুঁসে উঠেছে। এলাকাবাসী পরিবারটিকে আত্দহনন থেকে বাঁচাতে তাদের বাড়িতে দিনরাত পাহারা দিচ্ছে।
সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের রণজিত কুমার রায় (৫৫) হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে জানান, তার মেয়ে প্রতিমা রানী রায় নীলফামারী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার সঙ্গে একই গ্রামের দুবাছুড়ি নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবোধ চন্দ্র রায়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিমা বিয়ের দাবিতে সুবোধকে চাপ দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে ১১ জানুয়ারি সুবোধের বাড়িতে সে অবস্থান নেয়। ওই দিন দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার নাসরীন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হাজির হন।
এ সময় সেখানে ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য, গ্রামপুলিশসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ এসে জমায়েত হন। সেখানে নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিমা রানীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও তার সঙ্গে চরম অশালীন আচরণ করেন। উপস্থিত হাজারো মানুষ তাদের বিয়ে দেওয়ার দাবি জানালে নির্বাহী কর্মকর্তা গণদাবিকে উপেক্ষা করে ছেলে-মেয়েকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে প্রতিমাকে 'পতিতা' আখ্যা দিয়ে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় ১০০ টাকা জরিমানা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।