জাতির পিতৃত্ব নিয়ে এই কেওস অনেক দিনের পুরোনো। একটা অংশ শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বলবে এবং অন্য অংশ সেটা অস্বীকার করবে। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। ঠিক আছে বলতে অন্তত এই পর্যন্ত যে কোনো সমস্যার উদ্ভব হয় না, এটুক বোঝা যায়। মানা যায়।
সমস্যা হয়ে যায় যখন এই উভয় পক্ষ বাড়াবড়ি শুরু করে।
প্রথম দলের একটা অংশের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা স্বীকার করাটা স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণের অন্যতম হাতিয়ার।
দ্বিতীয় দল এটাকে কাউন্টার করতে গিয়ে খুব অদ্ভুত একটা তুলনা হাজির করে। তারা বলে দেখ বাঙালি জাতি হাজার বছরের পুরোনো। শেখ মুজিব থেকে কি সেই জাতি শুরু হয়েছে? তাহলে তিনি সেই জাতির জন্মদাতা হন কীভাবে? আমরা হলাম গিয়ে প্রথমত এবং প্রধানত মুসলমান।
জাতির পিতা একজনই হন। তিনি তো ইব্রাহিম (আঃ)।
দ্বিতীয় এই দলের যুক্তিটার মধ্যে মজার একটা বৈপরিত্য আছে। তারা সেটা খেয়াল করেন না।
কথা হলো যদি জাতি জন্ম দিলেই কেবল জাতির পিতা হওয়া যায় তাহলে যুক্তিমতে ইব্রাহিম (আঃ) মুসলিম জাতির পিতা হতে পারেন না।
কিন্তু কোরান মতেই তো ইব্রাহিম (আঃ) মুসলিম জাতির পিতা। আদম (আঃ) নন।
তাহলে প্রশ্ন হলো ইব্রাহিম (আঃ) কেন মুসলিম জাতির পিতা? ভারতে গান্ধি কেন জাতির পিতা?
উইকি অনুসারে, Click This Link
Father of the Nation is an honorific title given to a man considered the driving force behind the establishment of their country, state or nation.
জবাবটা যদি এই হয়, তাহলে কিন্তু ইব্রাহিম (আঃ), গান্ধি, শেখ মুজিবুর রহমান- সবার জন্যেই জাতির পিতা উপাধিটা যুক্তিযুক্ত হয়।
ব্যক্তিগতভাবে আমার এই উভয় দলের বাড়াবাড়িটাই বিরক্তিকর ঠেকে। আমি অনেক পিতা-পিতা করতে করতে ফেনা তুলে ফেলা লোকের চেয়েও অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি কিন্তু উচ্চারণ করার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না বলে সিমপ্লি শেখ মুজিব বলতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ফিল করি।
অনেক আপন মনে হয় তাতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।