অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
১৪০০ হিজর পহেলা মুহাররম, আসরের ওয়াক্তে একদল মানুষ বেশ কয়েকটি কফিন নিয়ে উপস্থিত হলো কাবা চত্ত্বরে। সেখানে জানাযা হবে আসরের নামাজ শেষ হলে। আজান শেষ হলে ইমাম দাঁড়ালেন, এমন সময় তার সামনে দাঁড়ালো একজন, বললো, আমি ইমাম মাহদী, আমাকে স্বীকৃতি দাও-
ইমাম তাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় তাকে খুন করা হলো, এবং কাবা চত্ত্বরে রাখা কফিনগুলোর ভেতর থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং গোলাবারুদ বের করে কাবা দখল করলো ন্যুনতম ২০০ থেকে ৪০০ জন উগ্রপন্থী মুসলিম।
Click This Link
মসজিদে নামাজের জন্য সমেবত মানুষদের জিম্মি করে তারা নিজেদের দাবি পুরণের প্রচেষ্টা করে।
অনেকের ধারণা এটার পেছনে ছিলো আয়াতুল্লাহ খোমেনীর ইন্ধন কারণ ঠিক সে সময়েই ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করছিলো সৈদি আরবের সম্রাট, কেউ ধারণা করছিলো এটা ঘটেছে ইসরাইল এবং মার্কিন চক্রান্তে, মূলত সিআইএ এই আক্রমনের ইন্ধন জুগিয়েছে।
এই প্ররোচনার ফলেই বাগদাদ থেকে ঢাকা মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এবং রংপুরে হরতাল আহ্বান করা হয়।
Click This Link
পাকিস্তানেই সবচেয়ে বেশী বিক্ষুব্ধ জনতার বসবাস ছিলো, তারা পাকিস্তানের মার্কিন দুতাবাসে হামলা করে এবং সেখানে কর্মরত দুজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা করে, এবং অন্য কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানে আগুণ ধরিয়ে দেয়।
Click This Link
অনুমাণের ডালপালা বাড়তে থাকে, শিয়া পন্থী মুসলিমেরাই এই হামলা চালিয়েছে এমন সন্দেহের পেছনের কারণ শিয়ারা বিশ্বাস করে প্রতি শতাব্দিতেই একজন ইমাম তাদের মুক্তির পাথেয় নিয়ে আসবেন, এবং হিজরী পঞ্চদশ শতকের শুরুতে তাদের ইমাম এসেছেন এমন ধারণা তারা করতেই পারে।
Click This Link
তবে অন্য একটি সুন্নী গোত্রকেও এর জন্য দায়ী ভাবা হয়, বিশেষত নেতার নাম বিশ্লেষণ করে, তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেই বর্তমান সৈদি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্রোহের সংবাদ পাওয়ার পরপরই এটাকে দমনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, এবং সম্ভবত সকল বিদ্রোহীই নিহত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।