যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত রায়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম সহ ব্যাপক সাধারণ মানুষ। এই রায় প্রত্যাখ্যান করে কসাই কাদের মোল্লার ফাসির দাবিতে ফুসে উঠেছে মানুষ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন থেকেই বিক্ষুব্ধ মানুষ জড়ো হতে শুরু করে শাহবাগে। প্রথমে কিছু কিছু মানুষ, পরে শত শত মানুষ যোগ দেয় সেখানে। এ সংখ্যা হাজারের অংক ছাপিয়ে এখন লাখ লাখ মানুষের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি সেখানে।
ক্রমান্বয়ে শাহবাগের চত্বর চলে যায় আন্দোলনকারীদের দখলে। লেখাটি যখন তৈরি করা হয়, তখন শাহবাগের প্রজন্মচত্বরের আন্দোলন ৯ দিন পেরিয়ে গেছে। দিনরাত অষ্টপ্রহর কোনো ধরণের বিরতি ছাড়াই চলছে আন্দোলন, তিন মিনিট স্তব্ধতার কর্মসূচী ছাড়া এক মিনিটের জন্যও স্লোগান থামেনি সেখানে। মানুষজন যেন তাদের ঘরবাড়ি ভুলে গেছে।
অকুপাই ওয়াল ষ্ট্রিটের মত অকুপাই শাহবাগ যেন আন্দোলনের নতুন ফর্ম, যা ইতোপুর্বে কেউ দেখেনি।
কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকে এত লোক সমাগম সম্ভব নয়। এই সমাবেশ কী বার্তা দিচ্ছে।
১. মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই দেশের মূল রাজনৈতিক শ্রোত। ভারত বিরোধীতার সঠিক কিন্তু ভারত বিরোধীতার নামে কিংবা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক চেতনা ভিত্তিক রাজনীতি তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণীয় নয়।
২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা জন্য আওয়ামী লীগ আর নির্ভরযোগ্য দল নয়, দলটির কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর নিরাপদ নয়।
জামাত যেমন ধর্ম ব্যবসায়ী, তেমনি আওয়ামী লীগও তেমনি স্বাধীনতা ব্যবসায়ী।
৩. রাজনৈতিক দলগুলো শুধু জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে না, জনগণও মাঝে মাঝে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠ দেয়। প্রজন্মচত্বরের গণজাগরণ রাজনীতিকদের প্রতি জনগণের সেই রকম একটি পাঠ। এ ধরণের ঘটনার পরে দেশের রাজনীতির কাঠামোগত একটা পরিবর্তন অত্যবশ্যক হয়ে দাড়ায়। সঠিক দিশা পেলে এধরণের ঘটনা থেকে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের শর্ত তৈরি হয়।
তারিখ : ১৩.০২.১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।