বাংলাদেশকে নিয়ে শংকিত
দুষ্ট এ রোগটি সবসময়ই নিরীহ হোয়াইট হেড বা ব্ল্যাক হেড হিসেবেই থাকে না, মাঝে মধ্যে লালচে হয়, ব্যথাও করে। বলাই বাহুল্য, ব্রণ হতে পারে মুখে, ঘাড়ে, কাঁধে, বুকে, পিঠে ইত্যাদি স্থানে। বয়ঃসন্ধিকাল আর উঠতি তরুণ-তরুণীরাই ব্রণের প্রধান শিকার। ব্রণের দাগ অবশ্য দীর্ঘ সময় ধরে তার স্মৃতিচিহ্ন রেখে যায়। চামড়ার নিচে থাকে তৈলগ্রন্থি আর তৈল নিঃসারক নালী।
এই নালী ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে নালীর মধ্যে নিঃসৃত পদার্থ জমা হয়ে ব্রণ তৈরি করে।
ব্রণের কিছু কারণ হলো-
০ বয়ঃসন্ধিকালে এন্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য
০ মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন
০ ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা কড়া মেকআপ
০ অধিক আবেগ
০ আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক শৈবাল, গরুর কলিজা, রসুন ইত্যাদি
০ কেরোসিন বা কয়লা (যেমন বাসার ফার্নিচারের বার্ণিশ)
০ একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো বা হাতের ওপর মুখ রেখে ঘুমানো
০ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ।
কারণগুলো কঠিন হলেও অধিকাংশ ব্রণের চিকিৎসা শুধু আত্মসচেতনার মাধ্যমেই সম্ভব। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শও নিতে হতে পারেন। ব্রণ মূলত টিন এজারদের শত্রু।
নিজেকে ঝকঝকে রাখার এই বয়সে এটা যেন বড় অসহনীয় উৎপাত।
ব্রণের অনেক কারণ আছে। তবে অকারণে ভয় পাওয়া ঠিক নয়। যেমন ধরুন আঠালো খাবার, চকলেট কিংবা যৌনতা কিন্তু ব্রণ ঘটায় না।
টিন এজারদের ক্ষেত্রে ব্রণের প্রধান কারণ অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন নিঃসরণ।
এর ফলে বেশি তৈল নিঃসৃত হয় যা জমা হয়ে ব্রণ তৈরি হয়। শিশুদের এমনকি নবজাতকেরও মায়ের হরমোনের কারণে ব্রণ হতে পারে। ব্রণের জন্য উদ্বিগ্ন হবেন না, কারণ উদ্বিগ্নতাই ব্রণের প্রধান কারণ।
ব্রণের চিকিৎসায় নিচের সাধারণ ফ্লো চার্টটি অনুসরণ করুন-
ব্রণের কারণে ফোলা ভাব, ইনফেকশন বা জ্বর আছে?
ফুসকুড়িগুলো খুব বড় বা বেশি?
নিজের পরিচর্যায় অবস্থার অবনতি হচ্ছে?
নিজে পরিচর্যার কৌশল-
যথারীতি ব্রণের জন্য সময়ই সবচেয়ে বড় চিকিৎসক। তবুও সচেতন হোন এবং নিজের পরিচর্যা করুন-
০ ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
সাবান সামান্য সময় রেখে পরিষ্কার কাপড়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।
০ ভালো অ্যাসট্রিনজেন্ট বা গ্রিজ পরিষ্কার কাপড়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।
০ ভালো ত্বকে অত্যাচার করবেন না। চাপাচাপি, চুলকানো বা খোটাখুটি করা একদম উচিত হয়। এজন্যই ব্রণে ইনফেকশন হয় এবং এমন দাগ পড়ে যা সহজে সারে না।
০ অ্যালার্জি না থাকলে বেনজাইল পারঅক্সাইড লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
০ মুখে বা অন্য কোথাও ঘাম হলে দ্রুত পরিষ্কার করুন।
০ সপ্তাহে অন্তত দু’বার চুল ধোবেন এবং চুল মুখ থেকে দূরে রাখবেন।
০ আঠালো, তৈলাক্ত ক্রিম, লোশন বা মেকআপ বাদ দিয়ে শুধু ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন।
ডা. ওয়ানাইজা, জেনারেল মেডিক্যাল হাসপাতাল (প্রা.) লি. ১০৩, এলিফ্যান্ট রোড (তৃতীয় তলা), বাটা সিগন্যালের পশ্চিম দিকে, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৯১১৫৬৬৮৪২।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।