একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...
পিটানোর প্রয়োজন নাই, আমার দ্বিমত বিভাগে আবারো স্বাগতম. . .
”আসুন সুস্থ ব্লগিং করি. . . অসুস্থ ব্লগ এবং ব্লগারকে এড়িয়ে চলি। ১৮+ কে বর্জন করি। ” এই লাইনগুলো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অনেকেই হয়তো লাইনগুলোর জন্য লেখককে স্বাগত জানাবে আবার অনেকেই হয়তো এই লাইনগুলোর বিরুদ্ধে কিছু কথা বলবে। কিন্তু ১৮+ কে বর্জন করা কখনোই হবে না!! প্রথমদিকের লাইনগুলোকে স্বার্থক করে তুলতে পারেন একমাত্র “সামহ্যোয়ারইন ব্লগ কতৃপক্ষ”।
আমি ব্লগ কতৃপক্ষকে অনুরোধ করবো ব্লগের স্বার্থে এবং সুস্থ ব্লগিং নিশ্চিত করার জন্য ১৮+ নামক ফালতু পোষ্ট নিষিদ্ধ করার জন্য।
যারা ১৮+ এর পক্ষে তাদেরকে বলবো নেট ঘাটাঘাটি করে ”১৮+” তথ্য, কৌতুক, গল্প ইত্যাদি পড়ার জন্য। নেটে যথেষ্ট ১৮+ সাইট রয়েছে। আপনারা সে সমস্ত সাইট থেকে সবধরনের তথ্যই পাবেন। এই ব্লগসাইটে যারা ব্লগার তাদের অনেকেরই বয়স ১৮ এর নিচে।
যেসব ব্লগার ১৮+ পোষ্ট দেন তারা কি মনে করেন যে ঐসব পোষ্ট ১৮ মাইনাসরা পড়েন না! একথা বলা বাহুল্য যে ১৮+ পোষ্টের প্রতি ১৮ মাইনাসদেরই আগ্রহ বেশী থাকে।
১৫-১৮ বয়সটা একটা ছেলে/মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টাতে ছেলেমেয়েরা ভুল বেশী করে। এই সময়টাতে তারা বিভিন্নরকম সমস্যারও সম্মুখিন হয়। খারাপের প্রতি আর্কষনটাও হয়তো অনেকের একটু বেশী থাকে।
এটা তার দোষ নয়। এটাই যে স্বাভাবিক। একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তাকে অনেক কিছু জানতে হয়, শিখতে হয়।
আমাদের ১৮+ পোষ্টের ব্লগারগন এইসব পোষ্ট দিয়ে ব্যাপক মজা পান! আরে ব্যাপক মজা!! হাসতে হাসতে তো ঘাস খাওয়া শুরু করে দিয়েছি! আরে ভাই, ১৮+ মজা করার জন্য বন্ধুদের আড্ডাস্থানতো রয়েছেই। কেনো এইধরনের সামাজিক ওযেবসাইটে এই ধরনের পাগলামি, বলেন?? কেন?
পাশের বাসায়ই হয়তো আমার অথবা আপনার ছোটো বোন অথবা ছোটো ভাইটা ব্লগিং করছে।
অথবা বড় ভাই-বোন, বাবা-মায়ের বয়সের অনেকেই। আমরা অনেকেই অনেক কিছুই জানি। একটা বয়সে সবাই জেনে যায় যে বিয়ে করার পর কার সাথে কি করতে হয়। আমরা কি কখনো এইসব ব্যাপারগুলো বাবা-মার সাথে অথবা বয়সে যারা বড় তাদের সাথে ধেই ধেই করে আলোচনা করি? নাকি আমরা একটা দুরত্ব বজায় রেখে চলি? [কিছু ব্যতিক্রম থাকেই]
আমি সবসময়ই বলি, যেসব কথাবার্তা আমি সবার সামনে বলতে পারবোনা সেসব পাপের মধ্যে পড়ে। সেসব খারাপের মধ্যে পড়ে।
কোনটা ভালো এবং কোনটা খারাপ তা বেশীরভাগ ব্লগারেরই বোঝার ক্ষমতা আছে। ১৮+ পোষ্টগুলোর মধ্যে যেসব পোষ্টগুলো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দ্বারা পড়া বিরক্তিকর সেইসব পোষ্টের ব্লগারগন বেশীরভাগ সময়ই নিক নেম অথবা ভূয়া আইডি দিয়ে পোষ্ট করেন।
এই ধরনের ১৮+ পোষ্ট যারা দিচ্ছে আমি হলফ করে বলতে পারি ওদের বেশীরভাগেরই বয়স ১৭-২৫ বছর। বেশীরভাগেরই. . .
এইসব ব্লগারকে যদি আমি কখনো এক করতে পারতাম তবে তাদের মা-বাবা, ছোটো ভাই, বড় ভাই, ছোটো বোন এবং বড় বোনকে একত্রিক করে বলতাম, “বলো এবার ১৮+ গল্প অথবা কৌতুক, দেখি তোমার খনিতে কতো তেল আছে”।
এই ব্লগটা সমবয়সীদের আড্ডাখানা নয়।
আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ১৮+ নিয়ে হাসাহাসি মাতামাতি করতে পারি। কিন্তু এই ধরনের মুক্ত পরিবেশে আমি ১৮+ এর বিরুদ্ধে গিয়েই দাড়াবো। এতে করে যদি কেউ বলে বসে যে আমি আধুনিক হতে পারিনি, সেক্ষেত্রে আমি বলবো আমার এই ধরনের আধুনিকতার কোনো প্রয়োজন নেই।
সামহ্যোয়ারইন ব্লগের কতৃপক্ষকে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে তাদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনার অনুরোধ করবোঃ
১. বেশি বেশি মডারেশন করা এবং মডারেশনে স্বচ্ছতা আনা। প্রতিটি পোষ্ট প্রথম পৃষ্ঠায় যাবার আগে একবার হলেও মডারেটরের তা পড়ে দেখা।
যদিও এটা অনেক ব্যায়বহুল হবে। ২৪ ঘন্টাই মাডারেশনের জন্য মডারেটরের প্রয়োজন হবে। তবে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনেক কিছুই করতে হয়। মডারেশন বিহীন কোনো ব্লগ কখনোই সুস্থ ব্লগ হতে পারে না। যেহেতু এই জগৎটা ভার্চুয়ালসেহেতু মডারেশন না থাকলে অনেকেরই খারাপ মানুষটা জেগে উঠবে।
প্রতিটা মানুষের ভেতরেই যে একটা খারাপ মানুষ থাকে. . .
২. ভূয়া নিক নেমের ব্লগারদেরকে চিহ্নিত করে ব্যান করা। এটা সামহ্যোয়াইন ব্লগের জন্য কোনো ব্যাপারই না। কয়েকদিন শুধু আইডি এবং আইপি এড্রেস চেক করেই এটা বের করা সম্ভব। তবে চতুর ব্লগারগন বিকল্প অনেক পদ্ধতিই অনুসরন করবে হয়তো। তারপরও ভ’য়া নিক নেমের ব্লগারদেও ব্যান করা প্রয়োজন।
কোনো ব্লগারকে ব্যান করা হলেও তার পোষ্টগুলো যেনো ডিলিট করা না হয়।
৩. ব্লগে গালাগালি নিষিদ্ধ করা। কেউই যেনো কাউকে গালি দিতে না পারে। সে রাজাকারই হোক অথবা ভালো মানুষই হোক! গালি সবসময়ই গালি হিসেবেই বিবেচ্য। কাউকে অপমান করতে চাইলে গালি দেওয়া ছাড়াও অপমান করা যায়।
গালিতো নিজের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশই মাত্র।
৪. ১৮+ পোষ্ট নিয়ে ভেবে চিন্তে কিছু নীতিমালা প্রনয়ন. . . দরকার হলে নিষিদ্ধ. . . দরকার হবে নিশ্চয়ই. .
ব্লগ কতৃপক্ষ, উপরের ব্যাপারগুলো বিবেচনা করে ব্লগের নীতিমালায় পরিবর্তন আনুন। নয়তো এই সাইটের জনপ্রিয়তা সুস্থ ব্লগারগনের কাছে ধীরে ধীরে কমতে থাকবে. . .
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।