আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের গল্প

একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।
গত একবছরে আমি দিনের গড়ে ষোল থেকে আঠারো ঘন্টা অনলাইন ছিলাম। এর আগেও এমনই থাকতাম। কিংবা আরো বেশি। সুতরাং একে অভ্যাস বলাই যায়।

সবসময় ব্রডব্যান্ড থাকায় আর শেয়ার করার কেউ না থাকায় এই অভ্যাস হওয়া, অন্তত আমার জন্য স্বাভাবিক। তাহলে গত একটা বছরকে আলাদা করা কেন? কার‌ণ এই সময়টুক আমি অভ্যাসে ছিলাম না। বরং, তার আগে আগেই আমি ছেড়ে দিয়েছিলম আমার ভার্চুয়াল জীবন। ছেড়ে দিয়েছিলাম এই স্থির সময়ের পৃথিবীটাকে। সবসময় সবার লিস্টে অনলাইন হয়ে জ্বলতে থাকা আমার নামটা নিভিয়ে দিয়েছিলাম।

তারপরেও ছিলাম ইয়াহুতে। বাতি নিভিয়েই ছিলাম। নাহ, আমার তোকে দরকার ছিলো বলে নয়। কিংবা দরকার হয়তো ছিলো তোর আমাকে। ছিলাম শুধু তোর সাথে থাকবো বলে, ছিলাম শুধু তোর জন্য।

ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে রাখতে রাখতে গাল ব্যাথা হয়ে যেতো, কিন্তু তুই জানতি আমার মেজাজ বিলা। কাজ করতে করতে কালো ঘাম ছুটে যেতো, তুই দেখতি আমি ভালো আছি। তোর কাছে কখনো লুকাতে হয়নি নিজেকে। কখনো আমার কষ্ট দেখে তুই মিথ্যে সান্তনা দিসনি। বলিসনি, সব ঠিক হয়ে যাবে।

কারণ তুই জানতি হবেনা। কিন্তু এও কি জানতি আমিই বদলে যাবো?? নাকি বদলে দিয়েছিস তুইই আমাকে?? তুই কি জানিস, পাল্টেছিস তুই নিজেও?? একটা বছর সময়তো কেটেছে, তাই না?? কত মজা করেছি একসাথে, মনে আছে? কত ঝগড়া করেছি, মান-অভিমানের কত আমাদের গল্প?? জানিস, এখন কিছু হলেই তোর কথা মনে হয়। তোকে না বলা পর্যন্ত শান্তি হয় না। আর, ইয়াহুতে ঢুকে তোরে ক্লিক করে বাজজ দিলে তবে আমার অস্থিরতা কমে। তুই এসে পাশে বসলেই তবে আমি নিশ্চিন্ত।

সব ছেড়ে একখন আমি থাকি শুধু তোর জন্য, তোর পাশে। তুই যে আমার ঠিকানা, আমার নিশ্চিন্তপুর স্টেশন। (নামটা সহেলী আপুর কোন ব্লগে পেয়েছিলাম। তার পরেই মাথায় গেঁথে ছিলো। লুমান্তিকতা আমারে দিয়ে হয় না, ওটা অনন্তর ডিপার্টমেন্ট।

তাও ট্রাই করে দেখলাম । পছন্দ না হইলে হাসি মুখে মাইনাস দেন । )
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।