সারিব্দ্ধ লাশ আর কত দেখবে এদেশের মানুষ ! ১২৪ !
আমাদের স্বভবাবজাত একটা অভ্যাস আছে, আর তা হলো কোনো কিছু বেশি দিন মনে রাখি না। অবশ্য এটা বাস্তববাদীতার একটা লক্ষন বলতে পারি।
আমাদের মন্ত্রী, সাংসদরা কোনো একটি বিশেষ দিবসে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি টিয়ে আলোচনা করেই শেষ। পরে এটা কতটুকু কাজে আসছে এর কোনো মনিটরিং নেই আর তা কিছু থাকলেও নিজ দলের সাপোর্টারদের কতটুকু সুবিধা দিয়ে নিজের পকেটে কত পারসেন্ট আসবে এগুলো নিয়েই নিজেদের সময় ব্যায় করে। আমাদের সাধারন জনগনের কথা ভাবার সময় কখন আবার... ।
গতকাল রাত থেকেই এক টিভি থেকে অন্য টিভিতে যাচ্ছিলাম আপডেট খবর জানতে। মধ্যরাত পর্যন্ত দেখলাম , দেখে আর কি বা করার আছে ইচ্ছা করছিলো কাছাকাছি থাকলে গিয়ে উদ্ধার কাজে যোগদিতাম। যদি নিজ চেষ্টায় একজনকেও বাঁচাতে পারতাম ...!
মনে আছে কি আপনাদের নিমতলীর ঘটনা ! ২০১০ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে ঘটনা। সেখানেও মৃতের সংখ্য প্রায় একই রকম ছিলো। সেখানে অবশ্য বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ থেকে ভয়াবহ আগুনের সৃষ্টি হয়েছিলো আর তেল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টার মত সেখানে কয়েকটি কেমিক্যেল এর গোডাউন ছিলো ভয়াবহতার মূল কারন।
এর পর কয়েকদিন প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও আমরা কিন্তু সেখানে না গিয়েও বলতে পারি সেই আগের অবস্থায়ই আছে। অর্থাৎ দেখা যাবে কেমিকেলের গুদাম এখনও আছে এমনকি বাসাবাড়ির নিচ তলাতেই। তাহলে কি দাড়ালো ? আমরা সহ আমাদের প্রশাসনও একপর্যায়ে ভুলে যায় অতীতের ঘটনা এমনকি ভবিষ্যতে যে আবার ঘটতে পারে ! আর্থাৎ এর কোনো স্থায়ী সমাধান আমাদের মত আজব দেশে নেই ।
আসলে সব জায়গায়ই আমাদের মত সাধারনরাই মৃত্যু বরন করেন। আমরা আবার তাদের কাছে মানুষ হলাম না-কি ! মানুষতো ঐ একদিনের জন্য , ভোটের দিন ! আল্লাহ না করুন, যাদের দায়িত্ব এই সব দেখার তাদের পরিবারের কোনো সদস্য হারালে হয়তো তাদের ঘুম ভাঙ্গবে।
গতকাল থেকে দৃশ্য গুলো দেখে কতবার যে চোখের জল মুছেছি ! যে সব পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি, একমাত্র ছেলে, একমাত্র সন্তান এদের মধ্যে ছিলো সেই সব পরিবারের কি হবে?
এতই হৃদয় বিদারক দৃশ্য যে, আমরা এতই শোকাহত যে, শোক সন্তপ্ত পরিবারদের প্রতি সান্তনা জানাবার ভাষা আমাদের জানা নাই ।
পরিশেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা মৃত আত্মার শান্তি কামনা করি করছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।