আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
গত দু্ই মাসে কিডনী সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ২২ টি শিশু ঢাকা শিশু ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যায়। এখানে সন্দেহ করা হচ্ছে ডাই ইথাইলিন গ্লাইকল নামক রাসায়নিক পদার্থ কে। প্যারাসিটামল সিরাপে এর ব্যাবহার নিষিদ্ধ। ১৯৯২-৯৩ সালে ঐ একই পদার্থ মিশ্রিত প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারা বাংলাদেশে শত শত শিশুর কিডনী নষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করে। ঐ সময়ে বেশ কয়েকটি ফার্মাসিউটিকাল তথা ওষুধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ায় দীর্ঘদিন প্যারাসিটামল সিরাপে উক্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থর ব্যাবহার বন্ধ ছিল।
সাধারণত প্যারাসিটামল সিরাপে প্রোপাইলিন গ্লাইকল নামক পদার্থ ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু অসাধু ও লোভী ওষুধ ব্যাবসায়ীরা সস্তা হওয়ায় ডাই-ইথাইলিন গ্লাইকল ব্যাবহার করে। এটা প্লাষ্টিক ও রাবার শিল্পে ব্যাপক ব্যাবহার হয়। খবরে তো দেখা যাচ্ছে ২২ জন মারা গেছে যারা প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। এদের সকলেরই প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন চিকিৎসকগণ প্যরাসিটামল সিরাপ সেবনের অনুমতি দিয়েছিলেন।
তো আমি আশংকা করছি অনেক জ্বরে আক্রান্ত শিশু ও রোগী এই ওষুধ ইতিমধ্যে গ্রহণ করে ফেলেছে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ফার্মা স্কয়ার, বেক্সিমকো সহ অন্যরা না করলেও কিছু মধ্যম ও নীচু সারির প্যারাসিটামল সিরাপ দাম সস্তা হওয়ায় এই ওষুধ অনেকেই কিনেছে। তাই বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে সতর্ককতা জারি পূর্বক যারা যারা এই ওষুধ সেবন করেছে তাদের খোজ নেওয়া এবং বাজারে বিদ্যমান সকল ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করা। যাদের প্যারাসিটামল সিরাপে এই ডাই-ইথাইলিন গ্লাইকল পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ব্যাবস্থা নেওয়া সহ বিপুল জরিমানা আদায় করা। ভবিষ্যতে আর যেন কেউ প্যারাসিটামল সিরাপে ডাই-ইথাইলিন গ্লাইকল না মিশায় তার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।