কবিতার ছেলে।
জুয়েল,
তোমাকে আজ বারবার মনে পরছে।
জীবনের কত স্রোত পারি দিয়েছো তুমি
কত মিথ্যা আর কুসংস্কারে
হাতকরা পরিয়েছো ডিবেটের মঞ্চে।
কত মানুষকে শিখিয়েছো
দুর্ভাগ্যের বেড়াজাল ছিড়ে
উড়ে বেড়াতে নিজের আকাশে
যেখানে সাহস মেলায় সুর্যের আলো।
অথচ আজ তুমি কোথায়,
কোথায় বা তোমার সাবলীল ভাষা!
বাকরুদ্ধ হয়ে পরে আছো মেডিকেলের
ভাঙ্গা জানালার পাশে।
হয়ত সে জানালা দিয়ে স্বপ্নের
বাতাস বইছেনা;
অথবা কোনো পরিচিত কোকিলের কুহুকুহু ডাক।
সব যেন নীরব নীথর হয়ে পরে আছে
তোমার ঐ শরীরের মত।
বইঘরে বসে তোমার সাথে
হয়ত প্রাণখোলা হাসি নিয়ে
এক তরফ গল্পটার শেষ আর হবে না,
অসমাপ্ত আড্ডাটা পরে রবে -
তোরণের চেয়ারগুলো চেপে।
তবুও আমি চাই তুমি ফিরে এসো।
ফিরে এসো তোমার ঐ প্রাঞ্জল
হাসিমাখা প্রতিচ্ছবি নিয়ে,
এই শিক্ষাঙ্গনে হানা দিয়ে যতসব
দুর্ভাগ্যের বুকে।
বয়ে দিতে স্বপ্নের আকাশে
তোমার ঐ সাহসের তারা।
[অ্যাপ্লাইড ক্যামেস্ট্রি তে পাঠরত আমার কাছের এক বন্ধু জুয়েল কে উৎস্বর্গ করে লিখা, যে কিনা শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার ফাইনাল পরীক্ষা মিস করছে ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।