আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃষ্টি দুর্ভাগ্যের মুখে পড়বে প্রোটিয়ারা?

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্মৃতি হয়তো এখনো ভুলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকেরা। জয়ের জন্য শেষ ১৩ বলে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। কিন্তু এরপর সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছিল ১২ মিনিটের বৃষ্টি। আবার যখন খেলা শুরু হলো তখন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়াল ১ বলে ২১ রান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ছাড়া আর কী-ই বা বলা যেতে পারে? ২২ বছর পর আবারও বৃষ্টি-দুর্ভাগ্যের মুখে পড়ার আশঙ্কা ভর করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে।


গতকাল শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালে আঘাত হেনেছিল কালবৈশাখী ঝড়। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ২৭ রানের জয় দিয়ে ফাইনালে চলে গেছে শ্রীলঙ্কা। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আজও আছে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। সত্যিই যদি তেমনটা হয় আর ন্যূনতম পাঁচ ওভারের ম্যাচও মাঠে না গড়ায়, তাহলে আবারও কপাল পুড়বে প্রোটিয়াদের। ব্যাট-বলের লড়াই না করেই ফাইনালে চলে যাবে ভারত।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কারণে খেলা না হলে গ্রুপ পর্বে ভালো অবস্থানে থাকা দলটিই চলে যাবে ফাইনালে। এই জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনালে এসেছে ভারত।

দক্ষিণ আফ্রিকার আশঙ্কাটা বেশি। কারণ এমন দুর্ভাগ্যের মুখে এর আগেও পড়তে হয়েছে তাদের। ১৯৯২ সালের বৃষ্টি বিড়ম্বনা তো আছেই, ১৯৯৯ সালের সেমিফাইনালেও এমন দুঃখগাথা লেখা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট অঙ্গনে। ক্লুজনার-ডোনাল্ডের সেই সর্বনাশা দৌড়ের ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু সুপার সিক্স পর্বে রানরেটে এগিয়ে থাকার কারণে ফাইনাল খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.