নিজেকে হয় নাই চেনা
কয়েকজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এক বিতর্কমঞ্চে বসে আছেন। তারা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থক।
তাদের আলোচনার বিষয় ঠিক করা হল – [একদা একজনা কহিলেন, “আমি ভাত খাই”। ]
প্রথম রাজনীতিবিদঃ এখানে ভাতের কথা আসলো কোথা থেকে? আমরা কি ভাত ছাড়া কিছু খাই না? ছি, ছি, কি জঘন্য ধরণের মানসিকতা। এখানে গম, রুটি – এসবকে অপমান করা হয়েছে।
দ্বিতীয় রাজনীতিবিদঃ এখানে ‘আমি’ শব্দটা বেমানান। একটা জঘন্য স্বার্থপর চিন্তাভাবনা। যেখানে সেখানে ‘আমি’ বলাটা ঠিক না। আমরাও তো ভাত খাই। ‘আমরা ভাত খাই’ বলতে অসুবিধা কোথায়?
তৃতীয় রাজনীতিবিদঃ খালি ‘খাই, খাই’।
যত্তসব বাজে চিন্তা-ভাবনা। খাওয়া ছাড়া আমাদের কি আর কোনো কাজ নেই? ‘আমি ভাত রান্না করি’ বলাতেও তো কত শালীনতা। না, এ জাতিকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
চতুর্থ রাজনীতিবিদ বলার আগে জানতে পারলেন, ‘আমি ভাত খাই’ এর বক্তা তার দলের সমর্থক। সুতরাং তিনি বললেনঃ আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালি।
আমাদের ভাত খাওয়ার একটা ঐতিয্য আছে। ‘আমি ভাত খাই’ – কথাটিতে বক্তার গভীর দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে। আমরা বৈশাখীতে পান্তা ভাত খাই। বিয়েতে পোলাও-কোর্মার সাথে এই ভাতকেই খাই। ভাতকে না খেয়ে কি গায়ে দেওয়া হয়? কি হাস্যকর কথাবার্তা!
পঞ্চম রাজনীতিবিদ সব শুনে বললেন, ‘যেখানে সেখানে ভাতকে টেনে এনে আমাদের আবেগী করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে।
জাতি যে কোন মূল্যে এই অপচেষ্টা রুখে দেবে। ’
... এইভাবে আরো কিছুক্ষণ চললে আমরা হয়তো আরো কিছু বক্তব্য শুনতে পেতাম। কিন্তু বেরসিক একজন দর্শক মাঝখানে বলে উঠলেন, ‘আমরা খানা পাই না, তাই খাই না, কিন্তু পাই খানা, তা-ই খাই। ’
এই কথা শুনে রাজনীতিবিদরা এক্কেবারে চুপ। তাই এই কথার কোনো ব্যাখ্যাও আর পাওয়া গেলো না।
এই লেখাটি একটি ইমেইল থেকে পাওয়াআগে কেউ পড়ে থাকলে পুনরায় পোস্ট দেবার জন্য দুঃখিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।