আবর্জনাকে রবীন্দ্রনাথ প্রশংসা করলেও আবর্জনাই থাকে। প্রথমেই বলে রাখি - রাজনীতিবিদের আমার ঠিক মানুষ বলে মনে হয় না আবার কুত্তার বাচ্চাও মনে হয় না কারন কুকুর আমার প্রিয় প্রানীদের একটা আর আমি এদের ভালোবাসি আর এরা রাজনীতিবিদের চেয়ে হাজার গুন ভাল ।
আমার দুইটা কুকুর আছে ।
উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন কিছু নয়। উপমহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহুকাল ধরে বিশ্বব্যাপী চলে আসছে এ রাজনীতি।
তবে উত্তরাধিকারের রাজনীতিও সবসময়ই একই রেখায় চলে না। উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী আলো নিয়ে আসেন কেউ কেউ। তাদের আলোতে হারিয়ে যান অন্যরা। কখনও কখনও উজ্জ্বলতায় পিতাকেও হারিয়ে দেন পুত্র। ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ তেমনই একজন।
পিতা নাজিউর রহমান মঞ্জুর রাজনীতির সূত্র ধরেই রাজনীতিতে অভিষেক তার। তবে এরই মধ্যে জনপ্রিয়তায় তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন পিতাকেও। আন্দালিব রহমান পার্থের সবচেয়ে বড় সফলতা তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলনে তরুণদের বিরাট ভূমিকা ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের অনেকের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি।
এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মূল মশালও ছিল তরুণদের হাতে। কিন্তু তারপর তাদের সময় কেটেছে রাজনীতির প্রতি উন্নাসিক উদাসীনতা আর ঘৃণায় দূরে থাকার মধ্য দিয়ে। রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ব্যবসায়ীদের হাতে। রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দূরে থাকা বিজ্ঞানমনস্ক তরুণ প্রজন্মের মুগ্ধ দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন ব্যারিস্টার আন্দালিব। সংসদের ভেতরে-বাইরে তার দেয়া এক একটি বক্তব্য ঝড় তুলছে ওয়েব দুনিয়ায়।
দেশ-বিদেশে ইউটিউবে হাজার হাজার মানুষ তার বক্তব্য শুনছেন। প্রশংসা করছেন তার সাহস ও বুদ্ধিমত্তার। বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সমালোচনা করেন তিনি। চলতি সংসদে অশালীন বক্তব্যের প্রতি অনেক সংসদ সদস্যের ঝোঁক দেখা গেলেও আন্দালিবের বক্তব্য তা থেকে মুক্ত। পার্লামেন্টেরিয়ান হিসেবে শাহ আজিজুর রহমান, আতাউর রহমান খান, বি চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তদের উত্তরাধিকারী তিনি।
পবিত্র সংসদ আন্দালিবদের মতো কবিদের কবিতা পাঠের আসর হবে এমন প্রত্যাশা অনেক তরুণেরই। সংসদের বাইরে রাজনীতির মঞ্চ ছাড়া টিভি টকশোতেও আন্দালিব এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সংসদ, রাজপথ ও টিভি পর্দার জনপ্রিয়তা তার জন্য বয়ে এনেছে মিস্টার পপুলারের খেতাব। তার প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ মানবজমিনকে বলেন, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। সে প্রজন্ম আবার রাজনীতিবিদদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে এটা খুবই পজিটিভ।
আমরা রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। রাজনীতিতে যে গোঁড়ামি ছিল তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এজন্যই তরুণ প্রজন্ম আমাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। নবম সংসদ নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো জয়ী হন বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব। চারদলীয় জোটের ব্যানারে ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন তিনি।
ঢাকায় সেন্ট যোসেফ ও ল্যাবরেটরি স্কুলে পড়ালেখা করেছেন পার্থ। লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে ১৯৯৭ সালে সম্পন্ন করেন বার-অ্যাট-ল। দেশে ফিরে চার বছর কাজ করেন প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের মেয়ে শেখ সায়রা রহমান আন্দালিব রহমানের স্ত্রী। এই দম্পতির দুই কন্যা মাহাম সানজিদা রহমান এবং দিনা বিনতে আন্দালিব।
বর্তমানে পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। সমালোচকদের কেউ কেউ আন্দালিবের সাহসী বক্তব্যের পেছনে তার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বলে থাকেন। তবে কিছু দিন আগে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে তাকেও কারাগারে যেতে হয়েছে। পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডের জোরে কারাগার এড়াতে পারেননি তিনি। তবে স্পিকার আবদুল হামিদ একদিন সংসদে সহাস্যে আন্দালিব রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, দুষ্টু লোকেরা বলে, আপনি দুই নেত্রীরই স্নেহভাজন।
আন্দালিব রহমানের সবচেয়ে আলোচিত দু’টি বক্তব্যের একটি তিনি দেন গত মার্চে সংসদে। ওই বক্তব্যে তিনি সরকারের বিদ্যুৎ প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, যত টাকাই বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভর্তুকি দেয়া হোক না কেন বিদ্যুৎ আমরা পাবো না। কারণ, বিদ্যুতের মাঠে মাত্র দু’জন খেলোয়াড়। এর মধ্যে সামিট গ্রুপ হচ্ছে ম্যারাডোনা আর ওরিয়ন গ্রুপ হচ্ছে মেসি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নেই।
কারণ, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পর চীনে আর কোন ভাঙা মেশিন নেই। সব ভাঙা মেশিন বাংলাদেশে এক্সপোর্ট করেছে তারা। মহাজোট সরকারকে ব্যাংকারদের সরকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানতাম, আওয়ামী লীগ গরিব মানুষের সরকার। এখন দেখছি ব্যাংকারদের সরকার। একটি ব্যাংক চালু করতে ৪০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়।
একজন পরিচালককে দিতে হয় ৩২ কোটি টাকা। কিনু্ত সরকারি দলের যে লোকদের ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাদের নির্বাচনী হলফনামায় লাখ টাকার হিসাব দেয়া ছিল। তারা ৩ বছরে কিভাবে ৪০০ কোটির টাকার মালিক হলেন? মানুষ দুর্নীতি করে লুকিয়ে লুকিয়ে। এখন দেখছি এ সরকারের দুর্নীতি খুল্লাম খুল্লা অবস্থা। এর আগের বছর সংসদে আন্দালিব রহমান পার্থের দেয়া একটি বক্তব্যও বিপুল আলোচিত ছিল।
ওই বক্তব্যেও সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করেছিলেন তিনি। ক্ষমতায় এলে বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর জন্য বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েও আলোচিত হন তিনি।
এই ব্যাক্তি সম্পর্কে অনেক নেগেটিভ কথাও শুনেছি ।
ব্লগারদের মন্তব্যে আসল ঘটনা জানতে পারব এই আশায় এই কপি পেস্টটি পোস্ট করা হল ।
কপি পেস্টের জন্য ক্ষমা প্রার্থী ।
সুত্র - মানবজমিন ( ৩১শে জুলাই )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।