আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওজোন ¯তরের য়রোধে উদ্যোগ গ্রহণ

কি যে বুঝি তাও বুঝি না।

ওজোন ¯তরের য়রোধে উদ্যোগ গ্রহণ ঃ ওজোন ¯তরের য়রোধ করতে হলে বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে হলে কল কারখানা থেকে নির্গত ধোয়ার পরিমাণ কমাতে হবে এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে যে সকল গ্যাস অবদান রাখছে যেমন; কার্বন-ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড,সালফারডাই অক্সাইড, মিথেন, ও সিএফসি এর বেশির ভাগই উৎপাদন হয় শিল্পোন্নত বিশ্বে। এই গ্রীণ হাউজ গ্যাসের সামান্যই আসে তৃতীয় বিশ্ব থেকে। বিশ্বব্যাপী গ্রীণ হাউজ গ্যাস উৎপাদনে উন্নত বিশ্বের অবদান ৮৭ ভাগ।

ওজোন ¯তরের য় রোধ সংক্রাšত ১৯৮৭ সালে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রন করার জন্যে কানাডার মন্ট্রিলে ‘‘মন্ট্রিল প্রটোকল’’ নামে চুক্তি স্বারিত হয়। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা ১৯৫৭ সাল থেকে কুমেরু অঞ্চলের আকাশে ওজোন গ্যাস এর পরিমাণ এবং অবস্থান নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করে আসছিল। ১৯৭৪ সালে তাদের এই গবেষণার রিপোর্টে উল্লেখ করে যে, সিএফসি গ্যাসের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির ফলে ওজোন ¯তরের য় হচ্ছে। ১৮৮৩ সালে ব্রিটিশ এ্যান্টার্কটিকা সার্ভে নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রথম ওজোন ¯তরের শূন্য হওয়ার তথ্য আবিষ্কার। ১৯৯২ সালে ১০৮টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানসহ ১৭২টি দেশের প্রতিনিধিরা প্রথম ধরিত্রী সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে।

এই সম্মেলনে এজেন্ডা-২১ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার জন্য ২টি কনভেনশন স্বারিত হয়। ক) তাপমাত্রা প্রতিরোধ চুক্তি। খ) জৈব বৈচিত্র চুক্তি। তাপমাত্রা প্রতিরোধ চুক্তিতে ১৭২টি দেশের প্রতিনিধিরা স্বার করলেও জৈব বৈচিত্র চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বার করেনি।

এই সম্মেলনে সিদ্ধাšত গৃহীত হয় যে, সিএফসি’এর পরিমান কমাতে হবে। ১৯৯৪ সালে বার্লিন সম্মেলনে ‘‘জাতিসংঘ আবহাওয়া সম্মেলন’’ আশংকা করা হয় যে, ধরিত্রী সম্মেলনের সিদ্ধাšত মোতাবেক সিএফসি হ্রাস না পেয়ে বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরিত্রী সম্মেলন+৫ ১৯৯৭ সালে পঞ্চম বর্ষ পুর্তি উপল্েয পর্যালোচনার জন্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালের ৫ জুন পরিবেশ দিবসে বিশ্বব্যাংক পরিবেশের সুরার জন্য ১০ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই কমসূচীকে ‘গ্রীন টপ-১০’ বলা হয়।

১৯৯৭ সালে জাপানের কিওটো শহরে ‘‘বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির রোধ চুক্তি’’ স্বারিত হয় যা কিওটো প্রটোকল নামে পরিচিত। এই পরিকল্পনায় ২০১০ সালের মধ্যে উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক গ্রীন হাউজ গ্যাস সমূহের মাত্রা ৫.২% হ্রাস করার সিদ্ধাšত। গ্রহীত হয়। কিšতু মার্কিন প্রশাসন এই কিওটো প্রটোকল মেনে নেয়নি এবং তাতে স্বার করেনি। ২০০১ সালের জুলাই মাসে জার্মানির ‘বন’এ ১৮০টি দেশের পরিবেশ মন্ত্রীরা মিলিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই কিওটো প্রটোকল কার্যকর করার জন্য সিদ্ধাšত গ্রহণ করা হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।