এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
দূরে কোথাও মাদক আছে কিনা তা বলে দিচ্ছে রোবট, ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপে জীবিত প্রাণের খোঁজও দিচ্ছে ছোট্ট রোবট। কল্প বিজ্ঞান দৃশ্যের মতো মনে হলেও একদল জাপানি বিজ্ঞানী সেরকম স্বপ্নের পথেই ছুটছে।
তারা চেষ্টা করছে কীট-পতঙ্গের মস্তিষ্ক বুঝবার এবং সে অনুযায়ী বিশেষ কাজের জন্য কৃত্রিম পতঙ্গ নির্মাণের।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিওহেই কানজাকি তিন দশক ধরে পতঙ্গের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তবে তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য মানব মস্তিষ্ক আয়ত্ত করা৷ অসুখ ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানব মস্তিষ্ক সারানোর বড় উদ্দেশ্য সামনে রেখেই তাঁর গবেষণা৷ মূলত একাজ করতে গিয়েই পতঙ্গের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেন তিনি।
মানব মস্তিষ্কে প্রায় ১০ হাজার কোটির মতো নিউরন বা স্নায়ুকোষ রয়েছে। সংকেত আদান প্রদান এবং উদ্দীপকের প্রতি দেহকে সাড়া দিতে নির্দেশনা দেয় কোষগুলো। সে তুলনায় পতঙ্গের মস্তিষ্ক আকারের দিক থেকে মানুষের চেয়ে অনেক ছোট। মাত্র দুই মিলিমিটার প্রশস্ত পতঙ্গ মস্তিষ্কে নিউরন রয়েছে এক লাখের মতো।
তবে কানজাকি বলছেন, আকারই সবকিছু নয়।
পতঙ্গের ছোট্ট মাথাও অনেক জটিল কাজ করে। উড়ন্ত অন্য কোনো পতঙ্গকে ছোঁ মেরে ধরতে পারাটা সেই জটিল ক্রিয়ারই প্রকাশ৷ কানজাকির ভাষায়, পতঙ্গ মস্তিষ্ক কোটি বছরের বিবর্তনে সৃষ্ট অনেক সফটওয়্যারের অসাধারণ সমন্বয়।
এর আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে, এক ধরণের পুরুষ পতঙ্গ প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে নারী পতঙ্গের ঘ্রাণ টের পায়। কানজাকি আশা করছেন কৃত্রিমভাবে পতঙ্গের মস্তিষ্ক সৃষ্টি করা যাবে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, মস্তিষ্ককে একটি জটিল ধাঁধাঁ চিত্র হিসেবে মনে রেখে কাজটা করা যেতে পারে।
প্রত্যকটি অংশ ঠিক কীরকম এবং তা থেকে এটি কতদূর যেতে পারে সেটি বুঝতে পারলে আবারো একই রকমের চিত্র তৈরি করা সম্ভব। এভাবে ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে পতঙ্গ মস্তিষ্ক তৈরি করা যেতে পারে। আর এই সার্কিট পরিমার্জনের মাধ্যমে সত্যিকারের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত দেয়া যাবে।
কানজাকির দল পতঙ্গ মস্তিষ্ক নির্মাণে বেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে৷ জেনেটিক্যালি মডিফাই করে তারা এমন একটি পতঙ্গ সৃষ্টি করেছে যেটি ঘ্রাণের পরিবর্তে আলোর উদ্দীপনার প্রতি সাড়া দিতে সক্ষম। এর পরিমার্জনের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে বহু দূরের অবৈধ মাদক, স্থল মাইন, ধ্বংস স্তূপে চাপা পড়া মানুষ, বিষাক্ত গ্যাসের মতো জিনিস সনাক্ত করা যাবে বলে মনে করেন অধ্যাপক কানজাকি।
তথ্যসূত্র এখানে-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।