আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুনো পশ্চিমের কাহিনী- পর্ব ২

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
আগের পর্ব শেরিফ পেরি ওয়েনসের কাহিনী জায়গার নাম: হলব্রুক ডিস্ট্রিক্ট: নাভাজো স্টেট: অ্যারিজোনা হলব্রুক শহরের যাত্রা শুরু হয় ১৮৮০ সালে। গরু ব্যবসার একটা কেন্দ্র ছিলো এটা। কিন্তু অন্যান্য কাউ টাউন গুলোর মত এখানে গোলাগুলি বা খুনোখুনি হতো না বললেই চলে। কারণ হিসেবে বলা যায় শহরের ল'ম্যান কমোডোর পেরি ওয়েনসের কথা। 'ডেডশট' বলে বুনো পশ্চিমে অনেকেরই সুনাম ছিলো কিন্তু ওয়েনসের ব্যাপার তার থেকে একটু আলাদা।

পেরি ওয়েনস হাতে কলমে কয়েকবারই প্রমাণ করেছিলো যে তাঁর গুলি কখনো মিস হয়না। তেমনি একটি ঘটনা.... ৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৭ সাল। ওয়েনসের কাছে এন্ডি ব্লেভিনস নামের এক খুনীকে ধরার নির্দেশ আসলো। ব্রেভিনসের বাসা ছিলো শহরের এক প্রান্তে যেখানে সে তার বিধবা মা'কে নিয়ে থাকতো। ওকে বাসায় পাওয়া যাবে এটা অবশ্য ওয়েনস আশা করেনি।

তার ইচ্ছা ছিলো বিধবাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেই ফিরে আসার। এজন্য কাউকে সঙ্গে আনার প্রয়োজনও বোধ করেনি। কিন্তু ব্লেভিনের বাসার যত কাছে সে আসতে লাগলো ততই এক ধরণের অস্বস্তি ওয়েনসের মনে দানা বেঁধে উঠতে লাগলো। স্ক্যাবার্ড থেকে রাইফেল বের করে ধীরে ধীরে এগোতে লাগলো ওয়েনস। কী কপাল! সদর দরজার ঠিক পেছনেই অপেক্ষা করছিলো তার শিকার।

খালি হাতে অবশ্যই নয়, উদ্যত সিক্সগান ছিলো সাথে। দু'জনে প্রায় একসাথে গুলি করলো। ব্লেভিনসের গুলি মিস হলেও ওয়েনসেরটা জায়গামত লাগলো। ঠিক এই সময় ঘরের আরেকটি দরজা দিয়ে আরেকটা বন্দুক উদয় হলো। ব্লেভিনসের ভাই জন এগিয়ে আসলো ভাইয়ের সাহায্যে।

কিন্তু তাড়াহুড়ায় তার শটও মিস হলো, ওয়েনসের উইনচেস্টার আবার গর্জে উঠলো। জন ব্লেভিনসের কাঁধের হাড় গুড়িয়ে দিল শক্তিশালী রাইফেলের গুলি। ব্লেভিনসরা ছিলো তিন ভাই। ওয়েনস তাই বুঝলো ঝামেলা শেষ নয় বরং কেবল শুরু। দুই জন যখন আসছে বাকী জনও আসবে কোন সন্দেহ নাই।

তাছাড়া এই ব্যাটার আরো কোন আত্নীয় স্বজন আছে কিনা কে জানে? কোন কুক্ষনে যে একা বেড়িয়েছিলো আসামী ধরতে? সম্ভাব্য গুলি থেকে বাঁচার জন্য কভার নেয়ার আশায় ওয়েনস ঘরের এক পাশে ছুটে গেল। ঠিক এই সময় মোসে রবার্টস- এন্ডি ব্লেভিনসের বোনের জামাই পেছনের দরজা দিয়ে ছুটে এলো। আবারো একটা গুলি এবং এক গুলিই যথেষ্ট হলো রবার্টসের জন্য। জায়গা বদল করে সামনের দরজার দিকে আবার ছুটলো ওয়েনস। একেবারে সময়মত পৌছে গেল ৩ নম্বর ভাই স্যাম ব্লেভিনসের সামনে।

ওয়েনসের উইনচেস্টার শেষ বারের মত ভেলকি দেখালো। গুলিতে লুটিয়ে পড়লো স্যাম। সব মিলিয়ে ১ মিনিটেরও কম সময়ে শেরিফ পেরি ওয়েনস ৩ জন মানুষ হত্যা করলো, আহত হলো আরো ১ জন। শেরিফের গায়ে ফুলের টোকাও লাগেনি। বুনো পশ্চিমে কাহিনী ছড়াতে সময় লাগেনা।

অল্পদিনের মধ্যেই সেলুনে সেলুনে, ক্যাম্প ফায়ারগুলোতে এই গল্প চলতে থাকলো। এরকম শেরিফকে দুষ্ট লোকেরা ভয় পাবেনা তো কাকে ভয় পাবে?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।