আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশে ৫ কোটি লোক নিরক্ষর!

আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।

দেশে ৫ কোটি লোক নিরক্ষর! সরকার ২০১৭ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে পনের বয়সোর্ধ্ব প্রায় ১০ কোটি লোকের মধ্যে মাত্র ৪৮.৬ শতাংশ সাক্ষর। এর মধ্যে ৪৮.৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৯.১ শতাংশ মহিলা। অর্থাৎ দেশের প্রায় ৫ কোটি লোক নিরক্ষর।

এদের মধ্যে ৫৩.৬ শতাংশ গ্রামে এবং ৪৩.১ শতাংশ শহরে বাস করে। আবার নিরক্ষর এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৭২ শতাংশ খুবই গরিব, ২৪ শতাংশ বিত্তশালী। ১৯৮০ সালে বয়স্ক সাক্ষরতার ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দিয়ে নিরক্ষরতা দূরীকরণের উদ্যোগ নেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের এ কাজে সম্পৃক্ত করেন। নানা অনিয়ম আর ফাঁকিবাজিতে পূর্ণ এ কর্মসূচির মাধ্যমে ৪০ লাখ লোক সাক্ষর হয়েছে এমন দাবি করলেও বাস্তবে খুব কম লোকই সাক্ষরতা লাভ করেছে।

১৯৮৭ সালে গঠিত গণশিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯০ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় বয়স্ক শিক্ষাক্রম শুরু হয়। দুই দফায় নাম পরিবর্তন শেষে এটি হয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখানে নানা অনিয়মের সাথে যোগ হয় আর্থিক দুর্নীতি। যত সংখ্যক সাক্ষর হয়েছে তার চাইতে ১০/২০ গুণ বাড়িয়ে তথ্য তৈরি করা হয়। এটি পরিণত হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে।

১৯৯২ সালে খালেদা জিয়ার সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন ঘোষণা করে। এরপর শেখ হাসিনার সরকারের আমলে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তর সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন বা টিএলএম নামে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলায় জেলায় নিরক্ষরতা দূরীকরণের কর্মসূচি হাতে নেয়। বিভিন্ন জেলায় পরিচালিত টিএলএম শেষে শতকরা ৮০ থেকে ১০০ ভাগ সাক্ষর হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকঢোল বাজিয়ে জেলাগুলোর নামের আগে 'আলোকিত', '......' ইত্যাদি বিশেষণও লাগানো হয়। কিন্তু এখন বাস্তব তথ্য বলছে, সকলই গরল ভেল।

(সূত্র : দৈনিক ইত্তোক, ০৪ মে ২০০৯)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.