জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
কিছু কিছু ভুয়া সংগঠন কাজ করছে এই ঘটনার পেছনে। বাটপার শ্রেণীর কিছু লোক মিলে এই সংগঠনগুলো তৈরি করে। সংগঠন তৈরি করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য থাকে, অন্য কোন দু নাম্বার লোকের টাকা হাতিয়ে নেয়া। মানে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই আর কি ।
ভুয়া এই সব সংগঠন সেই সব বাটপার লোকদের কাছে গিয়ে তাদের গুণীজন সংবর্ধনা দেয়ার কথা বলে।
বাটপারকে সমাজের কাছে গুণীজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিনিময়ে তারা ওই বাটপারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অন্য দিকে বাটপারও তাদের টাকা দেয় এই ভেবে যে, সমাজে গুণীজন হিসেবে তার পরিচিতি হলে সে আর ভালোভাবে বাটপারি চালিয়ে যেতে পারবে।
বাটপারের টাকায় পুরো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের বিশিষ্ট কোন ব্যক্তিকে প্রধান অতিথি করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে বাটপারকে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেয়ার পর বিশিষ্ট ব্যক্তি ক্রেস্ট তুলে দেয়।
আর এই ক্রেস্ট তুলে দেয়ার ছবি ও প্রেস রিলিজ পাঠানো হয় পত্রিকায় । প্রেস রিলিজ ও ছবির সঙ্গে থাকে নগদ টাকা। ফলে পত্রিকাগুলো ছবি ও সংবর্ধনার সংবাদ ফলাও করে ছাপে।
পরের দিনই বাটপার হয়ে যায় দেশের বিশিষ্ট গুণীব্যক্তি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভুয়া সংগঠনের ব্যক্তিরা বেশ কিছু মাল কামিয়ে নিতে পারে।
এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পরই তারা আবারও আরেক বাটপার খুঁজতে থাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। কোন কোন অনুষ্ঠানে অনেকগুলো বাটপারকে একবারে সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়া সম্ভব হয়।
আর যারা প্রকৃত গুণী মানুষ তাদের খোঁজ কেউ নেয় না। তারা নীরবে নিভৃতে কাজ করে যায়। তাদের কেউ সম্মান করে না, না রাষ্ট্র, না সমাজ, না পরিবার।
এই দেশে কেন যে এখনও গুণী মানুষ জন্মায়, সেটাই একটা রহস্য।
গুণীজনদের ক্রেস্ট দেয়ার সময় মন্ত্রী-এমপি ও রাজনীতিকরা সাবধান !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।