আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁধ ধসে হুমকির মুখে সিরাজগঞ্জ শহর

Hope is immortal

যমুনার প্রবল স্রোতে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের ৬০০ ফুট এলাকায় ধস নেমেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জেলা শহর। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গয়লা শ্মশান ঘাট এলাকায় বাঁধের 'হার্ডপয়েন্ট'র প্রায় ৬০০ ফুট এলাকায় ধস সৃষ্টি হয়। এতে বাঁধ দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মী এবং জনতা ভাঙন রোধে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালির বস্তা ও কংক্রিটের ব্লক ফেলছে।

২০০৭ সালে বন্যার সময় বাঁধের উত্তর অংশ ধসে সিরাজগঞ্জ জেলা শহর পানিতে তলিয়ে যায়। এবার যে এলাকায় ধস নেমেছে, তা থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা শহর দুই কিলোমিটার পূর্বে। এ কারণে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গয়লা এলাকার লোকজন ইতোমধ্যে তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। বাঁধ মেরামত সঠিক সময়ে না করার জন্য স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্র্ডকেই দায়ী করেছে।

পাউবোর সিরাজগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামও ঘটনাস্থলে জনতার তোপের মুখে পড়েন। এলাকাবাসী পাউবোর দুটি গাড়িও ভাংচুর করে। পরে পাউবোর বগুড়া জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতাকে শান্ত করেন এবং বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া স্থানীয়দের নিয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ তদারকি করছেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং র‌্যাব কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছে।

পাউবো কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "উজানে চর জাগায় নদীর স্রোত ঘুরে এসে সরাসরি হার্ডপয়েন্টে আঘাত হানছে। তাতেই বাঁধের এই অংশে নাজুক অবস্থায় পড়েছে। " তিনি বলেন, "বাঁধ রক্ষায় আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। " পাউবো কর্মকর্তারা জানান, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার কমলেও ভাঙন তীব্র হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, প্রবল স্রোতে হার্ডপয়েন্টের নিচে বালু সরে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটছে।

আগে থেকে সজাগ থাকলে এ অবস্থা এড়ানো যেত। পাউবো কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, "বাঁধের এই অংশ (দক্ষিণ) এতই সুরক্ষিত ছিল যে এই অংশে ভাঙন দেখা দেবে, তা আমরা ভাবিনি। গত বছর হার্ডপয়েন্টের উত্তর দিকে ধস দেখা দেওয়ায় আমরা বেশ কিছু সিসি ব্লক এবং হার্ড রক ফেলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করি। এ বছরের ভাঙন একেবারে আকস্মিক, এটা আমাদের ধারণায় ছিল না। " তিনি বলেন, "সত্যিকার অর্থে যমুনা সম্পর্কে আগাম অনুমান করা বেশ কঠিন।

" যমুনা সেতু উদ্বোধনের পর ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তবে প্রায় প্রতিবছরই বর্ষায় বাঁধের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে বিস্তারিতঃ বাঁধ ধসে হুমকির মুখে সিরাজগঞ্জ শহর

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।