আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদারীপুরের 'হ্যাল্লো ব্যবসা' এবং আমাদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........

দশটি বছর কেটে গ্যালো কোন শালা খবর রাখে নাই Click This Link ছোট্ট দেশটায় গিজগিজ করছে ১৫ কোটি মানুষ। কাউকে না জানিয়ে হাগা-মুতা করাও তো মনে হয় সম্ভব না। হুমায়ুন আহমেদের ভাষায় 'একটা গর্ত খুঁড়ে রাখলেও একশটা মানুষ দাঁড়ায়ে দেখে- না জানি কি আছে! অথচ সেই দেশে মাদারীপুরের ৩টি গ্রামের কিছু যুবক ১০ বছর ধরে চালিয়ে গেল 'হ্যালো ব্যবসা'। কাঁচা টাকার আমদানী হলো, সদ্য গোঁফ ওঠা বেকার যুবকদের ঘরে মাছ-মাংস রান্না হলো অথচ কেউ কিচ্ছু জানলোনা। অবশেষে ব্র্রেকিং নিউজ দিলেন জয়নাল হাজারীর ক্লাস কমিটির হাতে পিটুনি খাওয়া সাংবাদিক টিপু সুলতান।

...............'প্রথম আলো' পত্রিকার গতকালের লিড নিউজ। দেশে এত পত্রিকা! এত চ্যানেল!! এত সাংবাদিক!!! কিছু হইলেই ঘটনাস্থল ভরে যায় সাংবাদিকের পদভারে। চ্যানেল গুলির মাইকের ভীড়ে সাংবাদ সম্মেলন করতে আসা মন্ত্রী-এমপিদের চেহারাই দেখা যায়না। দীর্ঘ দশ বছরে এদের একজনের কাছেও কি এই খবরটা আসলোনা? শুধু সাংবাদিকের দোষ দিয়া কি লাভ? আমরা ব্লগাররাও তো কম খবর রাখিনা। বিডিআরের ঘটনার পর ব্লগে কত চিত্র বিচিত্র খবর দিয়ে ভরে ফেলেছি আমরা।

একজন এমনও লিখেছিলো 'শত শত বিডিআর জওয়ানকে মেরে ব্লেন্ডার দিয়ে কুঁচি কুঁচি করে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে'। আমি প্রশ্ন করেছিলাম শত শতের মধ্য থেকে খালি পাঁচটা নাম বলেন। যাই হোক, সেই ব্লগারাও কোন খোঁজ খবর পেলামনা। তারপর ধরেন সাধারণ মানুষ, এই তিন গ্রামে টেলিফোনে চাঁদাবাজি মোটামুটি শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো। বস্ত্র শিল্প, পাট শিল্প........হ্যালো শিল্প।

অন্তত: কয়েক হাজার মানুষের জানার কথা কি হচ্ছে ওখানে। কিন্তু না, সবাই চুপ। দু'একজন অবশ্য বোকার মত পুলিশের কাছে গিয়েছিলো, কিন্তু জানা কথা, পুলিশকে আগেই ম্যানেজ করে মানুষ এসমস্ত ব্যবসায় হাত দেয়। বাংলাদেশে যে দু'একটা আস্থার জায়গা এখনো আছে তারমধ্যে একটি হলো আমাদের স্বাধীন সংবাদপত্র। যে সংবাদপত্র লক্ষিপুরের তাহের, ফেনীর হাজারী, ঢাকার ইকবাল, জ্বালানী মন্ত্রী মোশাররফের পেছনে লেগে তাদের ক্যারিয়ার (!) শেষ করে দিয়েছিলো সেই সংবাদপত্রের কাছে আমরা অনেক কিছুই আশা করি।

দশ বছর পর হঠাৎ এরকম একটা নিউজ মাটি ফুঁড়ে বের হতে দেখে মনে হয় যেন নিজের কাছে নিজেই হেরে গেলাম!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।